পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ8e মাত্রাও বাড়িত্বে পারে। ফল কি-প্রকার হইবে, তাহা "ষ্ট্রজাদের প্রতিজ্ঞার দৃঢ়তা এবং সৰ্ব্বপ্রকার দুঃখ-সহিষ্ণুতা ও প্রাণ পণ করিবার ক্ষমতার উপর নির্ভর করিবে। স্বরাজ্য-দলের বাধা-দান-নীতি স্বরাজ্যদল যে সব বিষয়ে সুসঙ্গতভাবে বাধা-দাননীতি প্রয়োগ করিতে পারেন নাই, তাহার জন্য সম্ভবতঃ দলের নেতার বা সমুদয় সভ্য দায়ী নহেন। কিন্তু যদি র্তাহার কোন-প্রকার লোভ দেখাইয়া বা লুন্ধত চরিতার্থ করিয়া দল পুরু করিবার চেষ্টা করিয়া থাকেন, এবং র্তাহীদের বিরুদ্ধ পক্ষ সেই পেলায় তাহাদিগকে পরাজিত করায় তাম্বাদের চেষ্টা সফল না হইয় থাকে, তাহা হইলে অগত্যা উভয় পক্ষের, বিশেষতঃ খেলার প্রবর্তকদিগের, নিন্দা করিতেই হুইবে । স্বরাজ্যদল এই বলিয়াই কৌন্সিলগুলিতে যাইতে চাহিয়াছিলেন এবং নির্বাচনলড়াই ফতেও করিয়াছিলেন, যে, দ্বিবিভক্ত শাসনপ্রণালী ও কেন্সিলগুলি তাহার ধ্বংস করিবেন । ঠিক তাহা করিবার সামর্থ্য র্তাহীদের নাই জানিয় তাহারা যে পূৰ্ব্ব-ঘোষিত নীতির কতকটা পরিবর্তন করিয়াছেন, তাহার জন্য র্তাহাদিগকে দোষ দিতেছি না । অবস্থ৷ দেখিয়৷ কাৰ্য্য-নীতি ও কার্য্য-প্রণালী পরিবর্তন কর। দোষ|বহু নহে। কিন্তু বাধা-প্রদাতার বজেটের যে সে বরাদ নামঞ্জুর করিতে পারিয়াছেন, ঃ ধাহা মঞ্জুর করিয়াছেন, তাহার সকলগুলির মধ্যে কোন একটি স্বসঙ্গত ও স্বচিন্তিত নীতি সকল স্থলে ধরিতে পার। যাইতেছে না। দৃষ্টান্ত দিতেছি । আবগারী-বিভাগের বায় মঞ্জুর হইয়াছে, কিন্তু স্কুল পরিদর্শকদের বেতনাদি বাবদে ব্যয় মঞ্জুর হয় নাই। মদ গাজ আফিং প্রভৃতি উৎপাদন ও তাহাদের বিক্রীর তদন্ত কর, এবং তাহার কাটুতি বাড়াইয় সরকারের রাজস্ব বাড়ান, স্থল-পরিদর্শন অপেক্ষা জাতির পক্ষে কি অধিক কল্যাণকর ও একান্ত আবশ্যক কাজ ? জেলের *茱 র্তাহারা নামঞ্জুর করিয়াছেন, কিন্তু পুলিশের বরাদ কোন কোন দফায় কমাইলেও মোটামুটি টাকাটা মঞ্জুর প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড । হইয়াছে। অর্থাৎ, ব্যবস্থাপক সভার সভ্যদের মতে• পুলিশের আসামী-চালান কাজ ও আসামীদের কারাদওবিধান চলিতে থাক, কিন্তু কয়েদীদিগকে আটক রাখিবার লোক এবং তাহাদিগকে থাইতে দিবার টাকা যেন না, থাকে চিকিৎসা-বিভাগের অনেক লোককে, টাকা মঞ্জুর না হওয়ায়, যে বরখাস্ত করিতে হইতে পারে, তাহার মধ্যেই বা কি স্বসঙ্গত কারণ আছে ? তাহারা কি আবগারী বিভাগের লোকদের চেয়েও অকেজো ? আমরা বলিতেছি না, যে, দল-বিশেষের দোষে বk. গুণে এই-সব অসঙ্গতি ঘটিয়াছে ; কিন্তু ইহা নিশ্চয়, যে, বাধা-দাতা সভ্যদের মধ্যে অব্যবস্থিতচিত্ত, চিস্তায় অনভ্যস্ত, বা অতিরিক্ত পরিমাণে স্বার্থ-সিদ্ধি-লে লুণ লোক কতকগুলি আছে । দায়িত্ব-মূলক গবর্ণমেণ্ট, দ্বিবিভক্ত শাসন-প্রণালী যখন প্রবর্তিত হয়, তখন সৰ্বকার-পক্ষ হইতে বলা হইয়াছিল, যে, কতকগুলি বিষয় ও বিভাগ থাকিবে, যাহা হস্তান্তরিত ও মন্ত্রীদের হস্তে অপিত হুইবে । তাতার কাজ মন্ত্রীরা ব্যবস্থাপক সভার সভ্যদের অধিকাংশের মত অনুসারে চালাইবেন, অর্থাৎ উহার জন্য তাহার ব্যবস্থাপক সভার নিকট দায়ী থাকিবেন । ব্যবস্থাপক সভায় যদি এমন কোন প্রস্তাব ধfয্য হয়, যাচাতে বুঝায় যে মন্ত্রীদের উপর উহার আস্থা নাই, তাহা হইলে মন্ত্রীরা আর কাজ করিতে পরিবেন না। ইহাই নূতন শাসনপ্রণালীর মৰ্ম্ম বলিয়া লোকে. বুঝিয়াছিল। কারণ, যদি ব্যবস্থাপক সভার মর্তকে অগ্রাহ করিয়া মন্ত্রীরা কাজ করিতে পারেন, তাহা কুইলে দায়িত্বমূলক গবর্ণ মেণ্টের কোন মানে থাকে না, উহা প্রহসনে পরিণত হয় । অথচ বাংলাদেশে দেখিতেছি, মন্ত্রীদের বেতন মঞ্জুর হয় নাই, অর্থাৎ ব্যবস্থাপক সভার অধিকাংশ সভ্য মনে করেন, যে, ওরূপ লোককে বেতন দিয়া রাখা টাকার অপব্যবহার ; তথাপি মন্ত্রীরা মন্ত্রী আছেন। ইহা ভারতশাসন আইন4অনুযায়ী কি না, তাহার একটা পরীক্ষা হওয়া দরকার ।