১ম সংখ্যা ] •প্রতিনিধি হওয়া উচিত। টাকার থলির ওজন এবং টাকার দ্বারা পদ ক্রয়ের অবৈধ ইচ্ছ, যোগ্যতার মাপকাঠি হওয়া উচিত নয়। যাহারা অবৈধ ভাবে টাকা খরচ করিয়া প্রতিনিধিত্ব লাভ করা হেয় মনে করে মা, তাহারা প্রতিনিধির পদের ও ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া অবৈধ উপায়ে টাকা রোজগার করিতেও পারে । পাশ্চাত্য কোন কোন দেশে দলের টাকাবাড়াইবার জন্য সভ্যপদ বিক্রী, উপাধি বিক্রী, প্রভৃতি ক্ষমতার অপব্যবহার প্রবলতম দল করিয়া থাকে। যাহারা এই-প্রকারে প্রতিনিধি হয়, তাহার কেহ কেহ পরে পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া আগেকার খরচটা স্বদসমেত পোষাইয়া লয়, বরং তাহা অপেক্ষা ও বেশী রোজ গার করে। এইপ্রকুরে কুরীতি আমাদের দেশে প্রবৰ্ত্তিত হইয়৷ থাকিলে তাহা অভ্যস্ত দুঃখের ও লজ্জার বিষয়। যদিই স্বরাজ্যদল এই দোষে দোষী হইয়া থাকেন, তাহা হইলে ভবিষ্যতে তাহার দোষনিমুক্ত থাকেন, দেশহিতৈষী মাত্রেই এই উচ্চা করিবেন। মফস্বলে ওলাউঠার প্রাদুর্ভাব এই সময়ে বাংল। দেশের নান স্থানে ওলাউঠার প্রাদুভাব প্রতিবংসর হুইয়া থাকে যথেষ্ট নিৰ্ম্মল পানীয় জুলের অভাব ইহার একটি কারণ। সংখ্যা হিসাবে দেশে ছোট ও বড় জলাশয় যে কম আছে তাহা নহে । কিন্তু কালক্রমে এইসব পুকুর দীধি বাধ এবং কোথাও কোথাও নদী পৰ্য্যস্ত ভরাট হুইয়া গিয়াছে। পঙ্কোদ্ধার ও পুনরায় খননের বন্দোবস্ত হয় নাই । ধে-সব জলাশয় খননের সময় একজনের সম্পত্তি ছিল, তাহ পরে অনেকের হইয়াছে । তাহাদের ঐক্যের অভাবে বা ধনের অভাবে কিম্বা উভয় কারণেই পঙ্কোদ্ধার হয় নাই। পূৰ্ব্বে জলাশয় প্রতিষ্ঠা পুণ্যকৰ্ম্ম বলিয়া বিবেচিত হইত, এবং এই বিশ্বাস সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল । এখন অনেক ধনী লোকের সে বিশ্বাস নাই ; এবং যাহাঁদের তাহ আছে, তাঙ্গাদের টাকা নাই । অধিকন্তু, বড় বড় অনেক জমাদার রায়ুতদের রক্তশোষণ করিয় নিজ নিজ গ্রাম ত্যাগ করিয়া কলিকাতায় বিলাসে মগ্ন থাকেন, জমীদারীর জলfভাব প্রভৃতির দিকে মন দেন না। অনেক জমীদারের জমীদারী যে জেলায়, সে জেলায় কোন কালেই তাহাদের* নিবাস ছিল না এবং এখনও নাই ; সুতরাং ঐ জেলার প্রতি র্ত্যহাদের কোন মায়। মমতাও নাই ! প্রত্যেক জমীদারই এই-প্রকার, তাহা আমরা বলিতেছি না ; BBBBBBB BBBBBS BBSBBS BB BBBBB বিবিধ প্রসঙ্গ—মফঃস্বলে ওলাউঠার প্রাচুর্ভাব b8సి জমীদার যে কৰ্ত্তব্যবিমুখ, তাহা