পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१b’ t निन नबझाब्र कद्रव, cनश् निने नभएाब नङा श्रव । नईcज छूनूठेठ হয়ে মৃত্যুর মধ্যে যে নমস্কার করতে হয়, সেই মৃত্যু থেকে বাঁচাও । দেশদেশাস্তরে তোমার যত স্বত্ব সন্তান আছে, হে পিতা, তুমি প্রেমে ভক্তিতে কল্যাণে সকলকে এক ক্ল কর তোমার চরণতলে । নমস্কার সৰ্ব্বত্র ব্যrপ্ত হোকৃ। দেশ থেকে দেশগুরে জাতি থেকে জাতিতে ব্যাপ্ত হোকৃ। বিশ্বানি ছুরিতানি পরামব । বিশ্বপ পেয় সে মুৰ্ত্তি আজ রক্তবর্ণে দেখা দিয়েছে, সেই বিশ্বপাপকে দূর করণ ম’ মা হিংসীঃ । বিনাশ থেকে রক্ষা কর । ( তত্ত্ববোধিনী-পত্রিক ) স্ত্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। —o-— লোকশিক্ষা ও শিক্ষিত সমাজ – পূৰ্ব্বে প্রাচীন জমিদারগণ অধিকাংশ সময়ে উহাদের পল্লীভবনেই বাস করিতেন। তাহদের উৎসব প্রভূতি ধুমধামে পল্লীবাসী দরিদ্র প্রজাবর্গের cयां★ ¢नं Gङ्गाँध्न অধিকার ছিল । প্রতিবেশী अयंश्छद्रं श९ ।। দুঃখের সঙ্গে তাহদের জীবন জড়িত ছিল। দিঘী ও পুষ্করিণী খনন স্বারা উrহাৱা সাধারণের অশেষ কল্যাণ করিতেন । মোটামুটি তাহারা প্রজার নিকট হইতে যে অর্থ আদায় করিতেন, নানা প্রকারে তাহার অধিকাংশ প্রজার কল্যাণকল্পে বায়িত হইত। এখন সে অবস্থার বহুল পরিবর্তন আরস্ত হইয়াহে । হাল ফ্যাশানের ইংরেজীনবিশ জমিদারকুল সম্বরে সভ্যতার বিপাকে পড়িয়া পল্লীসমাজের প্রতি বিমুখ হইয়া পড়িয়াছেন। • “ হামিলটন ও হোছাইটওয়ের বিলের তাড়নায় ব্যাকুল হইয়া উাহারা সময় সময় দরিদ্র প্রজাকুলকে স্মরণ করেন বটে, কিন্তু সেই স্মরণ তাহীদের পক্ষে মরণ-স্বরূপ হয়। পাশ্চাত্যদেশে অধিকাংশ লোকই সহরে বাস করে । আমাদের দেশে হাজারের মধ্যে ৯৭৬ জন লোক পল্লীতে বাস করে। অতএব সমগ্র দেশের কল্যাণ করিতে হইলে পাশ্চাত্য দেশের দ্যায় সহরের দিকে দৃষ্টি বন্ধ রাখিলে চলিবে না, পল্লীর দিকে অধিকতর মনোযোগ দিতে হইবে । এই ত ধনিসম্প্রদায়ের কথা । তারপর মধ্যবিত্ত শ্রেণীর শিক্ষিত সম্প্রদায়। সকল দেশের ন্যায় আমাদের দেশেও এই শ্রেণীই যথার্থ পক্ষে সমাজদেহের হৃৎপিণ্ড স্বরূপ, যেখান হইতে প্রতিদিন সৰ্ব্বত্র প্রাণশক্তি নানা ধারায় সমগ্র সমাজদেহে সঞ্চারিত হইতেছে । এই শ্রেণীর শীর্ষস্থানে বিরাজ করিতেছেন উকীল, বারিষ্টার, ডাক্তার ইত্যাদি কলিকাতার স্বাধীনম্যবসায়ী বড়লোকগণ । ইহাদের যাহারা বিদ্যাবুদ্ধি ও যশ মানে যত বেশী উদ্ধে উtহাদের চিত্ত তত অধিক বহির্মুখীন। দেশের বারে আনার বেশী লোক থে ধরণে জীবন যাপন করে, বিবিধ কৃত্রিম বৈলাতিক অভ্যাস ইইদিগকে সেই ধরণের জীবনযাত্রা হইতে বহু দূরে ঠেলিয়া রাখে। ইহঁদের ত্ৰিসীমামায় পল্লীর হাওয়া প্রবেশ করিতে পারে না । এই সম্প্রদtয় ইয়োরোপের প্রাণস্বরূপ স্বজাতিপ্রেমকে বাদ দিয়া তাহদেয় পাৰ্থিল বিলাস ও ধণাভিমানকে অমকরণ করিয়াছেন। ইহঁাদের মধ্যে কেহ কেহ প্রাদেশিক সমিতির সভাপতির আসন ফলস্কৃত করিয়া বিদেশীয় ভাষায় বাগ্মিতার তরঙ্গ তুলিয়। শিক্ষিত যুবকদিগকে তাঙ্কু লাগাইতে পারিলেও—উtহাদের ভাব ও চিন্তা জনসাধারণের চিত্তকে স্পর্শ করিতে পারে লা। উtহাদিগের জীবনযাত্রার প্রণালী হইতে আরম্ভ করিয়া কথাৰাৰ্ত্তার ভঙ্গী পৰ্য্যন্ত প্রত্যেক ব্যাপার প্রতিনিয়ত জনসাধারণের সহিত র্তাহীদের ব্যবধানকে আরও দূরতর করিতেছে। প্রবাসী—কাষ্টিক, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ७१९ छैशद्रा निtछब्राe "निख बांमङ्गभ गद्रवानौ"ब्र छांग्न श्ब्रा থাকেন । জনসাধারণের