পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] মন্দিরের চারদিকের সাধুদের ভাস্কৰ্য্য এবং ভিতরে মেরী এবং খৃষ্টের জীবনের চিত্র-সকল দেখলেই, এটা বোঝা যাবে । পরে রেনাসাসের যুগে আর্টের ভিতর যখন পরিপ্রেক্ষণ, আর্গেও ছায়ার সম্পাত প্রভৃতি ঘটিত প্রকৃতির নিয়ম ঢুকুল, তখনই আর্ট আইডিয়ালিজম হতে রিয়েলিজমৃএর দিকে ঝুকে পড়ল। প্রাচীন দেবদেবীর তাদের দেবত্ব থেকে মানবত্ব পেলে । আর্টের ভিতর দুটা দিক্‌ আছে। একটা হ’ল ইনটেলেক্ট বা বিজ্ঞানের দিক্‌ ; আর-একটা কল্পনা বা স্বষ্টির দিক্ । ইউরোপের ঝোক হ’ল বিজ্ঞানের দিকে, আর এশিয়ার ঝোক সৃষ্ট্রির দিকে । আমাদের দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের অধিকাংশই আমাদের আটকে পছন্দ করে না, কারণ তাদের গ্রন্থপুষ্ট মস্তিষ্ক সমস্ত জিনিষই বুদ্ধির দ্বারা বিশ্লেষণ করে বুঝতে চায়। তাদের মস্তিক্ষে কল্পনার স্থান শূন্ত ; কাজেই ছবি যখন এই বাইরের দৃপ্তমান বাস্তব জগতের সীমান। ছাড়িয়ে কল্পলোকে গিয়ে পৌছায়, সেখানে তা’রা থই পায় না। কোন আর্টিষ্ট যদি হুবহু ঠিক করে কিছু অঁাকৃতে পারে, তার তারিফ না করে থাকুতে পারে না ; বলে “হ্যা, আর্টিং বটে। দেখেছ কি একেছে, যেন ঠিক জিনিষটি” । তাদের বোঝার আর কিছু বাকী থাকে না, সব ঠিক্‌ পরিষ্কার জলের মত বুঝে যায় । গ্রীসের বিখ্যাত ভাস্কর প্রেক্সাইটালস আঙুরের গাছ এমন স্বাভাবিক করে খোদাই করেছিল যে, পার্থী তা’কে সত্যি মনে করে ঠোকুর মারত। চীনের এক চিত্রকরসম্বন্ধে এক আখ্যান চলিত আছে যে, সে দেওয়ালের উপর ড্রেগন একেছিল; যখন শেষ বর্ণপাত হ’য়ে গিয়েছিল, ড্রেগন তখন প্রাণবান হয়ে বাড়ীর ছাদ ভেঙেচুরে আকাশে উড়ে গিয়েছিল। এই আখ্যান থেকে চীনের আর্টের একটা দিকৃ বোঝা যাবে। তাদের আদর্শ হচ্ছে ছবির রেখায়-রেখায় ছন্দে-ছন্দে জীবনের স্পন্দন আনা । চীনের চিত্রে গীতি-কাব্যের দিকটা প্রধান । চীনের প্রাচীন এক উক্তি, “ছবি একটি শব্দহীন কবিতা” । প্রাচীন চিত্রসমূহ অধিকাংশই লুপ্ত হয়ে গেছে। কেবল চতুর্থ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চিত্রকর কু কাইচিনের কয়েক চীনে চিত্রকলার ইতিহাস

:

.* o ళ

  • **

مجمہ ...” శీ يسه . 4☾

Ka ** o ళ بيتي يع శ o 夺* هيه খান আছে। চিত্রের উদ্ভব প্রথম কবে হয়েছিল ; তা ঠিক করে বলা যায় না ; তবে চীনের সাহিত্যে উল্লেখ আছে যে, খৃঃ পূঃ প্রায় তিন হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে চীনের চিত্রের উৎপত্তি হয়েছিল। এত প্রাচীন না হউক অন্ততঃ খৃঃ পূঃ দেড় হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে ছিল। প্রমাণ আছে, তখন চিত্রকরেরা তসবির ট্রাকৃত। ধাতু পাত্রের ব্যবহার খৃঃ পূঃ বহু প্রাচীন কাল থেকে ছিল ; সে-সময়ে ব্রোঞ্চ, ধাতুর তৈরী নান-রকম পাত্র এবং ধূপদানী এখনও বিদ্যমান আছে । এসমস্ত পাত্রে আশ্চৰ্য্য-রকম কারুকার্য্য । বুদ্ধদেবের সমসাময়িক কনফুশিয়াসের দীক্ষার জার্ট