পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᎼb~ কৃষ্ণ দেব যখন বাকুড়ার ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন, সেই সময় ঐ জেলায় একটি কৃষি-সমিতি স্থাপিত হয়। শ্ৰীযুক্ত গুরুসদয় দত্ত ম্যাজিষ্ট্রেটু থাকার কালে, ঐ সমিতিকে “ক্লষি ও হিতসাধন সমিতি" নাম দিয়া নূতন করিয়া গড়া হয়। ইহার যতপ্রকার উদ্দেশ্য এবং ইহা যে যে কাজ এ পর্যান্থ করিয়াছে, তাহ “বাঁকুড়-লক্ষ্মী” নামক ত্রৈমাসিক পত্রিকাতে লিখিত হইয়াছে। তামির সংক্ষেপে তাঙ্গর কোন-কোনটির উল্লেখ করিব । - এই সমিতির চেষ্টায় এবং সরকারী কোন কোন বিভাগের কৰ্ম্মচারীদিগের সাহায্যে জেলায় বিরাশিটি “জলসরবরাহ সমবায় সমিতি" স্থাপিত হইয়াছে, এবং সেগুলি আইন অনুসারে রেজিষ্টারী করা হইয়াছে । আরও অনেক সমিতি স্থাপনের প্রস্তাব চলিতেছে । প্রতিষ্ঠিত সমিতিগুলির দ্বারা অনেক জলাশয়ের পঙ্কোদ্ধার ও মেরামত হইয়াছে ৪ হইতেছে, এবং কয়েকটি ছোট নদী বধিয়া কত্রিম হ্রদ প্রস্তুত করিয়া তাহ হইতে খাল কাটিয়া জল লইয়া গিয়া জমিতে জল দিবার বন্দোবস্ত হইয়াছেও হইতেছে। ইতিমধ্যেই যাঙ্গ হইয়াছে, তাহার প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড দ্বার মামুমানিক ছাব্বিশ হাজার বিঘা জমিতে কোন বংসরই জলাভাবে অজন্ম হইবে না, বলা যাইতে পারে । এইসকল সমিতির দ্বারা কিরূপ কাজ হইতেছে, তাহ দেখিবার জন্য আমি গত বৎসর মাঘ মাসে বঁাকুড়া গিয়াছিলাম, কিন্তু পীড়িত হইয়া পড়ায় সব জায়গায় যাইতে পারি নাই। একদিন মোটর-গাড়ী ভাড়া করিয়া বাকুড়া সহর হইতে যাতায়াতে প্রায় পঞ্চাশ, মাইল অতিক্রম করিয়া দুটি ছোট নদীর বাধ দেখিয়া আসিয়াছিলাম। প্রথমে তালডাংরা থানার নিকটবৰ্ত্তী রুক্মিণী খালের বাধ দেখিতে ধাই। ইহা মাটির বঁধি ; পরে সম্ভবতঃ পাক করা হইবে । কিন্তু এখনই ইহাতে কাজ চলিতেছে । যে-সব জমিতে আগে বৎসরে একবার ধান্ত হওয়াই দুর্ঘট ছিল, এখন তাহাতে ধান্য ছাড়া গম ও অন্যান্য ফসলও হইতেছে । তা ছাড়া রুক্মিণী খালের কত্রিম হ্রদ হইতে পয়ঃপ্রণালী কাটিয়া জল আনিয়া একটি পুকুর জলপূর্ণ করা হইয়াছে দেখিলাম। তাহা জলে থৈ থৈ করিতেছে। গমের ক্ষেতের হরিং শোভা দেখিলে هر چه به آنها

منہ:

রুক্মিণী-খালের বাধ