পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ෂම්හි কোনও নুতন ঘূর্ণ প্রস্তুত করা অসম্ভব । অর্থাৎ যদি কোনও ঘূর্ণ বা মাবৰ্ত্ত থাকে তাহা হইলে তাঁহা চিরকাল থাকিবেও যদি না থাকে তাহা হইলে কেহ প্রস্তুত করিতে পরিবে না কেলভিন যথন টেট মাহেবের পরীক্ষা দেখেন তখন তাহার মনে এই গণনার কথা বিলক্ষণ জাগরুক ছিল । তিনি পরীক্ষা দেখিয়া বলিলেন, তবেই ত! - ঠিক হইয়াছে। জড় পদার্থও অবিনশ্বর—ইহা কেহ ধ্বংসও করিতে পারে না, কৈহ প্রস্তুতও করিতে পারে না ; জড় পদার্থ আর কিছুই নয়, ইহ। ইথরের ঘূর্ণ বা আবৰ্ত্ত মাত্র। ইথর Frictionless অদৃষ্টব্য, সুতরাং ইহাতে যেকয়েকটা আবৰ্ত্ত আছে তাহা অবিনশ্বর । আবার আমরা যেমন আবৰ্ত্ত স্বষ্টি করিতে পারি না, সেইরূপ জড় পদার্থও স্বষ্টি করিতে পারি না । ١د) یہ ا۔جہTہ عبt.tr.gseی arłrsȘt- ੀਂ ਕ੍ਰਾਂ గt.f::7 કૂteભ | আবৰ্ত্ত নানা রকমের হইতে পারে। একটা একটা মূল পদার্থের একএকরূপ আবৰ্ত্ত। আবৰ্ত্ত নানা রকমের কিরূপ হইতে পারে তাহার চিত্র দেওয়া গেল। আবার দুষ্ট তিনটা আবৰ্ত্ত জড়াঙ্গড়ি করিয়া অণু বা দ্বাণুর স্থষ্টি করে। এই অণবর্তগুলা পরস্পরকে আকর্ষণ করে ও মাধ্যাকর্ষণের মূল এইখানেই। এই মই বাদই যে জড়ের উৎপত্তির চরম কারণ তাহা অবগু কেলভিন জোর করিয়া বলিতে পারেন নাই । তিনি নিজেই বলিয়াছেন যে ইহা আমার একটি স্বপ্ন বা খেয়াল প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ [ »8° उा१, २ग्न १७ মাত্র । " এই স্বপ্ন গণিতের দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপিত ও ইহা যদি সত্য হয় তাহ হইলে বলিতে হইবে যে আমরা বিজ্ঞানের একটি মহান সত্যের মূলে আসিয়া দাড়াইয়াছি । শ্রীশিশিরকুমার মিত্র। পূজার-ছুটি । (গল্প ) হরিহরপুরের শৰ্মাদারদের ছোট তরফের গৃহিণী নৃত্যকালী যথন পালিত কন্যার বিবাহের পাত্রানুসন্ধানে বৎসরাবধি বিবিধ চেষ্টার পরও বার বার নিরাশ হইয়া দিন দিন উত্তপ্ত হইয়া উঠিতেছিলেন, সেই সময় একদিন প্রভাতে সহসা বাড়ীর পুরোহিত হীরেন্দ্রভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় আসিয়া সহাস্তমুণে সংবাদ দিলেন “মা ! একটা সুসংবাদ আছে। কিরণের জন্তে একটি সুপাত্রের সন্ধান পেয়েছি।” গৃহিণী আশাপূর্ণহৃদয়ে উৎসুকনেত্রে ভট্টাচাৰ্য্যমহাশয়ের কথার অবশিষ্ট অংশ শুনিবার প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন । ভট্টাচার্য্যমহাশয় তখন সবিস্তারে যাহা বলিলেন তাহার সংক্ষিপ্ত মৰ্ম্ম এই— গতকল্য তাহার কোন প্রয়োজনে তিনি গ্রামান্তরে গিয়াছিলেন । ফিরিবার সময় অত্যন্ত ক্লান্ত ও পিপাসিত হইয়া পুষ্করিণীতটে গিয়া একটি অচেনা যুবককে ছিপ ফেলিয়া মাছ ধরিতে দেখেন । কথাপ্রসদে তিনি জানিতে পারেন যে উক্ত গ্রামের বাড়,য্যেরা তাহাদের মেয়ের সহিত বিবাহ দিবার জন্য ছেলেটিকে কলিকাতা হইতে আনিয়াছে। কিন্তু ইহাদের মেয়েটি কালো বলিয়। যুবকের বিবাহে ইচ্ছা নাই। শীঘ্রই সে ফিরিয়া যাইবে । তথন তিনি কিরণের কথ। তাহাকে বলায় সে মেয়েটিকে আগে দেথিতে চাহিয়াছে। গৃহিণী জিজ্ঞাসা করিলেন—ছেলেটি দেখতে কেমন ? কত বয়স হবে ? ভট্টাচার্য্য অতি উৎসাহের সহিত বলিলেন—ষা ! আমি আজ বিকালে তাকে এখানে আনব । তুমি মেয়ে দেখাবার জোগাড় করে রাখ। সে এলেই দেখতে পাবে, আমি তোমার কেমন জামাই আনছি।