পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v) 8 অথর্ববেদ সংহিত৷ পুরাকালে পরব্রহ্ম স্বষ্টির নিমিত্ত তপস্যা করিয়াছিলেন তাহার ফলে ভূগুনামক মহর্ষির উৎপত্তি হয় অথব1 তাহারই অপর নাম। অনন্তর অঙ্গির নামক মহর্ষির আবির্ভাব হয়। র্তাহtcদর, দুইজন হইতে বিংশতিসংখ্যক অথব1 ও অঙ্গিরার উদ্ভব হয় । তপস্য হইতে সেই বিংশতিসংখ্যক ব্ৰহ্মজ্ঞ মহৰ্বিগণের হৃদয়ে শ্রেষ্ঠ বেদ সমুৎপন্ন হইয়াছিল। গোপথব্রাহ্মণে আছে—“শ্রেষ্ঠে। হি বেদস্তপসোহধিঙ্গাতে ব্ৰহ্মজ্ঞানাং হৃদয়ে সংবভূব” । ঐ মহর্ষিগণের নাম হইতে এই বেদ অথবৰ্ণfঙ্গরস বা অর্থব বেদ্ধ নামে অভিহিত হয় । মহর্ষিরা সংখ্যায় বিশ - জন ছিলেন বলিয়। এই বেদেরও বিশট কাণ্ড হয়। অথববেদের উৎপত্তি সম্বন্ধে সায়ণাচার্য গোপথব্রাহ্মণ সমর্থিত উক্ত আখ্যায়িকার উল্লেখ করিয়াছেন। গোপথ ব্রাহ্মণ অথব বেদেরই একমাত্র ব্রাহ্মণগ্রন্থ । কিন্তু অথববেদীয় উপনিষদগ্রন্থ অনেকগুলি। মুণ্ডক, মাণ্ডুক্য, প্রশ্ন, শিরো, গর্ভ নাৰ্দ্ৰবিন্দু, ব্রহ্মবিন্দু, অমৃতবিন্দু ধ্যানবিন্দু, তেজোবিন্দু, যোগশিক্ষা, যোগতত্ত্ব, সন্ন্যাস, অরুণেয়, ব্রহ্মবিদ্যা, ক্ষুরিক, চুলিক, অথবশিক্ষা, ব্রহ্ম, প্রাণাগ্নিহোত্র, নীলরুদ্র, কণ্ঠশ্রীতি, পিণ্ড, আত্মা, রামপূর্ব তাপনী, রামোত্তরতাপনী, রাম, সৰ্ব্বোপনিষৎসার, হংস, পরমহংস, জাবাল, কৈবল্য প্রভৃতি উপনিষদগুলি অথব বেদান্তর্গত বলিয়া প্রসিদ্ধ। অথব বেদের মস্ত্রের প্রয়োগবিধিসম্বলিত সূত্রগ্রন্থ পাঁচখানি—কৌশিক, বৈতান, নক্ষত্র কল্প, আঙ্গিরসকল্প ও শাস্তিকল্প। এতদূব্যতীত একখানি পরিশিষ্টও আছে। অথব বেদের প্রাতিশ{খ্য চারি অধ্যায়ে সম্পূর্ণ। i অর্থব বেদের নয়ট শাথা–পৈপ্পলাদ, তৌদ, মোঁদ, শৌনকীয়, জাজল, জলদ, ব্রহ্মবদ, দেবদর্শ এবং চারণবৈদ্য। শৌনকীয় শাখার সংহিতাগ্রস্থই এক্ষণে পাওয়া যায়। এই শাখার সংহিতাই মুদ্রিত হইয়াছে। পৈপ্পলাদ শাখার ভূৰ্জপত্র লিখিত একখানি, মাত্র পুথি পাওয়া গিয়াছে। ফটোগ্রাফির সাহায্যে প্রত্যেক পত্রের প্রতিকৃতি লইয়া উহার কয়েক খণ্ড নকল প্রস্তুত হইয়াছে। প্রবাদী—কাৰ্ত্তিক, ১৩২১ , [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড গোপথ-ব্রাহ্মণ হইতে জানা যায় যে অথববেদের পাচথানি উপবেদ—সপবেদ, পিশাচবেদ, অমুরবেদ, ইতিহাসবেদ এবং পুরাণবেদ । চরক সুশ্রুতাদির গ্রন্থে আয়ুবেদ অথব বেদের উপবেদ বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। কিন্তু বেদজ্ঞগণ উহাকে ঋগ বেদের উপবেদ বলিয়া নিদেৰ্শ করিয়াছেন। পদ্যাত্মক মস্ত্রের নাম ঋক্, গদ্যাত্মক মন্ত্রের নাম যজুঃ, এবং গণনাত্মক মস্ত্রের নাম সাম। অথর্ববেদে প্রথমোক্ত দুই প্রকার মন্ত্র আছে। এজন্য, “অথব বেদ ক্রয়ীর অন্তগত নহে, কামুণ ত্রয়ী বলিতে ঋগ যজুঃ ও সাম বেদকে বুঝায়”—এরূপ বলা ভ্ৰমাত্মক । অথববেদ সংহিতা পরিমাণে ঋগ বেদ সংহিতা অপেক্ষ। অনেক ছোট । ঋকৃসংহিতার মন্ত্রসংখ্যা প্রায় ( কিঞ্চিদধিক ) দশ হাজার, অথব সংহিতার মন্ত্রসংখ্যা প্রায় (কিঞ্চি,ানু) ছয় গঙ্গার। প্রায় বারশত মন্ত্র উভয় সংহিতায় সাধারণ । এগুলি বাদ দিলে, অথব সংহিতা ঋকৃসংহিতার অৰ্দ্ধেকেরও, কম হয়। কিন্তু ধৰ্ম্ম, দর্শন, পুরাণ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, সামাজিক রীতিনীতি, আচার ব্যবহার প্রভৃতি বিষয়ের জ্ঞানলাভার্থ উভয়েরই প্রয়োজলীয়তা সমান । এমন কি ব্রহ্মবিদ্যা প্রভূতি কতিপয় বিষয়ে অথব সংহিতা হইতেই অধিকতর জ্ঞান লাভ করা যায়। এই ব্রহ্মবিদ্যার আকরও ব্রহ্মনামক ঋত্বিকের কৰ্ত্তব্য প্রতিপাদক বলিয়া অথব বেদ ব্রহ্মবেদ নামেও অভিহিত হয়। সায়ণাচাৰ্য্য অথব সংহিতা-ভাষ্যের উপোদঘাতে লিথিয়াছেন—“এবং সারভূতত্ৰহ্মাত্মকত্বাদৃ ব্ৰহ্মকৰ্ত্তব্য প্রতিপাদনাচ্চ আয়ং ব্ৰহ্মবেদ ইত্যপি অtখায়ুতে।” . সায়নাচার্য্যের মতে ঋক্, যজুঃ ও সাম—এই তিন বেদ স্বৰ্গরূপ পারলৌকিক ফল প্রদান করে মাত্র, কিন্তু অথববেদ ঐহলৌকিক ও পারলৌকিক উভয় প্রকার ফল প্রদান করে . ইহাতে নানা প্রকার ঐহিক ফলের মধ্যে ংগ্রামজয়, ইষুখড় গাদিনিবারণ, শত্রুসৈন্ত প্রশমন প্রভূতি রাজগণের উপযোগী অনেকগুলি ফলও বিহিত হইয়াছে। এজন্য রাজপুরোহিতের অথবৰ্ণ মন্ত্র ও ব্রাহ্মণের জ্ঞান আবশুক-ইহা নানা পুরাণ ও নীতি শাস্ত্রে উক্ত