কল্যাণ করিতে হইলে, এ সকল কৃত্রিম ব্যবধানগুলিকে দূর করিয়া জীবনযাত্রার সহজ সরল প্রণালী অবলম্বন করিতে হইবে। ভারতে যাহার। সাধারণের কল্যাণে জীবনকে উৎসর্গ রিয়াছিলেন–র্তাহার। জ্ঞানের গরিমায় একদিকে যেমন হিমালয়ের মত উন্নত ছিলেন, প্রেমের উদারতার তেমনি আবার দীন হইতেও দীনের মত ছিলেন । আমাদের দেশের শিক্ষার একটী গুরুতর ক্রটি এই যে তাহ1 মানুষকে প্রাণবালু করে না । একটা ফরাসী যুবক বন্ধুকে কথা প্রসঙ্গে একদিন জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম “তুমি ভবিষ্যতে কি করিবে ?" ফরাসী বন্ধুটি উত্তেজিত হইয়। বলিলেন “আমার প্রাণ উদ্যমে পরিপূর্ণ, কিন্তু উপযুক্ত কৰ্ম্মক্ষেত্র পাইতেছি না। আমি মলিলাম "কেন তোমাদের দেশে নানা বিষয়ে অস:থ্য কাজ করিবার ক্ষেত্র রহিয়াছে।” বন্ধু উত্তর করিলেন “সহস্ৰ সহস্ৰ লোক সে সকল ক্ষেৰে সাধনা করিতেছে । আমি নূতন কৰ্ম্মক্ষেত্র চাই। যদি কোনও কর্মক্ষে ত্ৰ না জুটে তবে মিশরের মরুভূমিতে অথব1ভারতের হিমালয়খৃঙ্গে ঘুরিয়া বেড়াইব ।" প্রাণের অপ্রতিহত বেগকে রোধ করিতে না পারিয়া ইহারা দিগ্বিদিকে চুটিযা বাহির হইতে চায়। আমাদের দেশের শিক্ষা সেই প্রাণ সঞ্চার করিতে পারিতেছে মা । এই পাণের অভাবেই আমাদের দেশের শিক্ষিত যুবকগণ স্বাথাম্বেষী ও আত্মসেবী হইয়া পড়ে । অপরের জন্য নিজেকে দেওয়ার শক্তি আনাদের মধ্যে বড় একটা জাগ্রত হয় না। তাহারই ফলে আধুনিক কোনও কৰ্ম্মচেষ্টার মধ্যে জনসমাজের প্রাণের যোগ দেখা যায় না । স্বর্থের বিষয় এই যে এষ্ট উদাসীনতাকে দূর করিবার জন্য সৰ্ব্বত্র একটা নূতন প্রয়াস লক্ষিত হইতেছে। কেহ কেহ অবমত ও উপেক্ষিত জাতির মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের চেষ্টা করিতেছেন। কলিকাতাতে নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করির কুলি মজুরদিগকে শিক্ষাদানের চেষ্টা হইতেছে । কোনও কোনও সংবাদপত্র দরিদ্র পল্লীবাসীর অভাবাণি সম্বন্ধে প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়া নবীন যুবকসম্প্রদায়ের চিস্তা-স্রোতকে এই দিকে পরিচালিত করিতে সাহায্য করিতেছেন । এই শুভ সূচনার প্রারস্তেই আমরা দেখিতে পাইয়াছি ণে দেশের নানা স্থানে বহুসংখ্যক শিক্ষিত যুবক তাহীদের চিত্তকমলগুলিকে মানব-কল্যাণের শুভ্র আলোকপানে উন্মুখ করিবার জঙ্ক ব্যাকুল হইয়া উঠিয়াছেন। এই সেবকদল সংখ্যায় নগণ্য হইলেও ইহঁরা শক্তিমান । করাণ ইহারা নীরব কৰ্ম্মী-ইহঁাদের পশ্চাতে যশস্বী লেতার উত্তেজনাবাণী নাই—বাহবাওয়ালদের করতালিধ্বনি নাই । পল্লীগ্রামের প্রধান অভাব শিক্ষার অভাব । কারণ স্বাস্থ্য ও অর্থের অভাব দূর করা সহজ হয় যদি উপযুক্ত শিক্ষা থাকে স্বথের বিবয় এই যে বর্তমান সময়ে সৰ্ব্বত্রই জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা লাভের প্রবল আকাঙ্গ জাগ্রত হইয়াছে। অনেক নুতন বিদ্যালয়ও স্থাপিত হইতেছে। এ সময় আমাদের একটি বিষয়ে বিশেষরূপে দৃষ্টি রাখিতে হইবে—যাহতে এই সকল বিদ্যালয়ের ভার উপযুক্ত শিক্ষকের উপর অপিত হয়। যাহার শিশুদিগকে কলের মত শিক্ষা দেয় এরূপ শিক্ষকের সংথ্যাই অধিক। শৈশব হইতে শিশুর হৃদয়ে মহুত্বের বীজ অঙ্কুরিত করিতে পারে, তাহার অস্তরে কল্যাণকর্থের শুভ অtকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করিতে পারে, এমন শিক্ষকের একাত্ত অভাব । সেই অভাবের জগুই আমাদের দেশের বিদ্যালয়গুলিত্তে মনুষ্যজীবিকাশপ্রাপ্ত হয় না। রবীন্দ্রনাথ এক জায়গায় লিখিয়াছেন