পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বারে ছুটে গিয়ে পড়ল, কিন্তু তখন সে নীচে নেমে গেছে । বৌদি কখন ঘরে ঢুকেছিলেন টের পাইনি। তার ডাকে ধড়মড়িয়ে উঠতে তিনি বললেন—“আজ কি হ’ল তোমার, ঠাকুর-পো ! রোগা মানুষ, আজ সন্ধ্যার আগে খাওয়া উচিত ছিল। চাদের দিকে চেয়ে বুঝি খিদে-তেষ্টা ভুলে যেতে হয় ? ওঠে—” ঘড়ির পানে চেয়ে লজ্জিত হয়ে উঠলেম, বল্‌লেম“তাইত, ন’টা বেজে গেছে এরি ভিতর । ছবিটা fool--" বৌদি আরো অপ্রস্তুত করে দিলেন—“চাদের আলোয় ছবি আঁকবার মতন চোখ তোমার নয়, সেদিন চশমার কাচ বলেছ। কি ভাব ছিলে বলে ত?" র্তার কথায় কোন ও ইঙ্গিত ছিল কি ন৷ তিনিই জানেন, কিন্তু আমাব বড় লজ্জা হ’ল । খেয়ে দেয়ে এসে জানালার কাছে টুর্গেনিভের একখানা বই হাতে করে’ যেদিকে চেয়ে ছিলেম তা আর যাই হোক বইয়ের পাতা নয়। ও-ছাদটীয় দুটি মেয়ের আবির্ভাবের খবর পেতে আমার এতটুকু দেরী হয়নি। বৌদি যে ঐ মেয়েটির সঙ্গে ভাব করে নিয়েছেন তা বুঝতে পেরে যেমন খুলী হ’লেম তেমুনি আবার বৌদির খুং ধরে অখুশী হ’তেও দেরী হ’ল না। তিনি বো-মানুষ, ও-বাড়ীতে নিজে না যেয়ে তাকেও খবর দিয়ে আনাতে পারতেন ; আর গেছেন যদি, অমন ফুটফুটে-আলোয়-নাওয়া ছাদ ফেলে ঐ মেয়েটিকে নিয়ে স্বরের ভিতর যাবার ঠার এত তাড়া কেন ?. - রাগ করে জানালার কাছ থেকে সরে আস্বার উপক্রম করছি এমন সময় ওবাড়ী থেকে গন্মোনিয়ামের স্বরে স্থর মিলিয়ে কার কণ্ঠ জেগে উঠল। কি মিষ্টি গান ! মনে হ’ল সমস্ত ইন্দ্রিয়ের উপর যেন স্বধাবী 李なEE |・・・・・・ বৌদির উপর মিছামিছি অখুশী হয়েছিলেম, ইচ্ছ। হ’ল তার কাছে মাপ চাইতে । তিনি তঁীকে ঘরের ভিতর ডেকে না নিলে ত চাদিনী রাতটা এমন সফল. ইত না । ঠার গান থেমে গেলেও গানের মুর আমার কষ্টিপাথর ১৬৩ বুকের তারে ঝঙ্কত হ’তে লাগল। আমার বুকের ভিতর যে একটি বীণা আছে, এই প্রথম জানতে পারলেম।. প্রতিভার কথা ঠাকুরপোকে এতদিন আপন-ভোলা শিল্পী বলেই জানতেম, কিন্তু তার ভিতর যে একটি প্রেমিক ঘুমিয়ে ছিল আজ ক'দিন ধরে ত যেন প্রকাশ পেয়েছে। বোধ করি রূপকথার রাজকন্যার মত সকলের বুকের ভিতরই এমন একটি ঘুমন্ত প্রেম লুকিয়ে থাকে যা রাজপুত্রের একদিনকাব সোনার কাঠির স্পর্শে হঠাৎ চোখ মেলে’ চায় । কতদিন ঠাকুরপোর কাছে শুনেছি যে শিল্পের সঙ্গে র্তীর ঘরকন্ন পাতানো পাকাপাকি হ’য়ে গেছে, সেখানে আর কারুর ঢুকবার উপায় নেই এবং মেয়ের বাপদের তিনি এমনভাবে হাকিয়ে দিয়েছেন যে র্তার উক্তিতে অবিশ্বাস করবার কিছু ছিল না । কিন্তু আজ যেন তাকে আর-একটি মহিষ বলে সন্দেহ হচ্ছে । ঠাকুরপোর দাদাটি ত সংসারের যত কিছু খুং আমার ক্টাধে চাপিয়ে দিয়ে খালাস । ঠাকুরপোর ব্যাপার র্তাকে বলেছিলেম, তিনি চট্‌ করে জবাব দিলেন দোযট নাকি আগাগোড়া আমার, কারণ এ-বয়সের মানুষের ঠোটের কাছে পেয়াল-ভরা নেশার সর্বং এগিয়ে দিলে সে হিতাহিত বিচার না করে’ তাতে চুমুক দিয়ে বিহুবল হ’য়ে উঠবেই।...বাঃ রে! আমি নাকি তার পোকভাইটির ঠোটের কাছে নেশার পেয়ালা এগিয়ে দিয়েছি : কথার ছিরিতে পিত্ত্বি জ্বলে’ যায়। --আচ্ছা, কি দোষ আমার ? আমি তার সঙ্গে ঠাকুরপোর ঘনিষ্ঠত করে? দিইনি, আর মাথার দিব্যি দিয়ে তাকে ভালবাসতেও বলিনি । জীবনট উপন্যাস নয় যে লেখকের কলমের একটি পোচায় নায়ক:মায়িকার নিমেযের দেখাতেই প্রেমের সিন্ধ উথলে উঠে, তা থেকে সমুদ্র মস্থনের চেয়েও বেশী মৃধা বা বিষ উঠলে । উপন্যাস ও বাস্তব জীবনের ভিতর তফাৎ কতখানি ঠাকুরপোর বয়সী পুরুষের পক্ষে জাল মিত্তাস্তই উচিত , 雷 লতিকা ক’টি দিনের জন্তে তার মামা রত্নাকর-বাবুর বাড়ীতে বেড়াতে এসেছিল। বত্নাকর বালুর পরিবার