পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড বিষ্ণুপুর টেক্‌মিক্যাল স্কুলের রন্ধনশীল ও বাংলা পড়ানের ঘর। বামে—আপিস ও গ্রন্থাগার ; দক্ষিণ-ছাত্রাবাদ। হন। মোট ২-২ টাকা খরচ করিয়া এথমে এক বৎসর কার্য্য শিক্ষা করিলে প্রত্যেক ছাত্রই অনায়াদে স্বাধীনভাবে উহার জীবিক উপাৰ্জন করিতে পরিবেন, ইহা নিঃসন্দেহে বলা যায়। বর্তমানে - এই বিদ্যালয়ে ভিন্ন জেলার ছাত্রসংখ্যাই বেশী। এই বিদ্যালয়ে নিম্নলিখিত জব্যাদি স্বলঙ মূল্যে ক্রয় করিতে পাওয়া যায় ;–ধুতি, গাম্‌ছ, তোয়ালে, মশারির ফিতা, বিছানার চাদর, লেপের ওয়াড়, কোটের ও শার্টের কাপড়, গরদের খান ইত্যাদি , টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ, আলমারী, খড়ম, দোঙ্গাতদানী, ফটোফ্রেম্, কপাট, চৌকাট, বাল্প ইত্যাদি। এই শিল্পবিদ্যালয় আমরা দেখিয়া আসিয়াছি। ইহা বেশ উচু, খোলা ও স্বাস্থ্যকর স্থানে অবস্থিত। ছাত্রদের শিক্ষার ও বাসের বন্দোবস্ত ভাল। নানা-প্রকার স্বন্দর তোমালে, স্থতি ও রেশমী : কাপড়, কাঠের নানাবিধ জালবাব বিক্রীর জন্য রহিয়াছে দেখিলাম । নিকটস্থ বনের নানাপ্রকার কাঠ কাজে লাগাইবার চেষ্টা হইতেছে দেখিলাম। লাল পদ্মের মত রং একরকম কাঠ আমার বেশ ভাল লাগিয়াছিল। বিষ্ণুপুরের মত ছোট একটি সহরের লোকের ইহার জন্য থোক পচিশ হাজার টাকা দিয়াছিলেন, এবং এখনও অনেক টাকা মাসিক চাদ দেন। ইহা প্রশংসার কথা। আরও অনেক টাকার দরকার। অন্য জেলার ছাত্রই এখানে বেশী । স্বতরাং বঙ্গের সকল জায়গা হইতে এই বিদ্যালয়টির "iহায্য পাইবার স্তায্য দাবী আছে। বর্ধমান রাজবংশ বিষ্ণুপুরের রাজবংশের বহুবিস্তৃত জমিদারীর এখন মালিক। धशब्राछाषिब्रांज ५३ विस्राणघरक ७ककाणैौन ७कनच ?ोक, এবং মাসিক ৫০০ টাকা দিলে যথোপযুক্ত কাজ হয়। ইহার মাসিক খরচ ২৮৫ টাকা হয়। তাহার মধ্যে ১৩৫ টাকা সৰ্ব্বসাধারণকে চাদ। স্বারা তুলিতে হয়। অন্যান্য বৃত্তাস্ত মহকুমার ম্যাজিষ্ট্রেটু ও শিল্পবিদ্যালয়ের প্রধান উদ্যোক্তা , ও সভাপতি শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণগোপাল ঘোষের নিকট প্রাপ্তব্য । ... স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ম্যালেরিয়া ও কুষ্ঠরোগের প্রাদুর্ভাব এই জেলায় কোন কোন অংশে কিরূপ, তাহা চৈত্রমাসের প্রবন্ধে বলিয়াছি। ইহার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পূৰ্ত্তকাৰ্য্য কি কি আবশ্বক, তাহ সরকারী স্বাস্থ্যবিভাগের লোকদের সমস্ত জেলা ঘুরিয়া স্থির করা কৰ্ত্তব্য, এবং কৰ্ত্তব্যনির্ণয় হইয়া গেলে তাহ সম্পন্ন করা উচিত। বিষ্ণুপুর মহকুমার সব স্থানেই জল-নিঃসারণের স্ববন্দোবস্ত নাই, এবং চাষের জন্য নদীতে বাধ দিলেই তাহার দ্বারা ম্যালেরিয়ার স্বষ্টি হইবে, সেন্সস রিপোর্টের এই ধরণের মত ঠিক নয়। বাধ দিয়াও দেশকে স্বাস্থ্যকর রাখিবার এঞ্জিনীয়ারিং ব্যবস্থা হইতে পারে। তদ্ভিন্ন স্বাস্থ্যতত্ত্ব প্রচার এবং জঙ্গল ডোবা আদি পরিষ্কার করণ প্রভৃতি যে-সব কাজ লোকেরা নিজে করিতে পারে, তাহাতে তাছাদিগকে গুরুত্ত উচিত । জেলার কৃষি ও