পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা] একটু-একটু ঠাণ্ডাও পড়ছে। হ’য়ে আসছে। একদিন মণ্ট, বললে, “কৃষ্ণার বিয়ে এই পূজার ছুটির পরেই হবে, আর বার দিন পরে তাদের ছুটি শুবে । কৃষ্ণার বিয়ে তাদের দেশে হবে।” মণ্ট বন্ধুর বিয়ের কথা ভেবে খুলী হ’য়ে উঠল । আমি ভাবতে লাগলাম, আর বারে দিন পরে ওদের ছুটি হবে, তার আগে একবার স্বধাকে ভাল করে দেখে নিতে হবে, কি জানি যদি আমার ছুটি শেষ হ’য়ে যায় স্কুলের ছুটি শেষ হবার আগেই । শরীর আরও খারাপ আজ বুধবার, পরশু ওদের ছুটি হবে, আমি আর পরশু অবধি অপেক্ষা কবৃতে পার্লাম না, খুব কষ্ট করেই জানলার পাশে গিয়ে বস্লাম । গাড়ী এল মনে হ’ল, সুধা খুব চেষ্টা করলে হাসতে, কিন্তু পারলে না । ছুটি শেষ হ’য়ে গেছে, কি করে যে দিনগুলি কেটে গেল মনে নেই। আমার চোখের জোর কমে আসছে, সঙ্গে-সঙ্গে মনের জোরও কম্ছে। কাকীমা আজকাল সারাদিনই আমার কাছে থাকেন। উঠতে আর পারিনে একেবারেই। মন্ট, একদিন খবর দিলে কৃষ্ণা এসেছে, তাদের স্কুল খুলেছে, তার বিয়ে এখন হবে না, মাঘ মাসে হ’বে । আমার ইচ্ছা করছিল, জানলার ধারে গিয়ে বসি, সুধাকে কতদিন যে দেখিনি। উঠ-বার শক্তি নেই। সেদিন যতীন-সামার সঙ্গে আরও দু-জন ডাক্তার এলেন । অনেকক্ষণ অামায় দেখলেন, তারা চলে’ গেলে পর দেখি কাকীমা জানালার কাছে দাড়িয়ে চোখ মুচছেন। আমি সবই বুঝতে পারলাম। কাকীমাকে ডাকাম আমার পাশে, তিনি আমায়ু আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন । আজ ৫ই নভেম্বর । কাল তিন বছর হবে স্বধার সঙ্গে ভাব হয়েছে । আজ সন্ধ্যাটা আর কাটুতে চায় না। রাত্রে বেশ ভালো ঘুমিয়েছিলাম, খুব ভোরেই ঘুম ভেঙেছে, শুনতে পেলাম সাম্নের মেসের সেই ছলেটি গান করছে এসরাজ বাজিয়ে— «ხა S AAAAAA SAAAAA AAA AAAAMAMAMAM MAMMAAA AAAA AAASS -- - -- “আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে ভোরের আলো মেঘের ফাকে-ফাকে ৷” আকাশে তখন আলোর থেলা স্বরু হয়েছে । সোনালী হয়ে উঠল, খুব ভালো লাগছিল । শরীরটা বেশ ভাল বোধ হচ্ছিল । দিন পর অনেকটা লিখে রাখলাম। দুপুরে ভয়ানক জর বেড়ে গেল ; মাথায় ভয়ানক যন্ত্রণা হচ্ছে, কাকীমা যতীন-মামাকে ডেকে পাঠালেন, তিনি এসেই কাকাবাবুকে র্তার আফিসে খবর দিলেন বাড়ী আসবার জন্তে । হঠাৎ একটা ভয়ানক শব্দ শোনা গেল। যতীনমামা দৌড়ে বাইরে গেলেন, একটু পরেই ঘরে এলেন স্বধাকে কোলে করে নিয়ে, আমি তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম । মণ্ট, দৌড়ে এসে বললে, কৃষ্ণার কিছুই লাগেনি, সে বাড়ী গেছে । স্বধাকে আমার ঘরেই ইজি-চেয়ারে শুইয়ে তার মাথায় বরফ দিতে লাগলেন কাকীমা ! আমার মাথা ঘূৰ্বতে লাগল, মনে হল স্বপ্ন দেখছি। Hēla-Ntsi etừntze qsszzia, "shell Petrol-sa বড় লরীখানা skid করে এসে পড়েছে বাসএর উপর গাড়ীখান ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে, সহিস, ক্যোচম্যান ও ঘোড়া বেঁচে গেছে কিন্তু এ-মেয়েটির অবস্থা খারাপ” । থানিক পরে বললেন, “ভয় নেই, এখনই জ্ঞান হবে, মেয়েটির তুমি মাথায় বরফ দাও, আমি সুদখি বেরিয়ে লরীখানা চলে গেল কি না” বলেই তিনি বাইরে গেলেন । আমি আনন্দে বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠে বললাম, “স্বধার তবে লাগেনি বেশী”, বলেই তার চেয়ারের পাশে গিয়ে তার হাতখানা আমার হাতে তুলে নিয়েই মাথা ঘুরে সেখানে পড়ে গেলাম। যখন জ্ঞান হ’ল, দেখি স্বধা নেই সেখানে, যতীনমামা আরও দু-তিন জন ডাক্তার বসে আছেন ঘরে । কাকীমা আর মণ্ট বসে আছেন মাথার কাছে । আমার ভারি ঘুম আসতে লাগল। যতীন-মামা বললেন, “এখন ঘুম এলে ভালো ।” তারা সব ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন । আমি কতক্ষণ পরে ঘুমিয়ে পড়লাম মনে নেই । সৰ সকালে আfজকে অনেক