পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কষ্টিপাথর তারুণের কথা ক্রোটনের বেড়ায় ঘেরা সবুজমাঠের গালিচার উপর লাল রঙের সে ছোট দোতলাপানি আমার ষ্টডিওর MBBBBB ggKS BB gBD BBD gSB BB BBBS কপনে এত সজাগ হইনি, যেমনটি সেদিন হয়েছিলাম । আর্টিষ্ট্রের চোপে যা সুন্দর, প্রকৃতি যেন পশ্চিমের এসহরটিতে সে-সমস্তই দু হাতে বিলিয়েছিল ; তা ছাড় মাতুস ও তাকে কৃত্রিমতার চাপে আড়ষ্ট করে দেয়নি । প্রাক্কম্ভিক সৌন্দর্য্যে আইনের নীরস পারা গুলাকে রসিয়ে তুঙ্গবার জন্যই দাদা এইখানে ওকালতি শুরু করেছিলেন কি না খবর রাপিনে, আমার কিন্তু মনে গুচ্ছিল চিরদিনের চাওয়া জিনিসটাপে এখানে এসে আমি পেয়ে গেছি। দাদা মস্কেল, আর বৌদি গেরস্তালির জন্ত নীচের ঘরগুলো পছন্দ করেছিলেন, আমি বেছে নিয়েছিলেম wাদের উপরকার নিরিবিলি ঘরখানি আমার . ষ্টুডিওর জন্তে । সেখান থেকে আমার চোপে বাইরের যে দৃষ্ঠা আসত তাতে আমার অন্তরের ক্ষ্যাপাটি আনন্দে নেচে নেচে উঠত । কাছে-দূরে ছোট বড় পাঙ্গাতুগুলো আকাশপানে মুগ তুলে কোন যুগ থেকে দাড়িয়ে আছে কেউ তা জানে না । তাদের পায়ের তলায় সবুজ মাঠ, মাথার উপর নীল আকাশ । মনে হয়, এই সলজ মাঠ পেরিয়ে পাহাড়ের বুক বেয়ে উঠলেই ঐ নীল আকাশটিকে ছ হাতে জড়িয়ে ধরা যায়। পুলের পাহাড়ের চড়োর উপর থেকে যখন আলোশিশুগুলো ঝাপিয়ে পড়ে' এই দিকে সাতার কেটে আসতে থাকে আমি তখন মুগ্ধনয়নে চেয়ে থাকি; আবার যখন সারাদিনের খেলাশেযে তারা পশ্চিমের পাহাড়ের আড়ালে লুকোচুরির ছলে ডুব দেয় তাদের অপূৰ্ব্ব লীলা আমার বুক কানায় কানায় ভরে তোলে।. বাইরের সংসারের সাথে লেন-দেনা আমার কোনও দিনই ছিল না, নিজের পেয়ালে আমার দিনগুলো ভাস্ত্রের নদীর মত ব’য়ে যাচ্ছিল, এবং আমার বাইরের অভাবঅভিযোগের "ভার স্নেহশীল দাদ ও বৌদির কাপে চাপিয়ে দিয়ে আমি আমার কল্পনার রঙীন গাঙে ভেসে যাচ্ছিলেম সুখ-স্বপ্নের মদির-আনন্দ-বিল্বল প্রাণে । ভোরের রূপের ঢংএ, সাঝের আলোর রংএ মশগুল হ’য়ে যে-সব ছবি আমি তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলতেম হয়ত তার কোনটা বিক্ৰী হ’ত, কোনটা হ’ত না, তাতে আমার স্তপদুঃখ কিছু ছিল না, হিসেব-নিকেশ ও কেউ চাইত FI} ||····· কিন্তু হঠাৎ কে যেন আমার বুকের ভিতর জানিয়ে দিয়েছে আমার স্বপ্ন-গড়া জীবনের চেয়েও মধুরতর কিছু এষ্ট বাস্তব সংসারটায় আছে । তারিপটা ঠিক মনে নেই, কিন্তু ক্ষণুট বেশ মনে আছে । সার; বিকেল একখানি প্রাকৃতিক দৃশ্য একে শ্রান্ত হ’য়ে মুক্ত ছাদে পায়চারি করছিলেম । আকাশে চাদ উঠেছিল গৌরী তরুণীর ললাটপানির মতন, আর জ্যোংস্ক। কোন ধৌবনময়ী রূপরাণীর রূপালী ঠাচলপানির মতন দিগৃদিগন্তে লুটিয়ে পড়েছিল । পাহাড়ের মাথায়, গাছের পাতায় তার ঝিকিমিকি । আর কোন অচিন পার্থীর স্বর তা ছন্দময় করে তুলেছিল। আমি সমস্ত ইঞ্জিয় দিয়ে তা অনুভব করছিলেম । হঠাং পাশের লাল বাড়ীর ছাদেব উপরকার একটি মূৰ্ত্তি আমায় আকৃষ্ট করলে। প্রথমটা মনে হ’ল, বুঝি বা কোনও গ্রীকৃ-ভাস্করের তৈরী মর্শ্বর-ছধি,-তেমূনি নিখুঁত, তেমনি ভাবময়। বোধ করি আনমনে অপলকচোথে তার দিকে চেয়ে ছিলেম । সে ছাদের অপর পাশে সরে যেতে বুঝলেম সে প্রাণহীন মৰ্ম্মরমূৰ্ত্তি নয়, এবং তরুণীটি আমার দৃষ্টির খোচায় সঙ্কুচিত হয়েছে মনে করে’ লজিত হলেম । তাড়াতাড়ি ষ্টুডিওর ভিতর ঢুকে পড়লেম, কিন্তু অনেকক্ষণ তার জ্যোংস্কা-ধোয়া মুখখানি আমার চোখের কাছে ভেসে বেড়াল। ওপাশের জানালাটা খোলা ছিল। আমার দৃষ্টিটা ঐ দিকে একে