পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সারদামণি দেবী • শাস্ত্রে গৃহস্থের প্রশংসা আছে, সন্ন্যাসীরও প্রশংসা আছে । শাস্থে ইষ্টাও লিখিত আছে এবং সহজ বুদ্ধিতেও ইহা বুঝা যায়, যে, গার্হস্থ্য আশ্রম অন্য সব আশ্রমের মূল। কিন্তু গৃহস্থ মাত্রেরই জীবন প্রশংসনীয় ব| নিন্দনীয় নহে, সন্ন্যানমারেও জীবন প্রশংসনীয় বা নিন্দাহঁ নহে । ভিন্ন ভিন্ন মাহুষের ভগবদ্ধত্ত শক্তি, হৃদয়-মনের গতি, প্রভৃতির দ্বার স্থির হয়, যে, ভগবান কিরূপ জীবন যাপন করিয়া কি কাজ করিবার নিমিত্ত কাগকে সংসারে థ: মন্ত্ৰী সম্প্রদামণি দেবী পাঠাইয়াছেন । ধিনি যে আশ্রমে আছেন, তদুচিত জীবন-যাপন করেন কি না, তাহা বিবেচনা করিয়া তিনি আত্ম প্রসাদ বা আত্ম-গ্লানি অনুভব করিতে পারেন । যিনি যে আশ্রমের মাতুষ, কেবল সেই আশ্রমের নামের ছাপটি দেখিয় তাহার জীবনের উৎকর্ষ অপকর্য, সার্থকতা ব্যর্থতা নিৰ্দ্ধারিত হইতে পারে না। ব্যক্তি-নির্বিশেষে গৃহস্থাশ্রম অপেক্ষ সন্ন্যাসের বা সন্ন্যাসাশ্রম অপেক্ষা গার্হস্থ্যের উৎকর্ষ ব। অপকর্ম বিবেচিত হইতে পারে না। সাধারণতঃ ইহাই দেখ! যায়, যে, র্যাহারা সন্ন্যাসী, র্তাঙ্গার হয় কখনও বিবাহই করেন নাই, কিম্বা বিবাহ করিয থাকিলে পত্নীর সহিত সমুদয় সম্বন্ধ বর্জন কবিয়া ও তাহাকে ত্যাগ করিয়া গৃহত্যাগী হইয়াছিলেন। পরমহংস রামকৃষ্ণ সন্ন্যাসী ছিলেন, কিন্তু তিনি চব্বিশ বৎসর বয়সে শ্ৰীমন্তী সারদামণি দেবী b->