পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ8 না যে, তাহাদের কথা সৰ্ব্বৈব মিথ্য। অতএব সংস্কৃত পণ্ডিতগণের যাহাতে ঐ দেশান্তরের মনীষিগণের সহিত এই বিষয়ে আলোচনার,-বাদপ্রতিবাদের একটা যোগ থাকে, তাহার একটা উপায় হয়, তাহ করা সৰ্ব্বতোভাবে কর্তব্য ; বিশেষতঃ সংস্কৃত সাহিত্যই সঁহাদের আজীবন সেবনীয় ও ধৰ্ম্মের আদর্শপ্রদ, র্তাহাদের পক্ষে ইহা ত আগু ও অবশু কৰ্ত্তব্য । আজীবন সংস্কৃত সাহিত্য অধ্যয়ন করিলেও আমাদের পণ্ডিত মহাশয়গণের অধিকাংশই বৈদিক সাহিত্যের সহিত একেবারে অপরিচিত থাকিতেছেন। বেদ র্যহাদের ধৰ্ম্মশাস্ত্র, যে কোনরূপেই হউক না কেন, বেদের দোহাই না দিলে র্যtহাদের দৈনিক কাৰ্য্যকলাপ পর্য্যন্ত বন্ধ হইয়। যায়, তাহীরা তাহার দিকে কোন ক্ৰক্ষেপ না করিয়া, পাণ্ডিত্যাতিমানে দিন কাটাইতেছেন, আর র্যাহাদের কেবল ঔৎসুক্য চরিতার্থতাই শেয প্রয়োজনরূপে দাড়ায়, র্তাহারা সাতসমুদ্র তেরনদীর পারে বসিয়া দিনের পর দিন, বৎসরের পর বৎসর অবিশ্রান্ত পরিশ্রমে তাহাকে লইয়৷ কাটাইয়া দিতেছেন, ইহা অপেক্ষ দুঃখের বিষয় কি হইতে পারে ? ইহার কি একটা প্রতীকণর হইবে না ? আমরা নিজের শাস্ত্রকে, নিজের ধৰ্ম্মশাস্ত্রকে নিজে পড়িব না ? সংস্কৃত সাহিত্য বলিতে কেবল ব্রাহ্মণ্য সাহিত্য বুঝ যায় না। ঐ যে ইহারই পাশ্বে পৌদ্ধ ও জৈন নামে দুই বিশাল বহুবিস্তীর্ণ সাহিত্য পড়িয়। রহিমাছে, সংস্কৃত শিক্ষার্থীকে কি তাত আলোচনা করিতে হইবে না ? কত কত উপাদেয় বিযয় যে, সংস্কৃত ভাষাতেই ঐ দুই সাহিত্যে রহিয়াছে বিশেষজ্ঞগণের নিকট তাহা অবিদিত নহে । তাহা ছাড়া পালি ও প্রাকৃত সাহিত্য আমাদের সম্মুখে অনাদৃত হইয়। পড়িয়া রহিয়াছে। সংস্কৃত শিক্ষার্থীরা যে, অত্বিসহজে ইহা আয়ত্ত করিতে পারেন ; এবং তাহদের ইহা করা অবশু কর্তব্য । বৌদ্ধ ও জৈন নামে এত বড় দুইটি ধৰ্ম্ম পাশাপাশি প্রচারিত হইয়া ভারতের" সৰ্ব্ববিষয়েই কি পরিবর্তন আনিয়া দিয়াছে পরবর্তী পুরুষগণের জন্ত কি সমৃদ্ধিই রাখিয়া গিয়াছে, অনায়াসলভ্য হইলেও কেন আমাদের সংস্কৃত পণ্ডিতগণ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩২১ SSAAAA SAS A SAS S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S SSS JSSS SSS S S S S S S S S S S JS SSAAAS S S S S S S S S S S S S S S S S S S ' [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড S A S A S A S A S A S A S A S A S A S A S A S A S A S S S S SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S SMSSSSمسمعه তাহা আলোচনা করিবেন না ? কেন তাহার। এদিকে চক্ষু নিমীলিত করিয়া থাকিবেন ? তাহাদিগকে গভীর ভাবে আলোচনা করিয়া ইহার রত্বরাজিসমূহ প্রকাশ • করিয়া দিতে হইবে । ** সংস্কৃত শিক্ষাটাকে সঙ্কীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ করিয়া রাখিলে চলিবে না । ইহাকে উদার ভিত্তির উপর দাড় করাইতে হইবে, এবং এইরূপ ছিল বলিয়াই আমাদের সংস্কৃত ভাষী রাজরাজেশ্বরী হইয়। রাজসিংহাসনে বসিয়াছিলেন। ঐ আমাদের পাশেই—ঘরের এ দুয়ারে ওদুয়ারে কতকাল হইতে মুসলমানের বাস করিয়া আসিতেছেন, র্তাহীদের সহিত আমাদের আত্মীয়তাও বহুদিন হইতে জন্মিয়াছে এবং তাহ ঘনিষ্ঠ ভাবেই, কিন্তু কৈ, আমরা ংস্কৃত পণ্ডিতগণ তাহাদের ধৰ্ম্মটা যে কি একবারও কি কথন কোরাণ-শরিফের এক-আধটা ছেঁড়া পাতাও উণ্টাইয়া দেখিয়াছি ? ভগবানের বিভূতি যে সৰ্ব্বস্থানেই প্রকাশিত হইতেছে ; এবং তাহারই প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন দেশে বিভিন্ন জাতিতে ভিন্ন ভিন্ন সত্য প্রকাশ পাইয়াছে, পাইতেছে, এবং অন্য অন্ত লোকেরা তাহাই গ্রহণ করিয়া জীবনকে সার্থক করিয়৷ তুলিতেছে। আমরা যদি এই সকল দেশ দেশান্তরের মতবাদগুলির খোজ আর কিছুই না রাথি, তাহা হইলে এক দিকে ত কাহাকেও চিনিলাম না, অপর দিকে বৈজ্ঞানিক ভাবে নিজেকেও পরীক্ষা করিতে পারিলাম না । এবং তাহা হইলেই আমাদের শিক্ষ। সম্পূর্ণ হইল না। কেন আমাদের সংস্কৃত পণ্ডিতগণ এই সমস্ত আলোচনা না করবেন ? যদি বা তাহাদের এই সকল মতে কোন প্রতিকুল কথা বা ভাব থাকে, তবুও কি তাহা কখনো আলোচনার অযোগ্য হইতে পারে ? কৌৎসের মতও ত নিরুক্তকার লিখিয়াছেন, প্রজাপতি বা বৃহস্পতির কথাও ত উপনিষৎকার ও ভারতকার বলিয়াছেন। রামাদিবৎ প্রবৰ্ত্তিতবং ন রাবণাদিবৎ, ইহাও ত আমরাই শিক্ষা দিয়া থাকি। একদেশদশী এবং তাহাও অতি অসম্পূর্ণ ভাবে হইয়৷ থাকিলে সংস্কৃত পণ্ডিতগণের কিছুতেই চলিবে না । দর্শন শাস্ত্র ত আমরা অস্মরণীয় কাল হইতে আলোচনা করিয়া আসিতেছি, কিন্তু তাহাতে আমরা কি প্রণালী