পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা । & দড়ির টুকরোটাকে মনিবাগি বলে ভ্রম করেছে এ কথা ত আমার বিশ্বাসই হয় না।" উত্তেজিত উপরদিকে হাত তুলিয়া শপথ করিয়া বলিল,—“ভগবানের দোহাই, দোহাই দারোগ সাহেব, আমি সত্যি বলছি ; আমি যদি মিথ্যে বলি ত আমার ইষ্ঠগল্পকাল নষ্ট হবে ; আমি ব্যাটার মাথ৷ খাব ।” - দারোগ৷ সাহেব বলিতে লাগিলেন,-“বুiাগটা কুড়িয়ে নিয়ে আবার তুমি রাস্তার দিকে দেখছিলে দুএকটা টাকা যদি পড়ে গিয়ে থাকে !” είb ভয়ে উৎকণ্ঠায় বুদ্ধের খাস রুদ্ধ হইবার উপক্রম হইল। “এ কথা সে বল্লে !......বল্লে কি ক’প্লে !...... জলজ্যান্ত মিথ্যে কথা...... একজন নির্দোষীকে মঞ্জাবার জন্তে বল্পে কি ক’রে ?...... আঁ্যা বলে কি করে ?" কথাটার প্রতিবাদ করিয়াও সে কোন পাইল না । মধু সার ডাক পড়িল ; লোকট। গল্পটি ঠিক পূৰ্ব্বের মত আবৃত্তি করিল। প্রায় একঘণ্টা পরস্পর পরস্পরকে গলাগলি দিতে লাগিল । অবশেষে হরিচরণের প্রার্থনায় তাহার সারা অঙ্গ-বস্ত্র অনুসন্ধান করা হইল ; কিন্তু কিছুষ্ট পাওয়া গেল না । অবশেযে নিরুপায় দরোগ। তাহাকে মুক্তি দিলেন এবং বলিয়া দিলেন হাকিমকে এখুনি একথা জানাইয়৷ র্তাহার পরামর্শমত কাৰ্য্য করা হইবে । কথাটা ইতিমধ্যেই প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছিল। বৃদ্ধ থানার বাহিরে আসিবামাত্র নানাবিধ লোকে তাহাকে নানা প্রশ্নে ব্যস্ত করিয়া তুলিল। কেই কিন্তু একটুও সহানুভূতি দেখাইল না । সকলকেই সে দড়ির টুকরার গল্প বলিল ; কেহই সে কথা বিশ্বাস করিল না, হাসিয়া উড়াইয়া দিল—এও কি আবার একটা কথা ! থffমতে থামিতে সে অগ্রসর হইতেছিল, পথিমধ্যে প্রত্যেক পরিচিত অপরিচিত ব্যক্তিকে দাড় করাইয়া • পুনঃপুনঃ আপনার গল্পটা বলিতেছিল, তাহার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আসিয়াছিল তাহার প্রতিবাদ করিতেছিল এবং সেই দড়ির টুকরাটি দেখাইতেছিল । গোকে কিন্তু ফল যাকুে রাখ সেই রাখে ? «»ጫፃ

  • * *

- - - - - - ح-٦ -م - -م - ヘヘヘ%ヘヘヘヘ সে কথা কানেই তুলিতেছিল না। উত্তরে বলিতেছিল,--- “যা, x, আর বঁাজে বকিসনে " ' ". • ক্রোধে ও বিরক্তিতে সে জরজর হইয়া ੇਸ਼ : লোকে ৩fহার কথায় বিশ্বাস ন;করায় প্রাণৈ একটা দারুণ অtঘাত লাগিয়াছিল ; কি করিবে স্থির ਅੜਿੱਚ না পারিয়া আপনার গল্পটাই পুনঃপুনঃ আবৃত্তি করিতে লাগিল । o ক্রমে রাঞি হইয়। আসিল । তিনজন প্রতিবেশীর সহিত সে গ্রামে ফিরিতেছিল, পথে যে-স্থানটায় দড়ির টুকুর কুড়াইয়া পাইয়াছিল তাহদের সে স্থানটা দেখাইল এবং সারা পথট আপনার দুর্ভাগ্যের কাহিনী বলিতে বলিতে চলিল । গ্রামে পৌছিয়া প্রত্যেক পরিচিত ব্যক্তিকে আপনার দুর্ভাগ্যের কথা বলিল কিন্তু কেহই বড় একট। সেসব কথা কানে তুলিল না। সারারাত্রি দারুণ অস্বস্তিতে কাটিল । পরদিন বেণা প্রায় একটার সময় গঞ্জের আড়তদারের থামারের একটা মজুর সেই মনিব্যাগটা দারোগ৷ সাহেবের নিকট সৰ্ব্বসমেত ফেরৎ দিল । যে লোকটু বলিল সে সেট। রাস্তায় কুড়াইয়া পাইয়াছিল ; কিন্তু’ লেখাপড়া না জানায় ব্যাগের অধিকারাঁধু নামটা না পড়িতে পারায় সেটা সে বাড়া লইয়। গিয়া তাহার মনিবকে দিয়াছিল । সারা গ্ৰামময় কথাটা ছড়াইয়া পড়িল। হরিচরণও সে, কথা শুনিল ; তখন পাড়াময় ঘুবিয়া ঘুরিয়া সেই কথা সকলকে বলিয়া আসিল । আজ তাহার অনন্দের দিন । সে বলিল,--“ব্যাপারটার জন্যে আমি তত দুঃখিত হইনি কিন্তু বড় দুঃখ যে লোকে আমায় মিথ্যেবাদী মনে করেছিল। মিথ্যেবাদী অপবাদটা প্রাণে বড় লাগে।” সারাদিন পথে ঘাটে যত শোকের সহিত সাক্ষাৎ হইল সকলকেই আপনার দুর্ভাগ্যের কথা বলিল । সম্পূর্ণ অপরিচিত লোকদিগকেও দাড় করাইয়া সকল কথা বলিতে ছাড়িল না। তাহার মনটা এখন অনেকটা শাস্ত হইয়াছিল ;–তই কি একটা কি যেন তাহাকে ব্যাকুল করিয়া তুলিতোছল, কিন্তু সেটা ষে কি তাহা সে służ