পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f' هبيالا তাহাদিগকে প্রায় ক্রয়দরে জায়গাগুলি ফেরৎ দেওয়া হইয়াছিল। ফেরৎ দেওয়ার নিয়ম এই ছিল যে পূৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক জায়গা কাহাকেও দেওয়া হইবে না এবং প্রকৃত মালিক ভিন্ন জমি-ব্যবসায়ী কোন দালালকে জায়গা দেওয়া নিষিদ্ধ। মালিকেরা যাহাতে স্ব স্ব অধীনস্থ জায়গার উজুতি-সাধন করিতে সমর্থ হয়, তজ্জন্ত তাহাদিগকে অল্প স্থদে অর্থ-সাহায্য করা হইবে। মৰ্বসামত সংস্কারকার্ধ্য সম্পূর্ণ শেষ করিতে নিজামমুত্রায় প্রায় আট লক্ষ টাকা খরচ হইয়াছে। মোটামুটি হিসাবে ব্রিটিশ ভারতের ১০০ একশত টাকা হায়দারবাদের ১১৬ টাকার সমান । সহরতলীস্থ গৃহাদি নিৰ্ম্মাণের নক্সা উপকণ্ঠস্থিত কতকগুলি স্থানের উন্নতি-কল্পে ও শ্ৰীযুক্ত ভবনানী তাহার নক্সামত কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। মৃতন মিটার গেজ রেলওয়ে ষ্টেশনের চতুৰ্দ্দিকৃস্থ সংস্কার-কাৰ্য্য বিশেষ উল্লেগ-যোগ্য । নদীরতীরস্থ সংস্কার কাধ আরম্ভ করিয়াই মিটারগেজ ষ্টেশন পৰ্য্যস্ত ‘মুআজামজাহী’ ও ‘আজমজীহঁী’ নামে -- প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১ { ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড দুইটি রাজপথ করা হইয়াছিল। রাস্তাগুলি ৬৪ ফুট প্রস্থ ও প্রায় দেড় মাইল দীর্ঘ। রাস্তাগুলি সম্পূর্ণ আধুনিক ধরণে তৈয়ার করা হইয়াছে। রাস্তার উভয়পাশ্বে বৃক্ষবীথিক ও ফুটপাথ আছে । জল-নিঃসরণের ও যাত্রীর যাতায়াতের স্ববন্দোবস্ত আছে । এই রাস্তাগুলির পাশ্বে স্থানে স্থামে নব্যধরণে উন্মুক্ত মাঠ রাখা হইয়াছে। ডাকঘর, থানা, ইাসপাতাল, শুস্কাগার, বিদ্যালয় প্রভৃতি সৰ্বকারী কাৰ্য্যালয়ের জন্য যথেষ্ট স্থান আছে । অবিশষ্ট স্থানটিকে খণ্ড খণ্ড চতুষ্ক বা চক করিয়া মালিকদিগকে ফেরৎ দেওয়া হইয়াছে। ইতিমধ্যেই মালিকের কোন কোন অংশে মুবিধাজনক হৰ্ম্ম্যাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । রেলওয়ে ষ্টেশনের পূর্বদিকে প্রায় ৩০ ত্রিশ একর ভূমি সাধারণ গৃহাদি নিৰ্ম্মাণের জন্য পৃথক্ রাখা হইয়াছে। ‘ওপাল রোড এবং ‘নিউগুডস শেড রোডের সান্নিধ্যে এইরূপ বাড়ী কয়েকটি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ওয়েলফেয়ার্দ্র প্রকাশিত শ্ৰীযুক্ত সন্ত নিহাল সিংহের গ্ৰবন্ধ অবলম্বনে । ) জী) হরেন্দ্রকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় মরীচিকা ছোট বেলায় আমার মা মারা যান। সেজন্য আমি বাপের খুব আহ্বরে ছিলাম। আমার আর কোন ভাই বোন ছিল না। বাবাকে সকলে আবার বিয়ে করবার জন্য অনেক অকুরোধ করে । কিন্তু পাছে সৎমা আমাকে কষ্ট দেন এই ভয়ে তিনি আর বিয়ে করেননি। এক বিধবা পিসীমা আমাদের সঙ্গে থাকৃতেন—তিনিই আমাকে মামুষ করেন । so বাবার মস্ত জমিদারী ছিল। কিন্তু আমরা কলকাতাতেই থাকৃতাম । জমিদারী ছাড়া বাবার আরও অনেক কারবার ছিল, সেইজন্ত" জমিদারী দেখবার ভার এক খুড়তত ভাইএর উপর দিয়েছিলেন। আমাকে অল্প বয়সে বিয়ে দেবেন না ঠিক করে’ লরেটোতে ভৰ্ত্তি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পিসীমার মোটেই ইচ্ছা ছিল না যে আমি মেমদের স্কুলে পড়ি। আমি কিন্তু স্কুলে যেতে খুব ভালবাস্তাম । বাড়ীতে সমবয়স্ক কেউ ছিল না—সেখানে সঙ্গী সাথী পেয়ে বেঁচে গিয়েছিলাম । হেসে গেলে ১২১৩ বৎসর কেটে গিয়েছিল । কিন্তু চোদ্দ বছর পূর্ণ হবার কিছু পরেই একটা নূতন ঘটনা ঘটুল। একদিন স্কুল থেকে এসে দেখি পিসীমা আমার কাপড়ের আলমারী খুলে মহাকাও আরম্ভ করে’ দিয়েছেন। ব্যাপার কি জিজ্ঞেস করতেই পিসীমা একগাল