পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2షిe তাছুর জোট’ বাধিয়া স্বাবলম্বন দ্বারা নিজেদের হিত করিতে আরম্ভ করিয়াছেন, এবং তাহার দ্বারা আত্মশক্তি উপলব্ধি করিতেছেন। চাষের ফল হইতে তিন পক্ষের লোক লাভবান হন,—রায়ুং, জমিদার ও গবর্ণমেণ্ট । রায়২রা পরিশ্রম কুর ব্যতীত সমিতি গঠন ও তাহার চাদ দান দ্বারা নিজেদের কৰ্ত্তব্য করিতে আরম্ভ করিয়াছেন ; বাকুড়া জেলার অধিকাংশ জমির জমিদার বৰ্দ্ধমানের মহারাজাধিরাজ-বংশ এ-পর্য্যন্ত কোটির অধিক টাকা বাকুড়া হইতে পাইয়াছেন, কিন্তু উহার জলসেচনের জন্য আধ পয়সাও খরচ করেন নাই, অন্য জমিদারেরাও কি করিয়াছেন জানি না ; গবর্ণমেণ্ট, সামান্য কিছু করিতেছেন। গবৰ্ণমেণ্ট কে দেশের লোকে কোথাও কিছু করিতে বলিলে গবৰ্ণমেণ্ট, তাহাদিগকে প্রায়ই আত্মনির্ভর স্বাবলম্বন প্রভৃতি বিষয়ে উপদেশ দিয়া ক্ষান্ত হন। কিন্তু গত জানুয়ারী মাসে লাট লিটন বাকুড়া দেখিয়৷ আসিবার পর তথাকার ম্যাজিষ্ট্রেটু শ্ৰীযুক্ত ব্ৰজদুর্লভ হাজরা মহাশয়কে চিঠি লিখিয়া স্বাকার করিতে বাধ্য হইয়াছেন, যে, জলসরবরাহ-সমবায়-সমিতির কাজগুলি খুবই উৎসাহজনক। - “এই-সকল সমিতির দেখাইয়াছেন, যে, দরিদ্র জনসমষ্টি দ্বারাও কিপ্রকারে ধল উৎপন্ন হইতে পারে, এবং আমি আশা করি, যে তাহীদের দৃষ্টান্ত ব্যাপকভাবে অমুস্থত হইবে। আমি পূৰ্ব্বে কোন কোন উপলক্ষ্যে বলিয়াছি, যে, স্থানীয় লোকেরা যে পরিমাণ চেষ্টা করে, গবৰ্ণমেণ্টের সাহায্য সেই অনুপাতে হওয়া উচিত ; এই নীতি অনুসারে বাঁকুড়ার লোকেরা গবর্ণমেণ্ট-সাহায্যের উপর বলবৎ দাবী স্থাপন করিয়াছেন। আমি এই প্রশংসনীয় চেষ্টা ভুলিব না, এবং দেখিব, যে, ইহ। যথাযোগ্য উৎসাহ লাভ করে।” গবর্ণমেণ্ট একজন হযোগ্য কৃষি ও জলসেচন এঞ্জিনীয়ার এবং তাহার অধীনে একজন সার্ভেয়ার নিযুক্ত করিয়াছেন বটে। কিন্তু আরও অনেক কৰ্ম্মচারী ও টাক চাই। গ্রামে গ্রামে গিয়া. সমিতি গঠন করিতে লোক--দিগের প্রবৃত্তি উৎপাদন ও তাহদের দ্বারা সমিতি গঠন করান দরকার। তাহার জন্ত ,অনেক লোক চাই। যত 5 | سیاه و 3 গুলি ছোট নদীতে সম্বৎসর জল বহে, তাহার নিকটবর্তী । প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড স্থান জরিপ করিয়া বাধের নক্স-আদি প্রস্তুত করিবার জন্ত আরো সার্ভেয়ার চাই। তা ছাড়া, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক গুলি যাহাতে সমবায় সমিতিগুলিকে ঋণ দিবার জন্য যথেষ্ট টাকা পায়, তাহার বন্দোবস্তও চাই। বাঁকুড়ার অধিবাসী বা বাকুড়ার স্থাবরসম্পত্তির মালিক যে-কেহ । এই ব্যাঙ্কের অংশীদার হইতে পারেন। প্রথম বৎসর বাঁকুড়ার ব্যাঙ্ক শতকরা ৭। মুনফা দিয়াছেন শুনিয়াছি। গত দশবংসরে বাকুড়ার দুইবার দুভিক্ষে সুরকারকে সাড়ে তের লক্ষ টাকা খরচ করিতে হইয়াছে। ইহা কেবল অন্নদান-আদির ব্যয় । এ-টাকা আর সরকারী তহবিলে ফিরিয়৷ আসিবে না। তা ছাড়া দুবারে ষোল লক্ষ টাকা কৃষিঋণ দিতে হইয়াছে। ঋণের কথা ছাড়িয়া দিয়া আমরা কেবল দানের টাকাটার বিষয়েই কিছু বলিতেছি। কয়েক বংসর অন্তর দুভিক্ষ বাকুড়ায় প্রায়ই হয়। তাহা নিবারণের জন্য দুইবারে সরকারী তহবিল হইতে যে সাড়ে তের লক্ষ টাক ব্যয় কবিতে হইয়াছে, তাহার একটি পয়সাও ফিরিয়া আসিবে না। কিন্তু যদি ঐ সাড়ে তের লক্ষ বা দশ লক্ষ টাক ব্যাঙ্কে মজুদ রাখিলে তাহার যত স্বদ হইত, বৎসর বংসপ্ন সেই পরিমাণ টাক। জলসরবরাহ-সমিতি স্থাপন ও তাহাদের সাহায্যার্থ গবৰ্ণমেণ্ট, ব্যয় করেন, তাহা হইলে মূলধনটাও বজায় থাকে, এবং বাঁকুড়া জেলায় দুভিক্ষও আর হয় না। লর্ড লিটন তাহার অঙ্গীকার অনুসারে বাঁকুড়াকে সরকারী সাহায্য দিতে রাধী। সাহায্য করিবার যে উপায় আমরা নির্দেশ করিলাম, তাহা তিনি বিবেচনা করিয়া দেখুন। d এখানে একটি অবাস্তর কথা বলিতে হইবে। অসহযোগ আন্দোলনের ফলে অনেক . বুেক গবর্ণমেন্টের সহিত কোন সংশ্রব রাখার বিরোধী। বাঁকুড়া জেলায় যেসব জলসরবরাহ-সমিতি হইতেছে, তাহ গবর্ণমেন্টের আইন অনুসারে রেজিষ্টারী হইতেছে, এবং সরকারী এঞ্জিনীয়ার সাভোর প্রভৃতির পরামর্শাদিও তাহারা পাইতেছে। তথাপি আমার বিশ্বাস এই যে, এই জেলার কংগ্রেসূ-কৰ্ম্মীদের এইসব কমিটি গঠনে লোককে সাহায্য দেওয়া ও উৎসাহিত করা উচিত। শুনিয়াছি জেলার অসহযোগ নেতা অধ্যাপক অনিলবরণ