পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা } • একটা খবর রটিয়াছে, যে, শিক্ষা-বিভাগের ও চিকিৎসা-বিভাগের কতকগুলি কৰ্ম্মচারীকে এই ওজুহাতে তিন মাসের নোটিস দিয়া ববৃখাস্ত করা হইবে, যে, .ব্যবস্থাপক সভা তাহদের বেতন মঞ্জুর করেন নাই। কিন্তু ভারতশাসন আইনে আছে, যে, হস্তান্তরিত বিভাগগুলির কোন টাকার মঞ্জুর না*হইলে তাহা চালাইবার জন্য আবশ্যক টাকা গবর্ণ স্বয়ং মঞ্জুর করিতে পারেন । যদি কোন কারণে মন্ত্রীদের অস্তিত্ব না থাকে, তাহা হইলে গবর্ণর স্বয়ং হস্তান্তরিত বিভাগগুলিন ভার নিজের হাতে লইয়। তাহ চালাইবার মত টাকা স্বয়ং মঞ্জর করিতে পারেন । এইরূপ কোন ব্যবস্থা না ক রয়া গবর্ণ যে অনেক কৰ্ম্মচারী ছাড়াইয় দিবেন বলিয়া সংবাদ বাহির হইয়াছে, তাহার মধ্যে অনেকে পৃঢ় অভিসন্ধি দেখিতে পাইতেছেন। অর্থাৎ গবর্ণমেণ্ট দেশের লোককে যেন প্রকারান্তরে বলিতে চাহিতেছেন, “দেখ, তোমাদের স্বদেশবাসীর ইহাদের বেতন মঞ্জুর করে নাই ; আমরা কি করিতে পারি বল ? এমন লোককে প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন করাই তোমাদের ভুল হইয়াছে।” কোন কাজের মধ্যে কোন দুরভিসন্ধি আছে কি না, নিশ্চয় করিয়া বলা কঠিন ; কিন্তু বৰ্ত্তমান ক্ষেত্রে আরোপিত অভিসন্ধি থাক অসম্ভব মনে হইতেছে না। যাহা হউক, যদি গবর্ণমেণ্টের এরূপ মংলব থাকে, তাহা হইলে তাঙ্গার ফল উন্ট হওয়াও বিচিত্র নঙ্গে। কারণ, লোকে ইহা ত সহজেই জিজ্ঞাস। করিতে পারে, যে, গবর্ণর কেন তাহার আইনপ্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করিয়া বিভাগগুলি চালাইবার মত টাক। মঞ্জুর করিলেন না, এইসব কৰ্ম্মচারী ব্যতিরেকে বিভাগ ছুটির কাজ আগেকার মত সৰ্ব্বাঙ্গীন ভাবে কেমন করিয়া চলিতে পারে ? আর যদি বহু কৰ্ম্মচারীকে ছাড়াইয়া দিয়াও এই দুটি বিভাগ চলিতে পারে, তাহা হইলে গবৰ্ণমেণ্টের হস্তে, রক্ষিত রিজাৰ্ভড বিভাগগুলির কৰ্ম্মচারী কমাইয়া দিলেষ্ট বা সেগুলি কেন না চলিবে ? কিন্তু তাহা কমাইতে গেলেই ত শ্বেত আমূলাবর্গ মহা কোলাহল উত্থাপিত করেন । বিবিধ প্রসঙ্গ—ইংরেজ জাতি ও ইংরেজের শাসন-প্রণালী S8X ভারতশাসন আইনটির একটি মজা দেখুন। গবর্ণমেন্টের হস্তে রক্ষিত রিজার্ডড, কোন বিভাগের “ੱਚ বরাদ্দ টাকা নামঞ্জুর করিবার ক্ষমতা ব্যবস্থাপক সভার নাই বা কেবল নামে মাত্র আছে ; কেন না, উহার কোন বরাদ সভা নামঞ্জুর করিলেও গবর্ণর তাহ অবিলম্বে মঞ্জুর করিতে পারেন । তাহাতে ফল এই হয়, যে, রক্ষিত বিভাগগুলির কোন কৰ্ম্মচারীর চাকুরী যাইবার সম্ভাবনা নাই বলিলেই হয়। কিন্তু হস্তান্তরিত বিভাগগুলির জন্য বরাদ্ধ টাকা বাস্তবিকই নামঞ্জুর করিবার ক্ষমতা ব্যবস্থাপক সভার আছে। স্বতরাং এইসব বিভাগের কৰ্ম্মচারীদের চাকুরী যাইবার সম্ভাবনা আছেণ্ট এবং এই বিভাগগুলিই দেশী মন্ত্রীদের হাতের বিভাগ। অতএব আইনের মধ্যেই এরূপ বন্দোবস্ত রহিয়াছে, যাহাতে দেশী মন্ত্রী ও দেশী সভোর লোকের বিভাগভাজন হইতে পারে । এখন প্রশ্ন হইতে পারে, তোমরা টাক। নামঞ্জুর করিয়া বিরাগভাজন হও কেন ? বজেটে যে যে দফায় যত টাক। লেখা থাকে, তাঙ্গতে “হঁ।” বলিলেই পার । গবর্ণমেণ্টের অভিপ্রায় তাহাই বটে। কিন্তু তাহা হইলে বজেটটা ব্যবস্থাপক সভার মতের জন্য পেশ করাই বা হয় কেন ? এবং রক্ষিত বিভাগগুলির জন্য বেশী টাকা রাপিয়া হস্তান্তরিত বিভাগগুলির জন্য কম কম টাকা রাখিলে, তাহার প্রতিবাদ কেমন করিয়া করা যায় ? দেশে জুলুম জবরদস্তী অত্যাচার হইলে সে-সম্বন্ধে জন-সাধারণের মতের প্রভাব গবর্ণমেণ্ট কে অনুভব করাইবারই ব| উপায় কি আছে ? সে-সব বিষয়ে কোন প্রস্তাব ধাৰ্য্য হইলে আইন অনুসারে তদচযায়ী কাজ করিতে গবৰ্ণমেণ্ট, বাধ্য নহেন, এবং অধিকাংশ স্থলে গবর্ণমেণ্ট, তাহা অগ্রাহ্ই করিয়া থাকেন। ইংরেজ জাতি ও ইংরেজের শাসন-প্রণালী এইরূপ কথা মধ্যে, মধ্যে শুনা যায়, যে, ব্যক্তিগতভাবে ' এবং জাতিগতভাবে ইংরেজদের সহিত আমাদের কোন ঝগড়া নাই, ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের শাসন-প্ৰণালীরই আমরা