পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড BBBB BBBSBBB BBBS BBBB BBB BB BBBB BBB SBBBBB BB BBB BB BBBB BB BBB BBB BBS শেওলা জন্মিয়াছে । সোপানের দুই প্রাস্তে-যে দুই এঞ্জেলের প্রতিম। ছিল, তাহার মধ্যে একটা, স্বীয় পাদপীঠের উপর দঁাড়াইয়া আছে । আর একটা নীচে গড়াইয় পড়িয় মুত্তিকার মধ্যে নিমজ্জিত হইয়াছে। বাড়ীর অভ্যস্তরে, একটা খোল উঠান, এবং উঠানের মধ্যস্থলে একটা কুপ, উহার লোহার গরাদে বাহিয়া কতকগুলা আগাছ উঠিয়াছে। পূৰ্ব্বে কামরার ভিতর যেসব বিলাস-সামগ্রী ছিল, তাহার কিছু কিছু চিহ্ন এখনও আছে। বিবিধ আস্বীব ও দেওয়ালের উপর, যে সাটিন, কিংপাপ ও মখমলের প্রাচুর্য্য ছিল, তাহা এক রাজার ঐশ্বয্যের সমান : জরির পাড়, আলোর, পর্দা, গালিচ-আরও বহু মূল্যবান কত জিনিষ . কিন্তু সমস্তই পুরাতন, রংজ্বল, কাল-বশে স্বয়গ্ৰস্ত । পর্দার ধারের সাটিন স্নান হইয়। গিয়াছে, কেদারার বসিবার স্থান সূত্রমাত্রাবশিষ্ট ; ফেমের গিস্টির কাজ টুক্র টুকরা হইয়া ভাঙ্গিয়া পড়িয়ছে। কব জার উপর দপ্লঞ্জ। ভাল করিয়া ঝুলিতেছে না ; এবং জীর্ণ গালিচার নীচে মৰ্ব্বেল টাইলগুলা খটখট করিয়া নড়িতেছে। চাঁদোয়, রেশম ও ঢালাই-কঙ্গের উপর ধূলিজাল প্রসারিত হইয়া, উহার রং ও উজ্জ্বলত। স্থান করিয়াছে। ঝাড়লণ্ঠনের সাদা মোমবাতিগুলা কালক্রমে পীতবর্ণ ধারণ করিয়াছে। অঙ্ক শতাব্দীর বিশিষ্ট প্লং ও লক্ষণে উপরঞ্জিত এই পুরাতন প্রাচীরের মধ্যে, হটেনশিয় নাম্নী এক পরমান্বন্দরী রমণী নিভৃতভাবে বাস করিত। ఫి কেহ জনিত না সে কে। লোকালয়ের কোলাহল হইতে থেচ্ছা ক্রমে বিচ্ছিন্ন, ৫।৬ জন ভূত্যের দ্বারা পরিসেবিত, ইহার জীবনযাত্রাপ্রণালী অন্তের কৌতুহল উদ্রেক করিবার জন্যই যেন পরিকল্পিত श्ब्रांछ्ठि । সেখানে সমস্তই বিষাদময় , ফুলের কেয়ারির মধ্যে এখন কোন ফুলই নাই ; গোলাবাড়ীতেও কুকুটাদি গৃহপালিত পক্ষী নাই। বনবিহঙ্গেরাও এই বাড়ী ছাড়িয়া পার্শ্ববৰ্ত্তী বনে আশ্রয় লইয়াছে। এই রমণী ও উtহার বাসভবন—এই উভয়ের মধ্যে একটা বিলক্ষণ সাদৃষ্ঠ ছিল । এই পুরাতন অট্টালিক ও এই বিষাদময় উদ্যানের উপর তাহার যে একটু অনুরাগ জন্মিয়াছিল, তাহা এই সাদৃষ্ঠের উপরেই