পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ১২২ 0AMMAAA SAAAAA ASASMMAAA AAAA AAAAS AAAAAMAAA SAS SSAS SSAAAA AAAAMM AMMS MAS AMA AMSAMMAAA AAAAS AAAAAS S জল সরবরাহ-ছাড়া এই জেলার কল্যাণের জন্য আরও অনেক কিছু করিতে হইবে ; কিন্তু জল সরবরাহ করা চাই-ই চাই । ইহা একান্ত প্রয়োজনীয়। গৌরবজনক মৃত্যুও পৃথিবীতে অনেকের হয়। কিন্তু দশ বৎসরে বঁাকুড়ায় যে এক লাখের উপর লোক কমিয়াছে, ইহাতে কোন গৌরব নাই। যাহাতে লোকে অনশনে ও নিবার্ষ্য ব্যাধিতে না মরে, তাহার চেষ্টা, আমরা যে যতটুকু পারি, করা সকলের কর্তব্য। গ্রামের মায়ের একক্রোশ দুইক্রোশ তিনক্রোশ পথ ভীষণ রৌদ্রে স্থাটিয়া এক এক কলসী জল কাদা হইতে নিষ্কাশনের চেষ্টা করিতে থাকিবে, দুর্ভিক্ষে ও নানা রোগে হাজার হাজার লোক মরিবে, অথচ আমরা আলস্তে কালযাপন করিব, ইহা ঠিক নয় । সেইজন্য আমরা মনে করি, জলসরবরাহ-সমবায়-সমিতি গঠনে সাহায্য করা সহযোগী অসহযোগী সরকারী বেসরকারী সব লোকেরই কৰ্ত্তব্য। অনেক জায়গায় পুষ্করিণী, দীঘি, বাধ বা খালে বাধ দিয়া নিৰ্ম্মিত কৃত্রিম হ্রদ হইতে সহজে জল সেচনের উপায় না হইতে পারে। কুপ হইতে বা অন্য নিম্ন স্থান হইতে উচু জায়গায় জল তুলিবর জন্য পাম্প, বা দমকল ব্যব: হারের আবখ্যক হইতে পারে। বাকুড়ানিবাসী অধ্যাপক যোগেশচন্দ্র রায় মহাশয়ের উদ্ভাবিত একটি পাম্প দ্বার। তাহার বাড়ীর কুয়া হইতে একজন কামিন ( মজুরাণী ) স্বচ্ছদে জল তুলিতেছে, গত বৎসর মাঘ মাসে দেখিয়া আসিয়াছি। কামিন তিন চারি ঘণ্টা জল তুলিলেও ক্লাস্ত হয় না। যোগেশ-বাবুর ঘরকল্পীর জল, বাগানের জল, র্তাহার পুত্রের পটারির জল, সব এই পাম্প দ্বারা তোলা হয়। পেটেণ্ট, লওয়া হইয়া গেলে ইহা তিনি প্রস্তুত করাইয়া অল্প মূল্যে বিক্ৰী করিতে পারিবেন। পণ্য শিল্প চাষ এই জেলার লোকদের প্রধান উপজীব্য এবং চাষের উন্নতি ও বিস্তৃতি খুব হইতে পারে। তথাপি ওখ চাষের দ্বারা ইহার অধিবাসীদের যথেষ্ট ধনাগম ও উন্নতি হইবে না, এবং শুধু চাষেই সমস্ত বৎসর নিয়মিত পরিশ্রম করিবার অভ্যাস জন্মিবে না। ধনই সবকিছু প্রবাবী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ তাগ, ১ম খণ্ড । নহে । আলস্য ত্যাগ করিয়া পরিশ্রমে অভ্যস্ত হওয়া । মনুষ্যত্বলাভের প্রধান উপায়। শ্রমশীলতা ব্যতিরেকে সদগুণশালী হওয়া যায় না। অতএব শুধু ধনের জন্য নহে, মানুষ হইবার জন্যও সমস্ত বৎসর নিয়মিত শ্রম করিবার মত কাজ চাই । এইরূপ কাজ, চাষ ও পণ্যদ্রব্য উৎপাদন, উভয়প্রকার বৃত্তি অবলম্বন দ্বারা পাওয়া যাইবে । r* মনুষ্যত্বের কথা যখন উঠিয়াছে, তখন এই প্রসঙ্গে বলিয়া রাখি, যে, সচ্চরিত্র না হইলে, কৃষি, শিল্প, বা অন্ত . যে-কোন বৃত্তিই অবলম্বন করা যাক না, তাহাতে উন্নতি করা যায় না। কখন কোন জিনিষটি প্রস্তুত করিয়া দেওয়া হইবে প্রভৃতি বিষয়ে নিজের কথা রাখা, ঠিকৃ সময়ে কাজে উপস্থিত হওয়া, এবং বিনা তত্ত্বাবধানেও নির্দিষ্ট কাল মন দিয়া কাজ করা, একটা কাজ হাতে লইয়া দু-একদিন কাজ করিয়া তাহার পর বহু দিন অদৃপ্ত না হইয়া যাওয়া, জিনিষের দাম ও উৎকর্ষ সম্বন্ধে ক্রেতাকে না ঠকান, এইসমস্ত গুণ সচ্চরিত্র লোকের থাকে। এইসব বিষয়ে বাংলার অন্যান্ত স্থানের কারিগর ও শ্রমিকদের মত বাকুড়া জেলার কারিগর ও শ্রমিকদেরও অখ্যাতি আছে । বেশী আছে কি কম আছে, তাহার বিচার করা কঠিন, তাহা করিয়া কোন লাভগু নাই। দোষগুলি দূর করাই আসল কাজ। তাহা স্বধৃষ্টান্ত ও স্বশিক্ষা ভিন্ন হইবে না। দুঃখের বিষয়, আমরা শিক্ষিত ব্যক্তিরাও অনেক স্থলে এইরূপ দোষে দোষী । মৃতরাং আমরা যদি অন্যকে শিক্ষা দিতে চাই, তাহ হইলে আমাদিগকে নিজেই আগে ভাল হইতে হইবে । ব্যভিচার, মাত লামি প্রভৃতি গুরুতর দোষ যে দূর করিতে হইবে, তাহা বলাই বাহুল্য। ' অন্যান্য জেলার মত এই জেলায় খনিজ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ কি কি জিনিষ পাওয়া যায়,এবং তাহার কোনগুলি মানুষের কাজে লাগে বা লাগিতে পারে, তাহার একটি বিবরণ সংগৃহীত ও প্রকাশিত হওয়া উচিত। তাহার পর দেখিতে হইবে, কোন কোন জাতের লোকের আগে কি কি কৌলিক কাজ ছিল, এখন কি কি আছে, ও কি পরিমাণে আছে। কৌলিক কাজ কাহাদের সম্পূর্ণ বা