পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y అపెనీ সেনাপতি আপনাকে তাহার আবাসে আহবান করিয়াছেন " দীর্ঘকার সেন। অন্তপথ অবলম্বন করিয়া দুর্গাভ্যন্তরে সেনাপতির আবাসের সম্মুথে উপস্থিত হইল । বৃদ্ধ সেনাপতি উদ্ধববোধ বোধ হয় উৎসুকচিত্তে তাহারই দুষ্ঠ অপেক্ষা করিতেছিলেন। সৈনিক তাহাকে দেখিয়া অভিবাদন করিল । উদ্ধবঘোষ জিজ্ঞাস। “তুমি কে ?” “নায়ক গুরুদত্ত ।” “তুমিই একবার একাকী সংবাদ সংগ্ৰহ রেবতীর পর্য্যন্ত গিয়াছিলে ?” সৈনিক অভিবাদন করিল। উদ্ধবঘোষ পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “সৈনিকগণ কি তোমাকে ‘মূক সৈনিক’ আখ্যা প্রদান করিয়াছে ?” «έι ι" “অদ্য বিশেষ প্রয়োজনীয় কার্য্যের জন্ত তোমাকে আহবান করিয়াছি। তুমি কখন কৌশাম্বী গিয়াছ ?” “দুই-তিনবার গিয়াছি।” “আবশ্যক হইলে অন্ধকার রাত্রিতে যাইতে পাfরবে ?” *ছ।” "উত্তম । তুমি এখনই যাত্র কর । কয়দিন যাবত প্রভাস-পৰ্ব্বত-শীর্ষে সমস্তাত্রি অগ্নি জলিতেছে,—ইহার অর্থ বুঝিতে পারিতেছি না। গুর্জররাজের সহিত যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছে, তোমরা দেশে ফিরিবার জন্য ব্যস্ত হইয়াছ দেখয়। এই সংবাদ তোমাদিগের নিকট ব্যক্ত করি নাই। মহারাজ গৌড়ে ফিরিতেছিলেন, তিনি গুর্জরঘুদ্ধের সংবাদ শ্রবণ করিয়া পুনরায় কান্তকুজে গিয়াছেন । তুমি কৌশাম্বীতে গিয়া দূর হইতে সংবাদ লইয়। আইস । আমার বোধ হয় গুর্জরসেনা কৌশাম্বীদুর্গ আক্রমণ করিয়াছে। পথ বিপদসঙ্কুল, রজনীর শেষ হইবার পূৰ্ব্বে প্রতিষ্ঠানে ফিরিবার চেষ্টা করিও।” সৈনিক অতিবাদন করিয়া ফিরিল ; কিন্তু উদ্ধবঘোষ তাহাকে পুনরায় ডাকিয়া কহিলেন, “গুরুদত্ত, শুনিয়া थां७ !” ९* সৈনিক ফিরিয়া দাড়াইয়া পুনরায় অভিবাদন করিল। উদ্ধবঘোষ কহিলেন, “তুমি একাকী যাইবে ?” করিতে প্রবাসী—চৈত্র: >१२> ・・パ ヘメwーヘヘ・ハヘ、ヘ.ヘヘヘヘ_ヘーヘーヘメへダへヘヘヘヘヘヘノヘーハーヘヘヘい ۳۹ ترمیه ۶یصه گیتی করিলেন, { ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড SA A AMA AJSAAAA AAA AAAA AAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAeeeSAAAAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAASASASS

  • हैं ।' 鹽 Q. - “যদি তুমি নিহত হও, তাহা হইলে কেমন করিয়া সংবাদ পাইব ?”

• “আমি যদি কল্য দ্বিপ্রহরের পূৰ্ব্বে প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়া না আদি, তাহা হইলে জানিবেন যে আমায় । মৃত্যু হইয়াছে।” -** “দ্বিতীয় ব্যক্তি সঙ্গে লইবে না ?” siনা।” 4, “উত্তম । ভগবান তোমার মঙ্গল করুন।” গুরুদত্ত প্রতৃিষ্ঠানদুর্গের প্রাসাদের বাহিরে আসিয়া মন্দুরা হইতে একটি অশ্ব বাছিয়া লইলেন এবং দুর্গের বাহিরে আসিয়া অশ্বরোহণে পশ্চিমাভিমুখে যাত্রা করিলেন । প্রতিষ্ঠান হইতে কৌশাম্বী পঞ্চদশ ক্রোশ দুরে অবস্থিত, বলবান অশ্ব রজনীর দ্বিতীয় প্রহরের শেষভাগে কৌশাম্বী নগরপ্রাস্তে উপস্থিত হইল । গঙ্গা ও যমুনার মধ্যভাগে প্রভাস-পৰ্ব্বত ব্যতীত অপর কোন পৰ্ব্বত নাই, পৰ্ব্বতের চারিদিক বেষ্টন করিয়া কৌশাম্বীনগর নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। গুরুদত্ত প্রতিষ্ঠান হইতেই পৰ্ব্বতশীর্ষে প্ৰজলিত অগ্নিকুণ্ড লক্ষ্য করিয়া অশ্বচালনা করিতেছিলেন । তিনি নিকটে আসিয়া দেখিতে পাইলেন যে, পৰ্ব্বতশীর্ষে বৃহৎ অগ্নিকুণ্ড প্রজ্জ্বলিত হইয়াছে। গগনস্পশী অগ্নিশিখাসমূহের আলোকে চতুর্দিক উজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছে, নগরপ্রাচীরের বাহিরে বিস্তৃত স্কন্ধাবার স্থাপিত হইয়াছে এবং রাত্রিকালেও গুজ্জরসেন নগর আক্রমণ করিতে বিরত হয় নাই। দূর হইতেই কৌশাম্বীর অবস্থা জানিতে পারিয়া গুরুদত্ত প্রতিষ্ঠানাভিমুখে প্ৰত্যাবর্তন করিলেন । একক্রোশ অতিবাহিত হইলে গুরুদত্তের মনে হইল যে বহু অশ্বারোহী তাহার পশ্চাদ্ধাবন করিতেছে । তিনি অশ্বসমেত পথিপাশ্বস্থিত গভীর জলশূন্ত গর্তে অবতরণ করিলেন। অৰ্দ্ধদও পরে সহস্ৰ সহস্ৰ অশ্বারোহী প্রতিষ্ঠালের পথ অবলম্বন করিয়া ছুটিয়া আসিল । তাহার। যতদুর সস্তব নিঃশব্দে অশ্বচালনা করিতেছিল, তথাপি তাহাদিগের মধ্যে দুইএকজন অস্ফুটম্বরে কথা কহিতেছিল । একজন অশ্বারোহী গৌড়ীয়ভাষায় অপরকে জিজ্ঞাসা করিল, “কোন পৰ্ব্বতে আগুন জলিতেছে ?”