পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b(tbు আত্মার বা 'ব্রহ্মের প্রকৃত অবস্থা কি, যাজ্ঞবল্ক্য এস্থলে তাহাই বর্ণনা করিয়াছেন । র্তাহার দর্শনের শেষ সিদ্ধান্ত কি তাহাও বলা হইয়াছে। ইহার পরে তাহার আর নূতন কিছু বলিবার ছিল না। স্বতরাং এই স্থলেই র্তাহার উপদেশের পরিসমাপ্তি হইতে পারিত । কিন্তু গ্রন্থে দেখিতে পাই, তিনি জনককে আরও উপদেশ দিয়াছিলেন । দর্শনশাস্ত্রের দিক্ হইতে এই উপদেশের বিশেষত্ব বা গভীরত্ব নাই । তবে ইহার কোন কোন অংশ দ্বারা তাহার অদ্বৈতবাদ দৃঢ়ীক্লত হইয়াছে। ইহার কয়েকটি মন্ত্র নিয়ে উদ্ধত হইল – ( ক ) ‘এই ইহাই আমি—এইভাবে যিনি আত্মাকে অবগত হইয়াছেন, তিনি কি ইচ্ছা করিয়া কোন বস্তুর কামনায় এই শরীরে দুঃখ ভোগ করবেন ? (বুহ: ৪।৪।১২) ( , ) এই গহন শরীরে প্রবিষ্ট আত্মাকে যিনি লাভ করিয়াছেন, এবং সাক্ষাৎ করিয়াছেন, তিনিই বিশ্বক্লং, তিনিই সকলের কৰ্ত্ত । ( স্বর্গাদি ) লোক তাঙ্গারক্ট এবং তিনিই ( এষ্ঠ-সমুদায় ) লোক । ( ৪।৪।১৩) ( 이 ) প্রাণসমূহের মধ্যে যিনি বিজ্ঞানময়, ধিনি হৃদয়ের অভ্যন্তরস্থ আকাশে অবস্থিত, তিনি মহান অজ আত্মা । তিনি সকলের বশী, সকলের শাসনকৰ্ত্ত, ও সকলের অধিপতি। সাধুকৰ্ম্ম দ্বারা তিনি শ্রেষ্ঠ হন না। অসাধু কৰ্ম্ম দ্বারা তিনি হীন হন না । ইনিই সৰ্ব্বেশ্বর, ইনিই সমুদায় ভূতের অধিপতি, ইনিই সমুদায়ু ভূতের পালক । লোকসমূহ যাহাতে বিচ্ছিন্ন হইয়া না যায়, এইজন্য তিনি সেতুস্বরূপ হইয়া রহিয়াছেন । ( ৪।৪।২২ ) এই কয়েকটি মস্ত্রে বলা হইল যে—মনবে যিনি আত্মী, অর্থাৎ আমরা র্যাহাকে মানবাত্মা বলি, তিনিই ব্রহ্ম, তিনিই বিশ্ব ভুবনের অধিপতি । , নিম্নোদ্ধৃত কয়েকটি মন্ত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আত্মার প্রকৃতি ও ক্ষমতার বিষয় বর্ণিত হইয়াছে – প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, I එළු) [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড (* घ ) ইনিই মহান আজ আত্মা ; ইনিই অঙ্গর অমর অমুত অভয় ব্রহ্ম । ( ৪।৪।২৫ ) ( & ) এই যে আত্মা—যিনি ভূত-ভবিষ্যতের ঈশ্বর, স্বপ্রকাশ ( বা জ্যোতিৰ্ম্ময় ),—ষ্টহীকে যিনি সাক্ষাৎভাবে দর্শন করিয়াছেন, তিনি কিছুতেই ভীত হন না । ( ৪।৪।১৫ ) ( 5 ) - যাহর পশ্চাৎভাগে দিন ও সম্বৎসর প্রবর্তন করিতেছে, সেই জ্যোতির জ্যোতি আয়ু:স্বরূপ এবং অমৃতস্বরূপকে দেবগণ উপাসনা করিয়া থাকেন। (৪।৪।১৬) ( ছ ) যাহাতে পঞ্চজন এবং আকাশ প্রতিষ্ঠিত, আমি তাহাকে আত্ম বলিয়া জানি ; আমি অমৃত-স্বরূপ ব্রহ্মকে জানিয়া অমৃত হইয়াছি । ( ৪।৪।১৭ ) ভাষ্যকারগণ বলেন এস্থলে পঞ্চজন অর্থ গন্ধৰ্ব্বাদি পঞ্চ শ্রেণী, কিংবা ব্রাহ্মণাদি চারিবর্ণ এবং নিষাদ, কিংবা পঞ্চেন্দ্ৰিয় । ( জ ) র্যাহারা তাহীকে প্রাণের প্রাণ, চক্ষুর চক্ষু, শ্রোত্রের শ্ৰোত্র এবং মনের মন বলিয়া জানেন র্তাহারাষ্ট সেই পুরাতন সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ব্ৰহ্মকে নিশ্চিতরূপে জানিয়াছেন । ( 8i81>lr ) আত্মাকে লক্ষ্য করিয়াই এই-সমুদয় মন্ত্র রচিত হইয়াছে এব" এই-সমুদয় স্থলে আত্মাকেই ব্ৰহ্ম বলা হইয়াছে। ধাজ্ঞবল্ক্যের মতে আত্ম এক এবং এই আত্মা অন্তরবাহ-ভেদরহিত । কিন্তু আমরা জগতে বহু হ দেখিতেছি। এই বিরোধী মতের মীমাংস কি? যাজ্ঞবল্ক্য বলিতেছেন :– ( 진, ) , “মন দ্বারাই তাহাকে দশন করিতে হইবে । তাহাতে নানাত নাই । তাহাতে যেন নানাত্ব ( নানা ইব ) রঙ্গিয়াছে—এই-প্রকার যে দর্শন করে, সে মৃত্যু হইতে মৃত্যুকে প্রাপ্ত হয় ( ৪।৪।১৯ ) ব্রহ্মে নানাত্ব নাই—ইহা ঋষি স্পষ্ট করিয়াই বলিয়াছেন।