পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] SS MAASAA AAAA AAAA AAAAMMAM AMMAAA AAAA AAAA SAAAAA AAASS সবস্থদ্ধ শুনেছিলাম হয়ত পাঁচ-ছয় দিন মাত্র, কিন্তু তার বাজনার ভঙ্গী, তন্ময়ত, মিষ্টতম কারুকার্য্য আজও যেন আমার কানে বাজছে। তার বাজানো আমার এত ভাল । লেগেছিল যে তখন ছাত্রাবস্থাতেও আমি মাসাধিক কাল র্তার কাছে তবুল শিখেছিলাম। পরে হয়ত তার চেয়ে নিপুণ বাদক দেখেছি বা বিস্ময়কর বাজন। শুনেছি, কিন্তু র্তার মধ্যে যে জিনিষটির পরিচয় পেয়েছিলাম সে জিনিষটির পরিচয় বোধ হয় ঠিক্‌ সেভাবে আর কখনও পাইনি। র্তার মধ্যে ছিল, গানের সঙ্গে একট। স্বাভাবিক সহানুভূত। তার মধ্যে ছিল, দরদ । তার মধ্যে ছিল, গানের সৌন্দৰ্য্যকে বাড়াবার আন্তরিক চেষ্টা। ছিল না কেবল—তবুলায় অযথা কৃতিত্ব দেখাবার প্রয়াস। ছিল না গানকে তবলার আওয়াজের চোটে নষ্ট করে দেবার প্রযত্ন। ছিল না—গায়কের সঙ্গে রেষারেষি ক’রে গানবাজনার রসকে নষ্ট ক’রে দেবার অধ্যবসায়। # দেখা যায় যে প্রায় প্রত্যেক শিল্পেরই মহিমাসম্বন্ধে কোনও বিশেষ ব্যক্তি আমাদের চোখ ফুটিয়ে দেন যেন এক মুহূৰ্বেই। বছর পাচেক আগে ট্যুরি গানের মহিমাসম্বন্ধে একজন আমার চোখ ফুটিয়ে দিয়েছিল মাত্র এক রাত্রির মজুলিশে । সে হচ্ছে এলাহাবাদের বিখ্যাত জানকী বাই। গানবাজনায় তবলার মহিমা সম্বন্ধে আমার চোখ খুলে যায় তেমনি অবনী-বাবুর বাজনা শুনে । আমাদের সঙ্গীতে স্থর সর্বপ্রধান হ’লেও তাল এই স্বরের বড় কম সৌন্ধুৰ্য্যবৃদ্ধি করে না। তবে এ সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি করতে গ’লে ঠিক্ৰমত তবৃলা-সঙ্গত চাই। কারণ বেখাপ্প। সঙ্গতে যেমন গানকুে একেবারে নষ্ট করে দিতে পারে, যথাযথ সঙ্গত গায়কের উদ্ভাবনীশক্তির তেমনি সহায়তা করতে পারে, এ-কথা যিনিই শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর সঙ্গত শুনেছেন তিনিই জানেন। তা ছাড়া আমাদের সঙ্গীতে তবলা পাগোয়াজ ঠিকৃমত বাজাতে জানলে তার ফলে খানিকট পাশ্চাত্য হারমনির রস পাওয়া যায়। তবে এ-রস পেতে হ’লে বাদকেরও গানের রসটি কোথায় তা বুঝতে পারা দরকার। বল বাহুল্য এজন্য একটু অন্তর্দৃষ্টি ও সৌষ্ঠবজ্ঞান দরকার جة صمه و جة শিল্পী অবনীমোহন >\9X যেটা সকলের মপো সমানভাবে বিরাজ করে না। এবিষয়ে কিন্তু অবনী-বাবু ছিলেন একজন সভাকার শিল্পী । তা ছাড়া অবনী-বাবুর মিষ্টি হাত যেন যাদু জানত কোথায় কি বোলু, কোন সময়ে কি ঠেকা ( তা আবার কোন চালের ঠেক ) বাজাতে হবে সে সম্বন্ধে তার অন্তর্দৃষ্টি ছিল একজন বর্ন আর্টিষ্টের—স্বভাবশিল্পীর। তার বাজ না শুনে আমি প্রথম উপলব্ধি করি তবলা-বাজানে। কত বড় আট হ’তে পারে ; আরও উপলব্ধি করি যে ঠিকৃ-মত তবলা বাজানো এত বড় আর্ট যে এতেও বিশেষরকম প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ না করলে শুধু ভাসের জোরে হয়ত রাম শু্যাম হওয়া যায় কিন্তু অবনীমোহন হওয়া যায় না। অবনী-বাবুর বাজন ধিনি শুনেছেন তিনি জানেন যে আমার এ কথা অত্যুক্তি নয়। অবনী-বাবু নাকি মৃদঙ্গও বাজাতেন চমৎকার। র্তার মৃদঙ্গ বাজানো শোনার সৌভাগ্য আমার হয়নি, কিন্তু আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস হয় যে মৃদঙ্গে ও তিনি একজন যে-সে বাজিয়ে ছিলেন না । শিল্পী যায়, কিন্তু তার স্মৃতি থাকে। তার মধ্যে সভ্য যেটুকু, সুন্দরের স্ফুরণ যেটুকু সেটুকু কখনও নষ্ট হতে পারে না । স্বামী বিবেকানন্দ বল্তেন যে মহৎ চিন্ত৷ নাকি কখনও নষ্ট হয় না-গুহা-মধ্যে থেকে চিন্তা করলেও তাকে সমগ্র পৃথিবীতে ব্যাপ্ত হ’তেই হবে। সঙ্গীতরাজ্যে সত্য সৌন্দর্য্যের বিকাশ সম্বন্ধেও এ-কথা বল। চলে। হয়ত অনেক সময় কিছুদিনের জন্য সে সৌন্দৰ্য্য বহিজগতে বিকশিত হ’তে পারেন, মানুষের স্মৃতিজগতে উপ্ত থাকে, কিন্তু একদিন না একদিন সে আবার পুম্পিত হয়ে পল্লবিত হ’য়ে নূতন অভিজ্ঞতার আলোয় আরও বিচিত্র, আরও সমৃদ্ধ, আরও উজ্জল হ’য়ে ধরা দেয় । অবনীমোহন গেছেন । কিন্তু তার স্মৃতি শত শত সঙ্গীতানুরাগীর মনে বিরাজ করবে ধাদের মধ্যে বর্তমান লেখক অন্যতম। তাই আমি আজ শ্রদ্ধাপুর্ণ কৃতজ্ঞ-অন্তরে র্তাদের মুখপাত্র হিসেবেই আজ এই যৎসামান্ত তর্পণে প্রবৃত্ত হওয়া কৰ্ত্তব্য মনে করলাম । t ঐ দিলীপকুমার রায় ।