পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] a চীন ও জাপানে ভ্রমণবিররণ Ꮌ☾ চান-প্রবাদী পাণ বণিক মিঃ তালাত, ডাঃ নাগ, মিঃ ইষ্ট ও অধ্যাপক বই আশ্চৰ্য্য ব্যাপার দেখেছি, যা আমাকে আনন্দ দিয়েছে। সেটা হচ্ছে এই–এটা-একটা ঘাটের মত জায়গা, যেখানে চীন, জাপান, জাভা, হুমাত্রা অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের লোকের আনাগোনা চলে। এখানে নানা-জাতীয় লোকের সমাবেশ, তা সত্ত্বেও পরস্পরের ভিতর কোনরকম বিদ্বেষবুদ্ধি জাগেনি। মকলের ভিতর একটা নম্ৰত অাছে ৷ হবে সেখানে একটা জিনিষ আছে ভাববার কথা । চীনদেশ থেকে বৎঙ্গর শ্রমজীবী মালয় উপদ্বীপে এসে সমস্ত মালয়কে প্রায় অধিকার করেছে, সেখানকার দেশবাসী সারা তার পরিশম-বিমুখ। আমি তাদের দোষ দিইনে, তারা বলে আমরা কি অর্থ-উপার্জনের জস্কে মাপ বিকিয়ে দেবে ? অল্প-কিছুতেই তারা সস্তুষ্ট হয়, আর কাজ করতে চায় না বলে অর্থ যার চায়—মহাজন—তার বড় রাগ করে, বলে এর যথেষ্ট পরিশ্রম করতে বিমুখ, এজন্য এদের দ্বারা যথেষ্ট শায় হয় না। আর এইজন্ধে এদের উপর তার বিরক্ত । দুই দল লোক সেখানে কাজ করে –( ১ ) যারা চীনদেশ থেকে এসেছে. (২ ) যারা ভারতবর্ষ থেকে গিয়েছে। ভারতবর্ষ থেকে যে-সমস্ত শ্রমজীবী গিয়েছে, ষ্টাদের অধিকাংশ মালাজী, কয়েক অংশ পাঞ্জালী শিপ। চীন থেকে যারা এসেছে তারা দক্ষিণ-চীনের লোক-আমাদের দেশে যেমন চীনবাসী আসে—ক্যান্টনিজ । দেগা গেছে চীনদেশের এমন একজন লোক নেই যাকে হীন কৰ্ম্ম করে থাকৃতে হয়। তার দরিদ্র, নিজের ঘর ছেড়ে বিদেশে এসেছে ; দেখতে-দেখতে তাদের সমৃদ্ধি হয়েছে, তা'র জমি-জমা করেছে,বড়-বড় millar nhlutation (রবারের চৗধ)– ঐশ্বর্ষ্যের যে লক্ষণ, তা চীনেদের ভিতর প্রকাশ পেয়েছে, অথচ কেমন চীনে ভাব। আমাদের দেশের যারা এসেছে, তাদের মধ্যে সেই অকিঞ্চন ভাব। চেহারাও একই-রকম। মান্দ্রাজ-কুলী অবজা-ভাজন, তারা কুলী কুলী কুলী, তারাই সমস্ত ভারতবাসীর নাম করেছে কুলী। ७•la• cनके-७ब्र छtछ ठांप्नब छिब्रछौदन cषः मद्रष्ठ इब्र, উদত্ত কিছু থাকে না । বার কিছু উদৃত্ত থাকে, সে স্বাতন্ত্রা লাভ করতে পারে, তার ছেলে-পুলেদের শিক্ষা দিয়ে মানুষ করতে পারে। যার কিছু উদৃবৃত্ত থাকে না, সে পুরুষানুক্রমে চিরকালের জঙ্ক দাস্ত-বুত্তি করতে বন্ধ হয়েছে, আর এইজন্তে মাত্রাঞ্জীর অবজ্ঞা-ভাজন হ’য়ে রয়েছে, এ-কথা সকলের মনে রাখতে হবে এগুঞ্জ সাহেব সেখানে গিয়েছেন, তিনি মহাজনদের খুব গ'ল দেবেন, কিন্তু যার অর্থ উপার্জনকেই জীবনের শ্রেষ্ঠ আদর্শ মনে করে, তাদেরকে দয়া করে স্বয় করে বলে’ লাভ কি ? তারা বলবে, কেন দয়া করব, ওরা ৭• সেন্ট, ১ ডলার, ২ ডলার পায়, ওদের বেশী দেবো কেন ? সুতরাং ওকথা বলে অসন্মান দূর করতে পারব না, বরং যার জন্তে বলা সে দয়ার বোঝা হয়ে পড়ে। কেন চীনে কুলীদের জন্তে মহাজনদের বলতে হয় না, ওদের দয়া করে, কেন মাত্রাঙ্গী কুলীদের জঙ্কে বলতে হয়, তার কারণ অন্বেষণ করলে দেখব, মাত্রাঙ্গ থেকে যারা গিয়েছে, তারা পরস্পর সম্মিলিত হয়ে পরস্পরের সম্মান রক্ষা করতে অগ্রসর হয় না । একথা কেউ বলবে না, এস আমরা একত্র হয়ে একটা কাজ করি । তা করে না, পরস্পরকে শোষণ করতে পরম্পরের চেষ্টা। উপর থেকে যেমন শোষণ-শক্তি কাজ করছে, ওদের নিজেদের ভিতরতেমূনি শোষণ শক্তি তাদের দুৰ্ব্বল করেছে। সে যে কত বড় দুৰ্ব্বলতা সেখানে গেলে বোঝা যায়, এটা ভাববার বিষয়। মহাজনকে, তাদের অমানুষিকতাকে অবজ্ঞা করে, রাজি আছি, ঘৃণা করে, রাজি আছি, সে আলাদা কথা ; কিন্তু ওদের বেল বলতে হবে, তোমাদের যদি পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সন্মান না থাকে, প্রেম না থাকে, পরস্পরকে প্রক্ষা করবার জন্তে সকলে একত্র হতে না পারে, কেউ তোমাদের বাচাতে পারবে না, তোমাদের দুৰ্গতির অস্থ থাকবে না, চিরদিন তোমরা কুলী হ’রে থাকবে, সমস্ত ভারতবাসীর মাথা হেঁট করবে, নাম কলুধিত করবে । এ এক-দলের কথা । আর-এক দল পাঞ্জাবী শিখ, তার রাজশক্তির পিছনে-পিছনে আছে। রাজ-শক্তি যখন অস্তকে দলন করে, তখন সে ঘৃণ্য কাজের ভার ওদের উপর। তার যা ফল,তাই হয়েছে । রাষ্ট্র-শক্তির পিছনে