পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ]

  • صمہمہ سمنہایت معیعیے.

সংখ্যক পাঠান এদেশে এসে আস্তানা গেড়েছে । গুজরান্‌ ঘুলি থেকে একদল শিখ৪ এখানে এসে বেশ গুছিয়ে নিয়েছে। শিখ গুরুদ্বার, বিষ্ণু মন্দির প্রভৃতি ভারতীয় সম্প্রদায়গুলিরই প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিপত্তিরই পরিচয় ইংরেজের বাণিজ্য-নীতি ৭৩ প্রদান করে । ভারতবর্ষের এত কাছে এশিয়ারই একটা দেশ ধাপে ধাপে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে, এ-সংবাদ ভারতবাসী মাত্রেই যে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করবে, ত’তে আমাদের কিছুমাত্র সন্দেহ নেই। ইংরেজের বাণিজ্য-নীতি শ্ৰী জ্যোতিভূষণ সেন ইংরেজ সম্পাদক অবলম্বন করিবার এ-দেশের ইংরেজ বণিক্‌ ও ভারতীয় বাণিজ্যে সংরক্ষণ-নীতি কথা উঠিলেই তাছার প্রতিবাদ করিয়া থাকেন ? অকস্মাং তাছাদের হৃদয় ভারতীয় জনসাধারণের জন্য উদ্বিগ্ন হইয়া উঠে । ভারতীয় ক্লষকের ভবিষাং চিস্তা করিয়৷ এইসকল বণিকুকুল ও সম্পাদকবর্গ বিনিদ্র রজনী সfপন করেন । তাহারা নানা প্রকারে প্রচার করিতে চান ধে, ইংলণ্ডের বর্তমান ধনবত্তার কারণ আর কিছুই নছে, উহা অবাধ বাণিজ্যের ফল । তাহারা উচ্চ কণ্ঠে অবাধ বাণিজ্যের গুণগান করেন ও ইংরেজের বাণিজ্যনীতির উদারতা ও নিঃস্বার্থতা প্রচার করেন । ইংরেজ-জাতির ধনব ত্তার কারণ অবাধ বাণিজ্য কি না ও ইংরেজের বর্তমান অবাধ বাণিজ্য-গ্রহণের মূলে কি তাই আলোচনা করা যাউক,—ইংরেজ-বাণিজ্যের আদিম অবস্থায় হইতে আরম্ভ কর। বাউক । খৃষ্টের জন্মের পূৰ্ব্বে ফিনিসিয় বণিক্‌ ইংলণ্ডে টিন ক্রয় করিতে আসিত। রোমান অধিকারে ইংলণ্ডের কৃষি উন্নতি লাভ করে এবং অন্যান্য ধাতুর সহিত ইংলণ্ডের শস্যও বিদেশে রপ্তানি হইতে থাকে। স্যাক্সনদের রাজত্বকালে ইংলণ্ডের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রধানতঃ বিদেশীয় বণিকৃদের হাতে ছিল । ইংলণ্ডের রাজার। ইংরেজদিগকে বাণিজ্যে উৎসাহিত করিতেন । এই সময় যে-বণিক্‌ বাণিজ্যের জন্য তিনবার সমুদ্রযাত্রা করিত, তাহাকে Thanoএর অধিকার দেওয়া হইত । > e ইউরোপের মুসলমানদের নরম্যান অধিকার-কালে ইংলণ্ডের সহিত বাণিজ্য রীতিমত ভাবে আরম্ভ হয় । সহুিত ধৰ্ম্মযুদ্ধে (Crusado) ভূমধ্য-সাগরের তীরবর্তী বড় বড় বাণিজ্য প্রধান নগরগুলির সঙ্গিত ইংলণ্ডের পারচয় ও বাণিজ্য-সম্বন্ধ স্থাপিত হয়। ধীরে ধীরে ইংলণ্ডের বাণিজ্য দ্বৈপায়ন (insular) অবস্থা হইতে ইউরোপের ও পৃথিবীর অন্যান্য হাটে প্রসার লাভ করিতে থাকে । চতুদশ শতাব্দীর পূর্ব ভাগ হইতে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ইংলণ্ডের সহিত ইটালীর বাণিজ্য-সম্বন্ধ ঘনিষ্ঠ হয়। পশু-পালন, বিশেষতঃ মেষ পালন, ইংলণ্ডের অতি প্রাচীন ব্যবস। পশমশিল্পে ইংরেজের অসাধারণ উন্নতির নানা কারণের মধ্যে ইহাও একটি । স্বশ্ব বঙ্গ, রেশম, তুলাজাত নানাবস্তু কাচ, মদ, ও অন্যান্য বিলাস-দ্রব্যের পরিবর্বে ইটালীর বাণিজ্যতরী ইংলণ্ড হইতে চামড়া, শস্য, পশম, ও ধাতু লইয়া যাইত । মধ্যযুগে উত্তর ইউরোপের বাণিজ্যে হান্‌সিয়াটিক লীগের বিশেষ প্রতিপত্তি হয় । এই লীগ উত্তর জাৰ্ম্মাণীর একটি বণিক-সম্প্রদায় । এই লীগের বহু শাখা ছিল, ইংলণ্ডেও একটি শাখা স্থাপিত হয় । কাঠ, পশুর লোম, তামা, মাছ এইসকল বস্তুর পরিবর্তে লীগ ইংলণ্ড হইতে ইংলণ্ডজত দ্রব্য গ্রহণ করিত। এই লীগের সহায়ে ইংলণ্ডের বাণিজ্য নানা স্থানে প্রসার লাভ করিয়াছিল। বাণিজ্য-শুষ্ক নানাদেশে অতি প্রাচীন কাল হইতে கு