পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] বাঁকুড়া জেলার একটি বাঁধের লকূ-গেট বা আটক-কপাট কতক গিয়াছে, তাহার বৃত্তাস্ত এবং সেই কারণে তাহাদের সংখ্যা হ্রাস হইতেছে কি না, তাহার বৃত্তান্ত সংগ্ৰহ করিতে হইবে । যাহাদের কৌলিক কাজ একেবারে বা কতক গিআছে, তাহাদিগকে পুনরায় সেই কাজে লাগান যায় কি না, নতুবা নূতন কি কাজ দেওয়া যায়, তাহ বিবেচন৷ করিতে হইবে । এই-সকল অনুসন্ধান ও তত্ত্বনির্ণয়ের স্থবিধা গবর্ণমেন্টের যেমন আছে, অন্ত কাহারও তেমন নাই। কিন্তু গবর্ণমেণ্টের উপর নির্ভর করিয়া থাকিলে চলিবে না। জেলার কংগ্রেস-কৰ্ম্মীরা এই কাজটির ভার লইলে খুব ভাল হয়। বাকুড়া-সন্মিলনীও এই কাজটি করিলে তাহার কৰ্ত্তব্যই করা হইবে। আমরা যে-সব বিষয় সম্বন্ধে লিখিতেছি, সেই সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান আহরণ ও বিস্তার এবং তষিয়ে আলোচনা করিবার জন্য জেলার একটি মাসিক কাগজ থাকা উচিত। ত্রৈমাসিক “বাকুড়া-লক্ষ্মী” আছে বটে, এবং ইহাতে বেশ দরকারী লেখাও বাহির হয়। কিন্তু ইহা নিয়মিতরূপে বাহির হয় না। একটি মাসিক কাগজ বাহির হওয়া উচিত এবং তাহ বাকুড়াসন্মিলনী বাহির করিলেই ভাল হয়। বাঁকুড়ায় যে যে পণ্যশিল্প আগে প্রচলিত ছিল বা এখনও আছে, তাহার উল্লেখমাত্র করিতেছি, বিস্তারিত বৃত্তাত্ত দিবার স্থান হইবে না। আগে কাপাসের চাষ ও চত্বকায় স্বতা কাটা খুব প্রচলিত ছিল । এখনও অল্প পরিমাণে আছে, কিন্তু তাতির প্রায়ই কলের স্থতায় কাপড় বুনিয়া থাকে । তাহাতে তন্তুবায়জাতীয় সকলের না হউক, অনেকের অল্পসংস্থান হয়। নানাবিধ পণ্যশিল্প সম্বন্ধে আমরা কতকগুলি সংবাদ “বাকুড়া-লক্ষ্মী” হইতে পতাকাদণ্ড করি, দিতেছি ।