পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6:S. প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খং খেলিতেছিল । ধীরে ধীরে তাহাদের পাশ কাটিয়া অজিত ভিতরে প্রবেশ করিল। আধো-আলো, আধোঅন্ধকার উঠামের একপাশে ধোপা-বৌএর ঘরেব ভিতরে তাহার দুই স্বামী-স্ত্রীতে কাপড় ইস্ত্রি করিতেছিল, এদিকের একটা ঘরে উড়িয়াদের তখন ‘রামলীলার’ ‘রিহারসর্ণল’ চলিতেছে,—স্তাকর কয়েকজন হাতুড়ি ঠক্ ঠক্‌ করিয়া গহন গড়িতেছে, কামার-শালাটা বন্ধ, কিন্তু তাহারপাশের ঘরে স্থখনলাল মিস্ত্রী একটি মাটির প্রদীপের স্বমুখে বসিয়া চোখে চশমা দিয়া চামড়ার স্থটুকেস’ তৈরী করিতেছিল। ভাঙা সিড়ির একটা ভাঙা ইটের উপরে কেরোসিনের যে-ডিবেট আলোর চেয়ে ধূম উদিগরণ করিতেছিল বেশী,—তাহারই সেই ঝাপসা অন্ধকারে পথ দেখিয়া হাতড়াইতে হাতড়াইতে অজিত তাহার রমেশ-দার ঘরে গিয়া প্রবেশ করিল। বস্তির ইতর লোক গুলাকে এবং বিশেষ করিয়া স্থখনলাল মিস্ত্রীকে জল বন্ধ করিবার মিটিং তখন সবেমাত্র শেষ হইয়াছে, কিন্তু গোলমাল তখনও থামে নাই । অজিতকে সে-সম্বন্ধে কেহ কোনও কথা না বলিলেও প্রোফেসার ও ম্যানেজারের যুক্তিপূর্ণ বাদানুবাদ এবং সেই কুস্তিগীর ভদ্রলোকের আস্ফালন শুনিয়া ব্যাপারটা বুঝিতে তাহার বিশেষ বিলম্ব হইল না । শেষ পর্য্যস্ত তাহার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছে যে, আগামী কল্য প্রাতে বস্তির মেয়েগুলাকে এবং কামার, স্যাকুর, উড়ে, ও সেই মুচি-ব্যাটাকে কলে জল লইতে নিষেধ করিয়া দেওয়া হইবে, তাহাতেও না শোনে,—কাল শনিবার, সকলেই সকাল-সকাল আপিস হইতে ফিরিয়া আসিবে, এবং বৈকালে তাহারা পুনরায় যখন জল ধরিবে, প্রোফেসার নিজে অগ্রণী হইয়। গায়ে পড়িয় তাহাদের সহিত অনর্ণক একটা ঝগড়া বাধাইয়া দিবে, তাহার পর সেই ঝগড়ার স্বত্র ধরিয়া কুস্তিগীর-মহাশয়, তাহাদের পালের-ধাড়ি ওই মুচি ব্যাটাকেই বেশ করিয়া ঘা-কতক বসাইয়া দিবেন। তাহা হইলেই সব ঠাণ্ডা হইয়া যাইবে এবং ভবিষ্যতে এই ইতরের ছোয়া জল ব্যবহার করিয়া তাহাদের সনাতন জাতি-ধৰ্ম্ম নাশের আর কোনও আশঙ্কা রহিবে না ; অজিতকে কাছে ডাকিয়। রমেশ বলিল, ওরে অজিত, শোন, কাল ত আর হবে না, পরশু রবিবার, আমার সঙ্গে হরিশ মুখুজ্যের রোডে একবার চ দেখি,—একজন উf আজ আমায় বলেছেন, কতকৃগুলো দলিল তার ওখ বসে’ বসে কপি করে দিয়ে আসবি, দুটো টাকা দেে বুঝলি ? টাকা-দুটো ম্যানেজারের কাছে জমা f দিস, নইলে তোর খাবার চার্জটা...-- সঙ্গে কিছু এ ছিস্ ? না সেদিকে অষ্টরগু!— অজিত অত্যন্ত লজ্জিত হইয়া বলিল, না রমেশ আসবার সময় মার কাছে কিছু পেলাম না । তবে এলি কেন বাপু ! বলিয়া রমেশ মুখ ফিরা তাহাদের কথা শুনিতে লাগিল । ম্যানেজার-বাবু বলিতেছিলেন, তুই ছোটজাত, এত বামুন রয়েছে মাথার উপরে—তাদের সঙ্গে ধরতে :ে এক-রকম বাসই কবৃছিস তুষ্ট,—তোর যে বাহান্ন পু নরক থেকে উদ্ধার হ’য়ে গেল, তার ঠিক আছে ? Coltrotto off, certainly. এইবার প্রোফেসারের দিকে মুখ ফিরাইয়া ম্যানে কহিলেন, তা ব্যাটা কোনদিন একজোড়া পাচসি চটিজুতো দিয়ে ৪ বলেছে ইn,—যে, নিয়ে যাও ঠা ছ-মাস পায়ে দিয়ে দেখো । ছোটলোকের পয়সা-ট না-হওয়াই ভালো, বুঝলে প্রোফেসার, তল-মাথা স করতে চায়। ওই যে কথায় আছে, বাদরের চুল ই বাধতে জানে না। প্রোফেসার বলিয়া উঠিল, হ্যাঃ ! পয়সা না ছাই করে Money এত cheap নয় ম্যানেজার-বাবু, ওসব বুঝছেন illiterate uneducated class foal food & Al, STEl SICA FIl- -disobedient, rogue ! কুস্তিগীর লাফাইয়া উঠিল, সব সিধা বানিয়ে দে। প্রোফেসার । কাল তুমি ঝগড়ার উটুট্রংটা’ একবার-তু দিও, বাস,--তার পর আমি দেখে নেবো । মারের ক বাবা সব জব । আমার এই ডান হাতের একখানা দ্ব --বাস------এই বলিয়া সে তাহার দক্ষিণ হস্তটি সক সম্মুখে একবার প্রসারিত করিয়া দেখাইয়া দিল । –এই ত! আর কি চাই ! মরদুকা বাত । হাতীক দাত ! বলিয়। ম্যানেজার তাহার সেই অপরি