পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] সম্ভব হ’তে পারে, কিন্তু সত্যের উপর যার সৌন্দর্ঘ্যের ভিত্তি তার পক্ষে এ অসম্ভব ।” সে ঝাঝের সঙ্গে তার বাক্সের ডালা খুলে ফেললে আমার ফোটে। ফিরিয়ে দিতে, কিন্তু বাক্স থেকে যে ছবিখানি উকি দিলে ত দেখে’ আমি একেবারে আংকে উঠলেম । বিস্ময়ে এক মিনিট স্তন্ধ থেকে তার পর হঠাৎ ছবিখনি কেড়ে নিয়ে আমি চেচিয়ে বললেম-“কোথায় পেলেন এ ?" সে অবাকু ইয়ে আমার পানে চাইলে । আমি তেমনি স্বরে বল্‌লেম-- “নীতির লেক্চার ত খুব হচ্ছিল, কিন্তু আর্টিষ্টের নীতিজ্ঞানের জল্‌জলে প্রমাণ দেখছি।" একট ক্ষণের জন্যে তার মুখ একেবারে সাদা হ’য়ে গেল। আমি আরও দা দিয়ে বললেম –“পরগীর ছবি বাক্সে লুকিয়ে রেখে তার পর --” সে কি যেন বলতে চেষ্টা করলে, কিন্তু তাতে ভার ঠোঁট শুধু নড়ে উঠুল, স্বর ফুটুল না। আমার রক্ত তপন টগবগ করে ফুটুছিল । তার কাধে একটি ঝাকুনী দিয়ে বল্‌লেম--“কোথায় পেলেন এ ছবি বলতে হবে আপনাকে ৷” সে কাতর-চোখে আমার পানে চাইলে । আমার তখন দয়া করবার মতন মনের অবস্থা নয়, বল্‌লেম—“হয় আপনি কুভাব নিয়ে এ ছবি বাক্সে লুকিয়ে রেখেছেন, অপব| সে—" সে হঠাৎ চেচিয়ে উঠল—“ছি চি চি " তার পর বোধ করি আমার উদ্যত ইঙ্গিতের ভয়ে বললে—“এ ছবির সঙ্গে অনেক ব্যথfপ স্মৃতি জড়ান। এতকাল এ কাঙ্গিনী গোপন ছিল, এবং চিরকাল থাকৃতও ; কিন্তু আপনি যে ঈঙ্গিত করলেন তার পর তার তা গোপন রাগ চলে না, কারণ আপনি তার অমান জীবনের উপর কালে কালী টেলে দিচ্ছেন। শুকুন সে কাহিনী।" সে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে বলতে লাপ্ল—“তুলির রংএ বিশ্বের রূপ ফুটিয়ে তোলাই ছিল আমার মুখ, এর চেয়ে বড় মুখ আমার জানা ছিল না । কিন্তু এক বুক্তরাগ সন্ধ্যায় আমার আস্তর-ফলকে যে রঙের ছোপ লেগে গেল আমার শিল্পী-জীবনের পাতায় তা একেবারে নূতন । নারীর দেহ ঘিরে যে এত রূপের সমাবেশ হতে পারে এব আগে ত। কল্পনা করতে পারিনি। সেদিন প্রথম وC\--سی-ج چ কষ্টিপাথর \లసి আমার বুকের ভিতর একটি তরুণ প্রেমিকের অস্তিত্ব অনুভব করলেম ।” আমি গম্ভীর-স্বরে প্রশ্ন করলেম—“আর সে ?” সে বললে—“সে জানতে পারেনি, কারণ আমার. ভীরু স্ব ভাব তাকে দর থেকে শহুভব করে’ই তৃপ্ত হচ্চিল । বৌদির সঙ্গে তার ছিল ভাব । বৌদিকে গান শেখাবার জন্যে তার সাধ স্বর যে-রাগিণীর ৯ষ্টি করুত্ৰ আমার বকের ভিতর ত যে কতপালি প্রভাব বিস্তার করেছিল আমি চাড়। আর কেউ বোধ করি তা জানতে পারেনি।.এই* নোটে| সেই প্রভাবের ফল । তরুণ লকের অরুণ নেশায় আমি তার কাটো তুলেছিলেম সভ্য, কিন্তু ভাতে এতটুকু ছিল না । বাগানের ফোট। ফুল সে একদিন স্থাপুরের পূজোয় উ স্পষ্ট হ’য়ে স্ত্রণের অধোগা ষ্ট'য়ে যাবে પ્રાનિમાં একথা কখনে। ভাবিনি, আমি তাকে বিশ্ব সৌন্দর্সোর বলে’ । আমি স্তব্ধ হয়ে তার ইতিহাস শুনছিলেম, বল্‌লেম— “পরে জেনেছেন যে সে পরের স্ত্রী ?" সে বললে—“জানতে চাই গুনি আমি। কি প্রয়োজন আমার ? আমার আশাঙ্ক মন আমার প্রথমটা ঝড়ের বেগে বাইরে উড়িয়ে ফেলেছিল, আমার আস্তরের শিল্পী তখন আমায় তান্ত বাড়িয়ে তুলে নিয়েছে---বাইরের খেলfর ভিতর দিয়ে ভেবেছি শুধু উদ্যানে চির-অনাস্ত্ৰাত আহ্মাণ-কুসুম তাকে পা ওর সামার সম্ভব নয়, এ কথা জেনে তাকে পা গুণি তুমি, তোমার রঙের খেলার ভিতর দিয়ে তাকে পেতে ত পেী fন ও বধ । নেই | তোমার সমস্ত তুলি দিয়ে সমস্ত রঙের ভিতর, সৌন্দয্যের ভিতর তাকে ফুটিয়ে ত্রে লে,—শিল্পীর কাছে এই যে শ্রেষ্ঠ পাওয়া । সেদিন পেকে আমার সমস্ত রং, সমস্ত চিত্র দিয়ে তাকে ঘিরে রেখেছি, আমার কল্পনার চোখে সে প্রতিক্ষণ জল্‌জল করছে । একে ঘিরেই আজ আমি বিখ্যাত চিত্রকর।” আমি অবাক হ’য়ে বলেম—“তার খোজ নেননি আপনি ?" o সে বললে—“রক্তমাংসের সে সেদিন থেকেই আমার চোখে মরে গেছে, আর তার কল্পনার মূৰ্তিখনি বেঁচে উঠেছে ।" 鬱