পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] জন্যও ভোলেন নাই ? মৃদু মৃদ্ধ বাতাসে তাহার অবসন্ন দেহ একটু প্রকৃতিস্থ হইলে সে কঁাপিতে কঁাপিতে চিঠিখান খুলিল। চিঠিতে লেখা ছিল— 劇 মির্জাপুর আমার কিরণ ! আজি কতদিন পরে তোমায় চিঠি লিখছি, যেদিন দুর্জয় অভিমানের বশে তোমায় ফেলে’ চলে এসেছিলাম তার পরে কতদিন কেটে গেছে। আমি কিন্তু একদিনের জন্য তোমার সেই কাতর মুখখানি ভুলতে পারিনি। জানি আমি আমার সংবাদ না পেয়ে তুমিও যে কি কষ্টে দিন কাটাচ্ছ r কিন্তু আজ সেসব কথার দিন নয়। যেদিন আবার আমরা দুজনে মিলব সেই দিন দুজনেই পরস্পরের কথা বলব ও শুনব। আর সে দিনটির যে বেশী দেরী নেই সে কথা মনে করেও আমার অন্তর আনন্দে নৃত্য করছে । সেদিন আমি অকুলে ভেসেছিলাম ; ভগবানের কৃপায় কুল পেয়েছি। যাত্রাকালে তোমার মুখ দেখেছিলাম তাই যাত্র। শুভ হয়েছিল। আমার কোন কষ্ট হয় নি । আমি প্রথমে কলিকাতাতেই আসছিলাম। ঘটনাক্রমে গাড়ীতে এক মাড়োয়ারী ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হল। কথায় কথায় তিনি বললেন, মির্জাপুরে তার বৃহৎ কারবার ; কলিকাতাতে ও অন্ত{গ) স্থানে শাখ। আছে । তিনি নিজে মির্জাপুরে থাক্লেন ও মাঝে মাঝে আরসব স্থানে গিয়ে তত্ত্বাবধান করে আসেন । মির্জাপুরে র্তার একটি ইংরেজী-জনি লোকের দরকার । সাহেব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত বল ও ইংরেজীতে চিঠিপত্র লেখা, এইসব কাজের জন্য তিনি উপস্থিত ১৫০ টাক। বেতন দিতে ওঁ বড়ী দিতে সন্মত আছেন । আমায় তিনি বললেন যে এই কাজটি করতে পারে এমন কোন লোক আপনার সন্ধানে আছে কি ? আমি বলুলম লোক নেই বটে, তবে আমি নিজে করতে প্রস্তুত আছি। তারপরে তার সঙ্গে এই সুদুর পশ্চিমে চলে এসেছি। তুমি হয়ত এইবার রাগ করে বলবে তবে এতদিন কেন সংবাদ দা গুনি ? কেন দিইনি তা লিখছি । তোমার বোধ হয় মনে আছে একদিন সন্ধ্যার সময় মা বিন্দুপিলিমার কাছে দুঃখ করছিলেন যে এমন দুঃসময়ে Ye পুজার ছট’ 39 91 وان ASA SSASAS SS SAAAJJJASA A ASJJJJSeMMAJMM বিবাহ দিলাম যে আমার কিরণকে একশনি গহনা দিতে. পারলাম না। সেই কথা মৰুে পড়ায় আমি এ ছয়মাস অপেক্ষ করে বেতনের টাক। জমিধে দিদিকে পাঠিয়ে নিয়েছিলাম। তিনি সেখান থেকে. নূতন ফ্যাসানের গহনা গড়িয়ে তোমার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন। নিজের হাতে এবারে গিয়ে তোমায় সাজাব, সাধ আছে r •এই সাধঢুকুর জন্যে এতদিন এত কষ্ট সহ করেছি। এক এক সময় মনে হত আমি কি મિર્ટર- আমাগতুপ্রাণী সরল। আমি ভিন্ন জানে না, তাকে আমি বিনাদোযে কি যাতনাই দিচ্ছি। কতদিন তোমার মুখ মনে পড়ে নির্জন ছাতে একলা বসে কত যে কেঁদেছি তা আর কি বলব। আমার কিরণ । এইবার আমাদের সব দুঃখের অবসান ষ্টয়েছে । বৈশাখ মাসে এসেছি—আজি আশ্বিন মাস পড়ল। আর ১৫ দিন পরে আমার পূজার ছুটি পড়বে। এই ছুটিতে গিয়ে তোমাকে এখানে নিয়ে আসব । তার পর থেকে আমাদের বাধাহীন মিলনের পথে আর কোন অস্তুরায় থাকবে না । 警 এখানে আমি যে বাড়ীটি পেয়েছি যদিও ছোট ੱਝ বড় সুন্দর ; চারিদিকে বাগান, মাঝে লতাপাতা-ঘের ছবিটির মত বাড়ীখানি । আমি মনের মত করে বাড়ীখানি সাজিয়েছি। আর আমাদের নূতন সংসারের সব গুছিয়ে রেখেছি। এখন কেবল দিন গুণfছ কবে আমার হৃদয়ের রাণীকে আমার এ গৃহস্থালীর মধ্যে কল্যাণী গৃহলক্ষ্মীরূপে বিরাজ করতে দেখব । আমায় জীবনের ধ্রুপ তার তুমি-তোমার বিহনে আমার এসব সজ্জা অঙ্গহীন অশোভন হয়ে রয়েছে—এস আমার লক্ষ্মী—তোমার মঙ্গল চরণস্পর্শে আমার এ শূন্ত গৃহ পূর্ণ হয়ে যাক ! মাকে আমার প্রণাম জানিও । তার আশীৰ্ব্বাদেই আমি আমার কল্যাণের পথ খুজে পেয়েছি । নরেনের কি খবর ? তার মোকৰ্দমার কি হল ? তুমি আমার অস্তরের ভালবাসা জানবে । আজ তবে আসি । আর ১৫ দিন পরে আবার আমাদের দেখা হবে । ইতি— 澎 তোমার ললিত । দেখিতে দেখিতে এ শুভসংবাদ চারিদিকে রাষ্ট্র হইয়। গেল। গৃহিণী হাসিয়া কাদিয়া গ্রামের প্রত্যেক দেব © IĘ