প্রতিষ্ঠিত। এই বিষাদময় ঘর ও রাস্তাগুলার পরিবেষ্টনে, এই প্রশাস্ত ও বিধঃ মুপ্তি সুন্দরীর সৌন্দর্য্যের আরও যেন একটু খোলতাই হইয়াছিল । হটেনশিয়ার মদালস্ গতিভঙ্গী এবং জীবন-ভারে যেন ক্লাস্ত, অৰ্দ্ধ-পতিত তর শাখার মুদুমন্দ হেল-দোল—এই দুইই খুব একরকমের । তাহীর মুখ পাণ্ডুবর্ণ, আকাশও শ্বেতাম্ভ—এই দুয়ের মধ্যেও একটা হস্তময় সাদৃঙ্গ ছিল--উহার মধ্যে ঐ দেশের কবিত্বপূর্ণ বিধৰ্ম্মত এবং রমণীর সৌম্য প্রশাপ্তভাব যেন বেশ মিশিয়া গিয়াছিল। তার চোখের দৃষ্টি এবং ঐ সব স্থানের আলোর ভাবটাও যেন একরকমের, অস্পষ্ট ও সৰ্ব্বদাই জলসিক্ত । বাহিরের আলো কুয়াসার মধ্য দিয়া আসিতেছে ; এবং তার নেত্র সৰ্ব্বদাই অঞজলে আৰ্দ্ৰ—তাহাতে করিয়া আরও উজ্জ্বল হইয়। উঠিয়াছে । কেহ কেহ তাঁহাকে মনে করে—অত্নতাপিনী পতিতা. কেহ বা মনে করে—শোকসপ্তপ্ত বিধবা, কেহ বা মনে করে, বিরহ-বিধুরা প্রণয়িণী । সেই অঞ্চলের লোকের নিকট হটেনশিয়া একটা জীবস্ত প্ৰহেলিকা স্বরূপ ছিল । তাহীর ইদয়ের গুপ্ত কথা যে কি, তাহ কেহই জানিতে পারিত না । বৃক্ষকাণ্ডের কর্কশ ছালের ভিতর প্রচ্ছন্ন নষ্ঠ-কীটের মতো কি-একটা কষ্ট তাহার হৃদয়কে যেন কুরিয়া কুরির লুকাইয়। রাখিত । ఖE ১৮৭৯ সাল আসিল । শ্রম নি ও ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ বধিল । ভয়ে পল্লীগ্রামের লোকের পলায়ন করিল। ফরাসীর পর-পর ৪টা যুদ্ধে হুরিল । ইহাকে আর যুদ্ধ বলা চলে না—ইহ। “আক্রমণের অভিযান” হুইয়া ৬।ইয়াছে । চৗধীর। তাহtদের চাষের পশুদিগকে সম্মুখদিকে খেদাইয়া লইয়। পলাইতেছে—তাহাতে করিয়া পথঘাট বন্ধ হইয়া গিয়াছে। নিগৃহীত পশুর ইতস্ততঃ ছড়াইয় পডিয়া, মাঠের ফসল নষ্ট করিতেছে । পলায়নরত পল্লী-বাসীদিগের জিনিধপত্রে অতিভারগ্রস্ত শকটগুল উল্টাইয় পড়িতেছে. অগ্নিকুণ্ড হইতে ধূমস্তম্ভ উথিত হইয়৷ বায়ুমণ্ডলকে আচ্ছন্ন করিয়াছে—দাহমান গৃহের ছাদের উপর অগ্নিফুলিঙ্গ সকল নৃতা করিতেছে । হটেনশিয়ার বাড়ী একটা ময়দানের উপর অবস্থিত । ইহার অনতিদূরে দুইটা পাহাড়—দুষ্ট পাহাড়ের মধ্যে একটা গিরিসঙ্কট ; ফরাসীরা এই গিরিপথকে কেল্লাবন্দী করিয়াছে । বাড়ীর পিছনে একটা ক্ষুদ্র পল্পী : যুদ্ধের হিসাবে