পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড । ২৬২০০০ মৎস্তের পোনা বাংলা-গভর্ণমেণ্ট গত বৎসর এখান হইতে চালান দিয়াছেন। বৰ্দ্ধন করিবার পুষ্করিণী জর্থাৎ যেখানে ডিম বা পোনা মৎস্ত ছাড়া হয়, তাহ খুব বেশী বড় বা গভীর না হওয়াই ভাল। কারণ, তাহা না হইলে, দরকার অনুযায়ী মৎস্ত ধরিতে বেগ পাইতে হয়। বৰ্দ্ধন করিবার পুষ্করিণীর নিয়ে ঘাস বা পরিষ্কার গড় রাখিয় দিতে হয়। সৈই খড় বা ঘাসে ডিম সংলগ্ন হইয়া থাকে। জল একটু ঘোলা করিয়া দেওয়া দরকার। ঐ পুষ্করিণীতে কোন-প্রকার সংহারী মংস্য বা ভেক থাকিতে পাইবে না। পঙ্কোদ্ধার করা হইলেই ভাল হয় । কোন-প্রকার মালা না থাকে সে বিষয়ে সাবধান হওয়া উচিত। ডিম ছাড়িবার ৭৮ দিন পরে ডিম ফুটিলে পর, মৎস্তের পোনা একটু বন্ধিত হওয়া পৰ্য্যন্ত ঐ পুষ্করিণীতে রাখিয়া দিতে হয় এবং এই সময় ময়দা চার্ল ডালের গুড়া উস্থাদিগকে খাইতে দেওয়া আবশ্যক । পোনা একটু বড় হইলেই চালিয়া সংস্কার-কর বৃহৎ পুষ্করিণীতে ছাড়িয়া দিতে হয়। ইহাতেও কোন সংহারক মৎস্ত কচ্ছপ না থাকে তাহার ব্যবস্থা করা উচিত। জলে কিছু শেওলা জন্মিতে দেওয়া মন্দ নয়। কলমী শাক ও কাশগুরা সবচেয়ে ভাল। যে পুষ্করিণীতে খাদ্যের পরিমাণ বেশী থাকে সেখানে মৎস্ত বেশী বাড়ে ও ওজনে বেশী হয়। বাংলা দেশে এক-প্রকার অতি ছোট চিংড়ি দেখিতে পাওয়া যায়। এইগুলি প্রায় সমস্ত বৎসর ধরিয়াই ডিম পাড়ে। রোহিত কাতলা মৎস্য এই ছোট চিংড়ি খায়, অন্য কোন মৎস্য খায় না। . জাস্তব পদার্থ যাহা খায়, উহা প্রায়ই অনুজীবাণু এবং অতি ক্ষুদ্র শম্বুক গুগলি। এইসকল অণুজীব উহাদের প্রধান খাদ্য নহে ; উহারা উদ্ভিজ্জ পদার্থই অধিক পরিমাণে ভক্ষণ করে । উপযুক্ত খাদ্য ভিন্ন মৎস্ত কখনও বর্ধিত হইতে পারে মা । কৃত্রিম খাদ্য প্রথমে দেওয়ার কোন আবশ্বকতা माहे किरू शनि बरनरब्रज cभएष দেখা যায়, যে পরিমাণে মংগুের বাড়া উচিত ছিল তাহ বাড়ে নাই, তাহা হইলে कृबिभ श्रृंना &मान रुद्रा खैफ़िउँ । उशन डांड भग्नन চাল ইত্যাদি * দেওয়া বাইতে পারে। এতদ্ভিন্ন নাই- . ট্রোজেন্‌-মিশ্রিত পদার্থগুলি মৎস্ত-বৃদ্ধির বিশেষ সাহায্য করে। মৎস্তের উপকরণ সম্বন্ধে পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে, সাড়ে বারো মণ মৎস্তে ২ ভাগ নাইট্রোজেন, ৮। ভাগ ফল্ফরিক এসিড, ও ৪০ ভাগ পটাস এবং তৈলঙ্গ পদার্থও শতকরা ১৯ ভাগ । মৎস্তের খাদ্যেও এই উপকরণ থাকা চাই । কার্পাসের বীজের খৈল ইহাদের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট খাদ্য। ইহাতে হাজার-করা লাইট্রোজেন ৬৬০ ভাগ, ফল্ফরিক এসিড ৩১-২ ভাগ থাকে। কিন্তু এগুলি বেশী পরিমাণে জলে ফেলিলে, জল নষ্ট হইয়া যাইবার সম্ভাবনা । o মৎস্তের বৃদ্ধির জন্য কেবল খাদ্যের উপর নির্ভর করিয়া থাকিলে চলিবে না । আহারের ন্যায় অঙ্গ-সঞ্চালন শরীর বৃদ্ধির আর-একটি কারণ । পোনাগুলি একটু বড় হইলে ২১টি সংহারক মৎস্য পুষ্করিণীতে ছাড়িয়া দিলে মন্দ হয় না। উহারা তাড়া দিয়া পোনাগুলিকে সৰ্ব্বদ চঞ্চল রাখে, ইহাতে তাহাদের শরীর বৃদ্ধি পায়। মধ্যে মধ্যে জাল ফেলিয়াও তাড়া দেওয়া উচিত। অনেকেই দেখিয়া থাকিবেন রেলওয়ে ও তাল-গাছের নিকটবর্তী পুষ্করিণীর মৎস্য খুব শীঘ্র শীঘ্ৰ বন্ধিত হয়। রেল-গাড়ীর যাতায়াতের ও তালবৃন্তের শব্দে ইহারা ভয়ে দৌড়াইয়া থাকে, এই অঙ্গ-সঞ্চালনই ইহাদের শরীর-বৃদ্ধির কারণ। পুষ্করিণীতে রজকের কাপড় কাচার বন্দোবস্ত থাকা ভাল। প্রথমতঃ কাপড় কাচার শব্দে মৎস্য ভীত হইয়া দৌড়ায় এবং ইহাতে অঙ্গ-সঞ্চাচলন হয়। দ্বিতীয়তঃ বস্ত্রের ময়লা ক্ষার প্রভৃতি খাদ্যরূপে তাহারা প্রাপ্ত হয়। এক বিঘা পরিমিত একটি পুষ্করিণীতে, ডিম ফুটাইয়া পোন বিক্রয় করিলে এক বৎসরে কত লাভ হইতে পারে, তাহার হিসাব দেওয়া গেল * — ব্যয় । (১) মৎস্তের ডিম ফুটাইবার জন্য একবিঘা পরিমিত * একটি পুষ্করিণীর বাৎসরিক খাজনা

  • এই জীয়বার মস্তিষ্কের চিন্তা-প্রসুত নহে। কলিকাতার সহরতলীতে জনৈক বন্ধু হাতে-কলমে মৎস্ত চাষ করিয়া যে ফল পাইয়াছেন, তাহারই বিবরণ। গ্রামদেশে ইহা অপেক্ষাও খরচ কম পড়িবে ; সুতরাং লাভ বেশী হুইবে —-লেখক