পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * $lూనీ বিদায় দেবার জন্ত এত ব্যস্ততা কিসের । এইখানেই বিয়ে ঠিক রইল, ধীরে হস্থে দেওয়া যাবে।” তার পর থেকে তিনি রোজই আসতেন। সে দিনগুলো কত স্বর্থেই কেটে গিয়েছিল ! সে-সব কথা এখন স্বপ্ন বলেই মনে হয়। কিন্তু আমার সুখের ঘোর হঠাৎ ভেঙে গেল । ওঁর মামা ওঁকে বিলেত পাঠাবেন ঠিক করলেন । এ-সংবাদে বাবাও খুব খুলী হলেন। কিন্তু আমার মন একেবারে খারাপ হয়ে গেল। আমি ওঁকে যেতে বারণ করতাম, কিন্তু উনি আমাকে আদর করে কত বোঝাতেন, "লক্ষ্মীটি, তুমি মন খারাপ কোরো না। ২৩ বছর দেখতে দেখুতে কেটে যাবে। তার পর যখন ফিরে আসব, তখন এই বিচ্ছেদের পর মিলন আরো কত স্বখের হবে।” কিন্তু শষ বিদায়ের দিন যতই ঘনিয়ে আসতে লাগল আমার মনও ততই উতলা হয়ে উঠতে লাগল। বিদায় নেবার দিন এল—চোথের জলে ভেসে তাকে বিদায় দিলাম। ক'দিন বড়ই নিরানন্দভাবে কেটে গেল। তার পর ওঁর চিঠি এল। চিঠিখানা বুকে চেপে একটু শান্ত হ’লাম— প্রতি ছত্ৰে ছত্রে কত ভালবাসার কত সাত্বনার কথা “তোমার আরও কষ্ট হবে বলে’ আমি কিছু বলিনি, কিন্তু তোমাকে ছেড়ে আসতে যে আমার কত কষ্ট হয়েছে তা বলে’ বোঝাতে পারিনে। এখন বুঝতে পারছি তোমাকে না দেখে এতদিন থাকা একটা অসম্ভব ব্যাপার। ইচ্ছে করছে তোমার কাছে ছুটে যাই।” এমনি কত কি লিখেছেন। বার বার চিঠিখানা পড়লাম । তবু,যেন আশা মেটে মী । দিম কাটুতে লাগল। প্রতি মেল ডে’র জন্য মনটা উগ্রেীব হয়ে থাকত। চিঠি আসবার দিন আর কোনো কাজেই মন যেত না-কখন চিঠি পাব কেবল তাই ভাবতাম ! চিঠি এলে যে তা কতবার পড়তাম তা বলতে পারিনে। তিনি সব সময় 'F মিষ্টি করে’ চিঠি লিখতেন। -- o 稳 s” 舉 একটি বছর কেটে গেছে। বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু সময়ে সবই সহে যায়। তাই আমারও মনের ৰিমু কতটি কমে এসেছিল। অবশ্ন এখনও

  • প্রবাসী *ङार्ट, OO)

[ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড S AASAASAASAAASSS S SS তার জন্ত মন তেমনি ব্যাকুল হ’ত, তার চিঠি যখনই অস্তি বড় আনন্দ পেতাম, তবু আগেকার চাইতে কষ্টের তীব্রতা অনেকটা কমে এসেছিল। আমার নিরালা জীবনে আর-একটি সঙ্গী জুটেছিল। আমাদের বাড়ীর পাশে এক ব্যারিষ্টার বাড়ী কিনেছিলেন; র্তার মেয়ে নিভার সঙ্গে আমার খুব ভাব হ’য়ে গিয়েছিল। অল্প দিনের মধ্যে বন্ধুত্বটা এমন জমে উঠেছিল যে আমরা দুজনে পরস্পরকে না দেখে একদিনও থাকৃতে পারতাম না। সে যদি দৈবাৎ কোনো দিন মামার বাড়ী যেত তা হ’লে আমার বডড থালি-থালি বোধ হ’ত । - নিভার ছোটমামা অমর-বাবু খুব ‘স্বদেশী ছিলেন— কখনও বিলাতী জিনিষ ব্যবহার করতেন না, সৰ্ব্বদাই মোট দেশী কাপড় গায় দিতেন । ছোটমামার সঙ্গে নিভার খুব ভাব । তিনি প্রায়ই ওদের বাড়ী আসতেন । সেইজন্য আমার সঙ্গেও আলাপ হয়েছিল। আমিও তাকে “ছোটমামা' বলতাম। অল্প দিনের মধ্যেই "ছোটমামা’ আমাদের এমন ভজালেন যে আমরা স্বদেশীয়ান আরম্ভ করে দিলাম। লরেটো ছেড়ে বেথুনে ঢুকুলাম ( যদিও সেটা খুব স্বদেশীগিরি নয় )। সব বিলাতী কাপড় বিলিয়ে মোট কাপড় পৰ্বতে আরম্ভ করলাম এবং যতদূর সম্ভব বিলাতী-বর্জন করলাম। বারীন ঘোষেরা এর কয়েক বছর আগেই নিৰ্ব্বাসিত হয়েছিলেন —সেই-সব গল্প তিনি খুব করতেন এবং আমরাও খুব উত্তেজিত হ’য়ে সে-সব শুনতাম। ইচ্ছে . কবুত আমরাও কিছু করি। কিছুদিন পর ‘ছোটমামা' বললেন যে তারা অনেকে মিলে ষড়যন্ত্র করছেন ইংরেজ-রাজত্ব শেষ করবার জন্যে। আমরাও ইচ্ছে করলে অনেক সাহায্য করতে পারি। কিন্তু আমাদের এসব কথা খুব গোপনে রাখতে অনুরোধ করলেন, কারণ ফাস হ'লেই সৰ্ব্বনাশ । আমরা দুজনে ত একেবারে মেতে উঠলাম। নাওয়া-খাওয়া ত্যাগ করে’ রাতদিন কত গোপন-পরামর্শ, কত কল্পনা জল্পনাই না হ’ত । এমুনিভাবে দিন কাট্‌ছিল। আগে মন আমার কোন এক অজানা বিদেশে ঘুরে বেড়াত। কিন্তু আজকাল অনেক ৫াব বার বিষয় জুটেছে । তাই কত সময় ওঁ---