পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলায় মৎস্ত-পালন ও ব্যবসায় মৎস্ত বাংলাদেশের একটি প্রধান ও বিশেষ প্রয়োজনীয় খাদ্য। কিন্তু উহা ক্রমশঃই আমাদের দেশে দুষ্প্রাপ্য হইয়া পড়িতেছে। ২০২৫ বৎসর পূৰ্ব্বে যে পরিমাণে মৎস্ত হাটে বাজারে পাওয়া যাইত এখন আর সে পরিমাণে পুওৱা যায় না। মূল্য প্রায় অনেক জায়গায় দ্বিগুণ কিম্বা তদন্তপক্ষাও বেশী হইয়াছে। কাটুতির আধিক্যবশতঃ এবং মৎস্য-সংরক্ষণ জনন ও পালন সম্বন্ধে ঔদাসীন্তের জন্য নদী পুষ্করিণী খাল ও বিলে মংস্তের সংখ্যা হ্রাস হইয়া আসিতেছে। প্রতিবিধানের কোন উপায় অবলম্বিত ন হইলে, পরিণামে মৎস্তকুল এক-প্রকার লুপ্ত হইয়া যাইবার সম্ভাবনা আছে। মৎস্যের মতন প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাব ঘটিলে লোকের অবস্থা যে কিরূপ দাড়াইবে তাহা অনুমান করা বোধ হয় কঠিন নহে। আমাদের দেশের অধিকাংশ গৃহস্থ ভদ্রলোকের আপন আপন বাড়ীর সীমার মধ্যে দুই-একটি পুষ্করিণী আছে। র্তাহার। ইচ্ছা করিলে অনায়াসে স্ব স্ব পুষ্করিণীতে মৎস্ত পালন করিয়া ব্যবসা হিসাবে প্রচুর লাভ করিতে পারেন এবং নিজেদের আহাৰ্য্য মৎস্তের অভাবও দূর করিতে পারেন। নিম্নে দেখাইতেছি এক বিঘা পরিমিত জমিতে কৃষি-জাত দ্রব্যে যে লাভ দাড়ায়, সেই পরিমিত পুষ্করিণীতে মৎস্ত পালনে উহা অপেক্ষ ৮৯ গুণ বেশী লাভ করা गोष्ट्र ! • . পুষ্করিণীতে প্রায় সকলপ্রকারের মৎস্য-পালন করিয়া লাভবান হওয়া যায়। রোহিত, কাতলা, মিগেল, কালবোস মৎস্ত পালনে সৰ্ব্বাপেক্ষা ভাল ফল পাওয়া গিয়াছে। প্রথমতঃ ইহাদের পোনা পাওয়া দুষ্কর নহে ; দ্বিতীয়তঃ মূল্য হিসাবে ইহাদের দর বেশী হয়। যদিও বাংলাদেশের প্রায় সৰ্ব্বস্থানে বোয়াল কই শোল চিতল সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায়, তথাপি ইহাদের পৃথকৃ পৃথক্ ডিম পাওয়া বড়ই দুষ্কর। বোয়াল শোল চিতল সংহারক মৎস্ত । অন্ত মৎস্তকে ইহারা ধাইয় ফেলে । ডিম পাওয়া গেলেও যখন উহার বাড়িতে থাকে, তখন উহাদিগকে অন্ত মৎস্য খাওয়াইতে হয়। এই-সব কারণে ইহাদের পালন রোহিত মৎস্ত অপেক্ষা কঠিন ও ব্যয়সাধ্য। বর্ষা-ঋতুতে যখন নুতন জলে নদীসমূহ পরিপূর্ণ হইয়া যায়, সেই সময় মৎস্য ডিম পাড়িতে আরম্ভ করে । ডিম্বাণুসকল জলের সহিত মিশ্রিত হইয়া ভাসিতে থাকে, কাপড় কিম্বা এই উদ্দেশ্যে যে এক-প্রকার জাল প্রস্তুত হইয়া থাকে, তদ্ধারা উহা ধরিতে হয়। আষাঢ়ের প্রথমে বা অম্বুবাচীর সময় যে-সকল ডিম আমদানি হয়, তাহা সৰ্ব্বাপেক্ষ উংকৃষ্ট । এই সময়ের ডিম্ব বেশ সতেজ ও সজীব, জলাশয়ে ছাড়িলে ইহার প্রায় একটিও নষ্ট | , সমস্তই ফুটিয়া থাকে এবং পোনাসমূহ শীঘ্ৰ বৰ্দ্ধিত হয়। Fরোহিত কাতলা বাটা প্রভৃতির ডিম একটি ইাড়ির ম ্যে জল সহ রাখিয়া, উপরে একখানি কাপড় বিছাইয়া, যদি কিছুক্ষণ বদ্ধ করিয়া রাখা যায়, তবে দেখা যায় যে ডিমগুলি একস্থানে মিলিত হইয়া জমাট বাধিয়াছে। অন্ত মৎস্তের ডিম হইলে এরূপ জমাট বাধে না । ডিমগুলি হাড়ির মধ্যে জনায়াসে বঁাচিতে ও বাড়িতে পারে, কিন্তু পুনঃ পুনঃ জল বদলাইয়া দেওয়া দরকার। ডিম পাড়ার প্রায় ৮১০ দিন পরে ডিম ফুটিয়৷ পোনা বাহির হয় । ইাড়িতে বাচিতে পারে বলিয়া অনেক সময় এই অবস্থায় রেলে ষ্টিমারে অনেক দূর পাঠান হইয়া থাকে। ডিমের দর সব সময় একরকম থাকে না । টাটুকা ডিম এক কুণিকার দাম প্রায় ৮৯ টাকা। এক কুণিকায় প্রায় ৬০ • ০৭• • • ডিম থাকে। কিন্তু ছোট পোনার দাম প্রায় হাজার-করা ১২২ হইতে ১৬২ ‘টাকা । ডিম হইতে পোনা তৈয়ারী করিয়া বিক্রয় করাও খুব লাভজনক ব্যবসা। বিহার-উড়িষ্যা প্রদেশে এই নিয়ম প্রচলিত নাই। “ বিহার উড়িষ্যা প্রদেশেৰ উচ্চ S>