ইহা একটা সুবিধার স্থান । ময়দানে ফরাসীদের যে একটা আস্তান ছিল, তাহার সৈনিকদিগকে পিছু হটাইবার জন্য প্রশীয়র সচেষ্ট হইল। যুদ্ধ আরম্ভ হইবামাত্র হটেনশিয়া তাহার বাড়ীর ছাদ ইহঁতে দেখিতে পাইল—রাণীকৃত বৃহৎ সেস্যদল ধেমাধেষি পংক্তি রচনা করিয়া মাঠের উপর ছড়াইয়া পড়িয়াছে—কিছু পরে কালে কালে রেখার আকারে প্রসারিত হইয়া-ছোট ছোট সাদা উৰ্দ্ধোথিত ধোয়ার মধ্যে প্রচ্ছন্ন বহিয়াছে ; মধ্যে মধ্যে কামান-নিঃস্বত আগুনের ঝলকে ঐ ধূমের পর্দা ছিন্ন হইয়। যাইতেছে । তিন দিন ধরিয়া কামানের গর্জন শোনা গিয়ছিল ; চতুর্থ দিনে আরও বেশী উদ্যমের সহিত পশিীয়রা ফরাসীদের দৃথলী স্থান আক্রমণ করিল। একটু পরেই দেখা গেল, পলাতকের উদ্যান-প্রাচীর লঙ্ঘন করিয়াছে : সৈনিকদিগের মুথে ভয়ের ভাব মুদ্রিত ; এবং সৰ্ব্বস্বাস্ত জোতদার কৃষকের তাহদের বিধ্বস্ত বাসম্ভবণ, ও শক্র-অগ্নিতে ভস্মীভূত ক্ষেতসকল ছাড়িয়া অtসিয়েছে । দিবাবসানে, যখন বিঞ্জি৩ের পলাইয়া গিয়াছে--সেই সময় হটেনশিয়া দেখিল-তাহার বাড়ী পর্য্যপ্ত ষে ধুসর রাস্ত প্রসারিত সেই রাস্তার উপর বায়ু-উত্তোলিত ধূলিজালে স্বাচ্ছন্ন একদল লোক। দুই দাড়ি-রেখার মধ্যে একটা কালে কমি-প্লেখার আকারে, উহার ধীর বিলম্বিত গতিতে অগ্রসর হইতেছে । তাহার পর উহার এক জায়গায় আসিয়া থামিল। এখন উহাদের প্রত্যেককে স্পষ্ট দেখা যাইতে লাগিল। দুইজন সৈনিক একটা খাটিয়ার উপর একজন আহত সৈনিককে বহন করিয়া আমিতেছিল । হটেনশিয়া আন্দাজে বুঝিল, উহার উহার বাড়ীতেই আসিতেছে এবং ছাদ হইতে নামিয়া আসিয়া, তাহার নিজের শয্যা প্রস্তুত রাখিতে হুকুম দিল। এইসমস্ত কাজ এত তাড়াতাড়ি করিয়াছিল যে যখন উহার উদ্যানের ফটকে আসিয়া পৌছিল তখন সে উহাদিগকে অভ্যর্থনার জস্ত সেখানে উপস্থিত । রমণী পথ দেখাইয়া দিয়া উহাদিগকে বলিল — "ঐদিক্ দিয়ে”। § ঐ আহত ব্যক্তির পশ্চাতে, ক্রমে ক্রমে আরও অনেক আহত ব্যক্তি আসিল । প্রথমে যাহারা আসিয়াছিল, তাহাদিগকে সবচেয়ে ভাল কামরায় রাখা হইল। পরিশেষে সব কামরাই ভরিয়া গেল। বাকী যাহা ছিল তাহাদিগকে ভূতাদের জায়গায়, বারাওয়ে, এমন কি চাদ-ঘরে ও অস্তিাবলেও রাখিতে হইল । বাড়ীটা একটা মাঠ-ইাসপাতালে