পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭ર খ্ৰীঃ পূঃ ৪৬০ - কলিঙ্গে নন্দবংশের রাজত্ব । ২৩৬ -অশোকের মৃত্যু । ২২০ – কলিঙ্গের তৃতীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠ । ২১৩ -- সাতবাহন-বংশের রাজারম্ভ । ১৯৭ – ক্ষারবেলের জন্ম ( চেতবংশে ) । ১৮৮ – মগধে মৌর্য্যবংশের পতন - পুষ্যমিত্রের সিংহাসন লাভ । ১৮২ – ক্ষারবেল যুবরাজ । ১৮০ — সাতকণিসহ সংঘর্ষ । ১৭৩ – ক্ষরিবেলের রাজ্যাভিষেক । ১৬৫ -- প্রথম মগধ-আক্রমণ -- গোরথ গিরি সংগ্ৰাম । ১৬১ - দ্বিতীয় মগধ-আক্রমণ । ১৬০ – হস্তি গুম্ফা- গুহা-লিপি । ১৪৬- - কেতুভদ্র । কেতুমন - মঙ্গভারত কাল ।

১৪৬০ + ১৯২৪ -৩৩৮৪ অর্থাৎ এখন হইতে তিন সহস্ৰাধিক বর্য পূৰ্ব্বে মহাভারতীয় কুরুক্ষেত্র সমর । । কলিঙ্গরাজ্যে মেীয্য চন্দ্রগুপ্তসংবং প্রচলিত ছিল কেন ? কলিঙ্গরাজ্য মগধের অধীন থাকায় তথায় চন্দ্র গুপ অব্দ প্রচলিত হইবার সংশয় জন্মিতে পারে না । নগপরাজ নন্দের মুর নাম্নী এক পত্নী ছিলেন, র্তাহার গর্ভে চন্দ্র গুপ্তের জন্ম । মুরার নামাঙ্গুসারে চন্দ্র গুপ্ত মৌর্য্যবংশীয। “রাজমুরীয় কাল” নিশ্চয়ই এই মূর-সম্বান চন্দ্রগুপের রাজ্যাভিযেক বধ হইতে গণনা আরম্ভ ষ্টয়াছিল । মৌর্য্যবংশীয় পুরাণোক্ত চন্দ্র গুপ্ত নিশ্চয়ই খৃঃ পূঃ ৩২৭ অব্দে অভিষিক্ত হইয়াছিলেন । চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যভিযেক-কালের ১৬৫ বৎসর অতীত হইলে এই ইস্তিগুম্ফাগুহালিপি উৎকীর্ণ হইয়াছিল । রাজমুরীয় কালই চন্দ্রগুপ্ত সংবং ইহাতে কোন সংশয় নাই । লিপিতে উৎকীর্ণ দ্বিতীয় বর্ষের বিবরণে সাতকণি-সংঘর্য । এই সাতকণি তৃতীয় অন্ধ বংশীয় দাক্ষিণাত্যরাজ সাতবাহন। পশ্চিম বেরার প্রদেশে ইহার আবির্ভাব । ইহাদের লিপি ও মুত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই সাতধাহন-রাজগণ বারেন্দ্র পাল রাজগণের ন্যায় প্রজাশক্তির সাহাধ্যে রাজ্যলাভ করিয়াছিলেন । ইহার দাক্ষিণাত্যে বিশেষ শক্তি সঞ্চয় করিয়া উড়িষ্যার পশ্চিম সীমাপধ্যস্ত অগ্রসর

প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, מסאאכי [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড হইয়াছিলেন। ক্ষারবেল-লিপির পঞ্চমবর্ষের বিবরণে তিনশত বর্ষপূৰ্ব্বে খাল-খননের যে উল্লেখ রহিয়াছে, তাহা নবম নন্দরাজ নন্দী-বৰ্দ্ধনের সময়ে ঘটিয়াছে। ক্ষারবেল দুইবার মগধ আক্রমণ করিয়াছিলেন। প্রথম আক্রমণে রাজগৃহ-পতি বহুপতিমিত্র মথুরায় পলায়ন করিয়াছিলেন। এই বহুপতি বা বৃহস্পতি মিত্রই পুষ্যমিত্র। বৃহস্পতি পুষ্যানক্ষত্রের অধিপতি" স্থতরাং বৃহস্পতিমিত্র পুষ্যমিত্রের নামান্তর হইতে পারে । পুরাণে এইরূপ নামান্তরের দুষ্টান্ত বিরল নহে—বিম্বিসার শ্রেণীক, অজাতশত্ৰু কুনীয়, অশোক প্রিয়দশী প্রভৃতি । মৌর্য্যবংশীয় শেষ সম্রাট বৃহন্দ্রথের শ্লথ কর হইতে তাহার সেনাপতি স্বঙ্গবংশীয় পুষ্যমিত্র আর্য্যাবর্তের শাসনদণ্ড কাড়িয়া লইয়া স্বয়ং পাটলিপুত্রে সম্রাটু হইয়াছিলেন । এই ঘটনা ১৮৮ খৃঃ পূঃ অন্ধে ঘটে । বহুপতি( বৃহস্পতি ) মিত্র ও পুষ্যমিত্ৰ ধে একই ও অভিন্ন ব্যক্তি তাঙ্গর সংশয় জন্মিতে পারে না । মৃতরাং পুষ্যমিত্র যে ১৮৮ খৃঃ পূঃ অব্দে মগধের সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন তাহ নিৰ্দ্দেশ করা যাইতে পারে । কলিঙ্গে যে মহা ভারতীয় যুগ হইতে আর্য্যাধিকার বিস্তার হইয়াছিল এবং আয্য রাজগণ রাজত্ব করিয়াছিলেন তাহার প্রমাণ পাওয়া যায় । সম্রাটু ক্ষারবেল আপনাকে বাজৰ্ষিবংশসম্ভূত বলিয়া বর্ণনা করাইয়াছেন; তিনি স্পষ্টতঃ ক্ষত্রিয় বলিয়া পরিচয় দেন নাই । তাম্রলিপ-রাজ্যের রাজর্ষি ময়ূরধ্বজ-বংশের সহিত এই ক্ষারবেলের আত্মীমৃতী-সম্পর্ক অনুমান করা যাইতে পারে। শিশুনাগ নন্দ রাজগণের এবং মৌধ্য সম্রাটুবংশের সমকালে বা তৎপূৰ্ব্বে এই অঞ্চলে রাজর্ষি ময়রধবজবংশ বর্তমান ছিল । গ্রীকদূত ও চৈনিক পরিব্রাজকগণের লিখিত ইতিবৃত্তে তাম্রলিথ-রাজ্যের কথা বিবৃত আছে। মহাভারতে তাম্রলিপ্তরাজ ময়রধবজের উল্লেখ আছে। জৈমিনীয় মহাভারতে এই রাজষি ময়ূরধ্বজের অলৌকিক কাহিনী বিবৃত হইয়াছে, এখনও তাহার প্রমাণস্বরূপ শ্ৰীকৃষ্ণ ও অর্জন যুগলমূৰ্ত্তিতে তমলুকের জিষ্ণুহরি মন্দিরে বিরাজমান। আমরা পূৰ্ব্বতন ঐতিহাসিক অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিয়া তাহাকে রাজর্ষি ময়ূরধ্বজ-বংশের সহিত একবংশীয় বলিয়া ধরিয়া