অস্বীকার করিবার জো নাই । যাহারা পরিশ্রম করিয়া ধন উৎপাদন করিবে, তাহারা পুরুষানুক্রমে দুঃখ ভোগ করিবে, এবং যাহার পরিশ্রম করিবে না তাহারা অতীতকালের কোন একটা দলিলের বলে পুরুষানুক্রমে আলুস্য সত্ত্বেও আরামে বিলাসে থাকিবে, এরূপ ব্যবস্থা চিরস্থায়ী হইতে পারে না। ব্রিটিশ গধর্ণমেণ্ট যে জমাদারী বন্দোবস্ত করিয়াছেন, তাহার নাম দেওয়া হইয়াছে “চিরস্থায়ী।” কিন্তু মানবীয় কিছুই চিরস্থায়ী নহে। ভূমির খাজনার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কৰ্ত্ত ব্রিটিশ গবৰ্ণমেণ্ট ও চিরস্থায়ী হইবে না। পরিবর্তন হইবেই। আমরা কেবল এই প্রার্থনা করি, যে, রুশিয়ায় যে-ভাবে রক্তপাত সহকারে ভূস্বামী ও মূলধনী সম্প্রদায়ের উচ্ছেদ করিয়া আমূল পরিবর্তন সংসাধিত হইয়াছিল, অহিংস মহামস্ত্রের উদ্ভবস্থান ভারতে তাক যেন কখনও মা হয়। যদি পবর্ণমেণ্ট, ভূস্বামী, ও ধনী লোকেরা সময় থাকিতে নিজ নিজ কৰ্ত্তব্য করিবার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেন, তাহা হইলে ভারতবর্ষে এ-প্রকার ভীষণ বিপ্লব কখনও ঘটিবে না। নতুবা ঘটিতে পারে । - ভবিষ্যতের কথা ছাড়িয়া দিয়া বত্তমানের দিকে দৃষ্টিপাত করি । বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদের সময়কার স্বদেশী আন্দোলনের যুগে, কোন কোন স্থানে যুবকের স্বহস্থে জলাশয় খনন করিয়া স্থানীয় জলাভাব দূর করিয়াছিলেন । বৰ্ত্তমানে সেইরূপ সংকাজ যুবকের কোথাও করিতেছেন কি না, অবগত নঙ্গি । গ্রামের লোকেরাও মিলিত চেষ্ট দ্বার। কুপপনন এবং পুরাতন জলাশয়ের পঙ্কোদ্ধার করাইয়া অভ্যস্ততঃ একটি করিয়া জলাশয় পানীয় জলের জন্য আলাদা করিয়। রাপিতে পারেন। ইহা ব্যতীত, বাকুড়া জেলায় ধেমন জল-সরবরাহসমবায়-সমিতিসকল গঠিত হইতেছে, জলের অভাব দূর করিবার তাহ প্রক্লষ্ট উপায় । “বাকুড়ার উন্নতি" নামক প্রবন্ধে ইহার বৃত্তাস্ত দৃষ্ট হইবে । বঙ্গীয় হিতসাধন-মণ্ডলী এবং কোন কোন জেলার সম্মিলনী, হিতকরী সভা, হিতসাধিনী সমিতি, ইত্যাদি গু কোথা ও গুলাউঠার আবিভাব হইলে তথায় চিকিৎসক ঔষধ যন্ত্র ও পথ্য পাঠাইয়া থাকেন । ইহঁাদের হাতে যথেষ্ট টাকা সৰ্ব্বসাধারণের দেওয়া উচিত। যথেষ্টসংখ্যক চিকিৎসক ও অন্য কৰ্ম্মীর ও অভাব আছে ! এইজন্য দেশে ভাল চিকিৎস-বিদ্যালয়ের সংখ্যা বুদ্ধি করা একান্থ অবষ্ঠক । যেগুলি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, তাঙ্গার স্থায়িত্ব বিধান আগে করিতে হুইবে