পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬e র্তাহাকে এমনভাবে বর্ণনা করা হইয়াছে যেন তিনি দেশকালের অধীন। ব্যবহারিকভাবে এইপ্রকার বর্ণনাকে ‘আপাত-সত্য’ বলিয়া গ্রহণ করা যাইতে পারে । কিন্তু পারমার্থিকভাবে ইহা সত্য 'নহে। তাহাকে কোন প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রকারেই বর্ণনা করা যায় না। র্তাহার বিষয়ে কেবল বলা যায়—"নেতি”, “নেতি”, “ইহা নয়" ইহা নয়’ । অপরাপর ঋষির ব্রহ্মবাদ পরে আলোচিত হইবে । মহেশচন্দ্র ঘোষ শিলপী অবনীমোহন অবনীমোহন আজ আর নেই । মাসাপিক আগে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। র্যার তব ল-সঙ্গতের মূল্য বোঝেন ও র্যার yঅবনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয়ের অমুপম সঙ্গত একবারও শুনেছেন, এ সংবাদে তাদের মনে দুঃখ না হ’য়েই পারে না। কারণ অবনীমোহন ছিলেন একজন সত্য শিল্পী ( আর্টিষ্ট্র ) এবং সত্য শিল্পীর উৎকর্ম অভ্যাসে বাড়লেও তার উৎস প্রকৃত্তি-দত্ত প্রতিভা । প্রতিভা চিরকালই বিরল—তাই একজন সত্য শিল্পীর মৃত্যু বেশী ক’রেই আক্ষেপের বিষয় । তব ল-বাজানোতে আবার শিল্প (আর্ট) কি ? এ-কথা অনভিজ্ঞের মনে হ4য় আশ্চৰ্য্য নয় । সাধারণতঃ এ-কথাও মনে হওয়া আশ্চৰ্য্য নয় যে “তব ল-বাজানে আর এমন শক্ত কি ? একটু অভ্যাস করলে সকলেই পারে।" কেম্বিজে একটি তরুণ বাঙালী ছাত্র আমার কাছে একবার গম্ভীরভাবে বলেছিল, "ভিক্টর হুগোর লে মিজেরাবল ? লিখেছে ভাল বটে, কিন্তু ও আর শক্তটা কি ? চেষ্টা করলে ত আমিও আমন বই লিখতে পারি।" প্রথমটা আমার মনে হয়েছিল যে হয় সে মুখ, ন৷ হয় পাগল, ন হয় একজন অসামান্য প্রতিভাশালী ছেলে ব৷ “মিউটু ইনগ্লোরিয়াস মিল্টন " কিন্তু পরে যখন দেখা গেল তাকে এ সংজ্ঞা গুলির মধ্যে একটিরও অন্তভূক্ত করা চলে না, তখন আমাকে এ-কথাগুলি ভাবিয়ে দিয়েছিল মনে আছে । কিন্তু ভেবে দেগে’ ও পরে অনেক দেগে’ শুনে? আমার মনে হয়েছিল যে বস্তুতঃ কোনও বিষয়ে কিছুই না জানলে সে বিষয়ে মতামত দেওয়ার মত সহজ কাজ সংসারে খুব কমই আছে। কারণ, একটু স্থির- ও নিরপেক্ষ-ভাবে فيه 63 বিচার করার অভ্যাস না থাকলে এরূপভাবে না-ভেবেচিন্তে কথা বলাটাই দেখা যায় মানুষের পক্ষে বেশী স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। সুতরাং তবল-বাজানো সম্পর্কে পূৰ্ব্বোক্ত রকম মতামত দেওয়ার সঙ্গে কেন্থিজের ছেলেটির দৃশ্যতঃ হাস্যকর মতামতের মূলগত প্রকৃতির যে বিশেষ ভেদ আছে এমন কথা মনে করার বিশেষ কারণ নেই। তলে স্বন্দর ও যথাযথভাবে বাজানোর মধ্যে যে তখানি শিল্প থাকৃতে পারে ত, যিনি ও-রসে বঞ্চিত তিনি কখনই ঠিক বুঝতে পারবেন না, বা ভারতীয় সঙ্গীতে তল্লা যে কি অনুপম স্থষ্টি তাও উপলব্ধি করতে পারবেন না । - - কোনও ললিত কলারই মনোজ্ঞতম বিকাশের কথ। আমর। বোধ হয় সম্পূর্ণ বস্তুনিরপেক্ষ-( অ্যাবৃন্ত্রাকৃঢ় ) ভাবে ভাবতে পারি না। অর্থাৎ যেমন "সাদা” কথাটি শুনলেই আমাদের মনে হয় দুধের বা তুষারের বা কোনও শ্বেত পদার্থের কথা, তেমনি কোনও যন্ত্রে নৈপুণ্যের কথা মনে হ’লেই মনে হয় কোনও বিশেষ শিল্পীর কথা, যার মধ্যে দিয়ে সে নৈপুণ্য আমাদের কাছে কোন স্মরণীয় দিনে প্রকাশ পেয়েছিল। তবুলার আর্টের কথা আমার মনে হ’লেই অবনী-বাবুর কথা মনে হয়, কারণ তবলায় তার তুল্য আর্টিষ্ট বা শিল্পী আমি খুব কমই দেখেছি। যেমন কোনও কোনও দৃষ্ঠ দেখা যায় হয়ত একবার মাত্র কিন্তু তা ভোলা যায় না সারা জীবনেও, তেমনি সঙ্গীতরাজ্যেও দুচারটি স্মৃতি এমন আছে যা আমাদের মনে স্থান পায় হয়ত এক আধ ঘণ্টার জন্য, কিন্তু তা ভোলা যায় না আমরণ। অবনী-বাবুর বাজনা আমি