পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ]

  • A

এখানকার তোরণ-ধারটার দুপাশে দুটি চমৎকার tামের সারে সজ্জিত বারীন্দী আর তার একটিতে নাগমুৰ্বি ; তার হাতে, মাথায় সাপ ; যোড়হাতে বীরাসনে সে। মূৰ্ত্তিটির সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সামঞ্জস্য ও গঠন, সাঁকর্ঘ্য এবং মুখখানিতে এমন একটা ভাব-সম্পদোজ্জল কমনীয় কান্তি ফুটে উঠেংচ যে সে রকম মূৰ্ত্তি বড় একটা দথতে পাওয়া যায় না। দ্বারের খিগেনের মাঝে একটি সুশোভন আলঙ্কারিক কমল তক্ষিত। আমাদের সে স্থান ত্যাগ করে পুনরায় আরে। উপরে উঠতে হল। এবার অল্পকাল মধ্যেই পাহাড়টির চূড়ায় নিম্নভূমি থেকে দুশো ফুট উচ্চে গিয়ে উঠলুম। শীর্ষদেশটা বেশ সমতল। এখানেও একটা প্রবেশ দ্বারের ভগ্ন চিহ্নটুকু মাত্র বিরাজ করচে । কতকগুলি গণপতি দশভূজা প্রভৃতির মূৰ্ত্তি ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে অtছে। অনাবৃত অবস্থায় পড়ে থেকে থকে সে গুলির গঠন যদিও অদৃশু প্রায় হয়ে গেছে, তবুও গতে শিল্পীর কলা-নৈপুণ্যের বেশ, একটু আভাস পাওয়া Iায়। পাহাড়ের চুড়ার উপরের মন্দিরটিই রামগড়-মন্দির । টি যে খুব প্রাচীনকালের নিদর্শন তার গঠন এবং কারুনপুণ্যের রীতি ( style ) দেখে বেশ বোঝা যায় । ন্দিরটি কতকটা পুরীর ভুবনেশ্বর প্রভৃতি প্রাচীনকালের ন্দিরের ধরণে গঠিত। প্রত্বতত্ত্ববিদের পর্যবেক্ষণ করে দখেচেন যে প্রাচীন যুগের ভাস্কর্য্যের এবং পরবর্তী গঙ্কর্য্যের একটা বিশেষ পার্থক্য এই যে, পূৰ্ব্ববর্তী শিল্পীরা চারুকার্য্যগুলির এবং মূৰ্ত্তিগুলির গঠনের উচ্চতা অর্থাৎ চু উচু করে (relief করে) কখনও গড়তেন না । পরবর্তী গে ক্রমশঃ উচু করবার দিকে ঝেণক বাড়তে থাকে। ই মন্দিরের কারুকাৰ্য্যের আকার সমস্তই চ্যাপটা ধরণর । এ থেকে এই মন্দিরটিকে প্রাচীন বলে স্থির করা tয়। এ সম্বন্ধে আর একটি প্রমাণ এই যে মন্দিরটি কানরূপ মসলা দিয়ে গাথা নয়, একটা পাথরের উপরের আর. একটা পাথর, এমনি করে সাজিয়ে তৈরী। বিটির অভ্যন্তরে ছাদের থিলেনণ্ড ঠিক ঐ ভাবেই ঠিত। অতি পুরাকালে কোন প্রকার মসলা দিয়ে গেথে ড়িী তৈরী করার রীতি প্রচলিত ছিল না। মন্দিরের খে ৩৪ টে বিগ্রহ আছে। একটিতে রাম, লক্ষণ, রামগড় (సె সতীর মূৰ্ত্তি খোদাই করা, একটিত্ত্বে কমণ্ডলুখারিণী যোগিনী মূৰ্ত্তি, অপরটিতে বিষ্ণুমূৰ্ত্তি, অন্তটি কমললোচন ত্রীরামচন্দ্র। এই মূৰ্ত্তিগুলি মন্দিরের পরবর্তী কালের বলেই মনে হয়। বাইরে প্রাঙ্গণে দুয়ারের সামূনে একটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত। একটি পিতলের ঘন্ট। তার উপর টাঙ্গানু রয়েছে। একটা আধুনিক প্রাচীর বেষ্টনের মধ্যে কতকগুলি ভগ্ন ও অৰ্দ্ধ ভগ্ন মূৰ্ত্তি রাখা আছে। এগুলির অবস্থা একেবারেই ভাল নয় । কোনট। যে কি মুৰ্বি তা স্থির করা এখন দুরূহ হয়ে পড়েছে। এখানেও কতকগুলি সতী জুপের মত শু,প আমরা ইতস্ততঃ ছড়ান দেখেচি । আমরা এবার যোগমারা গুহা দেখবার জন্যে পাহড়ের নীচে অবতরণ করলুম। কতকদুর নেবে অসার পর আমাদের পথের পাণ্ড স্থানীয় পূজারী ব্রাহ্মণ পাহাড়ের শীর্ষে এক জায়গায় দুটো দস্থ্যর মাথার মত বড় বড় কাল কাল পাথর দেখিয়ে বল্লেন ‘ও-দুটি রাবণের মাথা i’ আমাদের সে দুটি দেপে আর কিছু বোধের উদয় হোক ন-হোকৃ, পাথরের প্রকাণ্ড অংশটি পাহাড় ছাড়িয়ে আমাদের মাথার ঠিকৃ সোজাসুজি ভাবে উপরে যে রকম: বুলে বেরিয়ে রয়েছে তা দেখে আমাদের নিজেদের মাথ৷ বাচীন সম্বন্ধেই ভাবন উপস্থিত হল –এই বুঝি বা পড়ে । পুজারী ব্রাহ্মণটি মন্দিরের ভিতরের প্রতিমাগুলির যে সকল পরিচয় দিয়েছিলেন তা অতি বিচিত্র ! দণ্ডকমণ্ডলুধারিণী যোগিনী মুর্কিটিকে তিনি যখন বালুকি মুনি নামে আমাদের সঙ্গে পরিচয় করে দিতে গেলেন তখন আমরা সেটি যে কি পদার্থ অশেষ সাধন সত্ত্বেও বুঝতে পারলুম না। শিবিরাবাসে সমস্ত দেখেশুনে যখন ফিরে বন্ধু সমরেন্দ্রের সঙ্গে গবেষণা করে দেখলুম তখন বুঝলুম পুরোহিতপুর্থ ব বালুকি কথাটি দ্বারা বাল্মীকিরই নামকরণ করেচেন মাত্র। পথে সমরেন্দ্রনাথের সঙ্গে সকলের সাক্ষাৎ হল । যোগমারা গুহাটিতেই আমাদের দ্রষ্টব্য চিত্রগুলি ছিল । যোগীমারা গুস্থায় যাবার পথে আমাদের ১৮• ফুট পাহড়ের নীচে একট। স্বাভাবিক স্বভৃঙ্গ পথ পার হতে হল। এই গহবর পথের নাম ডাঃ ব্লক লিখেচেম হাতীপোল । কিন্তু, ওমূলুম তার নাম হাতী ফোড় —অর্থাৎ গহবরপথের