পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] - - - - 變 ~ ۔ ۔ ۔ -- م• - ج - ب - ہوے. .. অভিনব আলোড়ন অমুভব করিলাম। সন্ধ্যা-তারা তখন মিটমিট আমাদের মাথার উপর হাসিতেছিল। বেণু বোধ হয় এ-সব কিছুই লক্ষ্য করে নাই, সে হাঁসিতে হাসিতে আমার হাত ধরিয়া ভিতরে টানিয়া লইয়া গেল। অল্প সময়ের মধ্যেই আমি আমার মনের ভাব দমন করিলাম । সেদিন হইতে আমার মনের ভিতর একটা নূতন ভাবের & হইল। এতদিন বেণুর সঠিত যে মিশিয়াছি তাহা কেবলমাত্র বন্ধুর মত, আমাদের সম্পর্কের ভিতর কোন মত্ততা ও সঙ্কোচের স্থান ছিল না, তাহা ভরা ছিল কেবল মাত্র গভীর প্রীতি ও সৌহৃদ্যে। কিন্তু সেদিন আমার সব উল্টাইয় গেল, আমি বুঝিলাম যে আমি আর ঠিক আগের মতনটি নাই, বেণুকে আর আমি ঠিক আগের চক্ষে দেপিতে পারি না। আমি বুঝিলাম বেণু আমাকে নূতন আকর্ষণে টানিতেছে। তার পর যতদিন বেণুর সহিত য়ামার দেখা হইয়াছে ততদিন সৰ্ব্বদাই একটা মত্ত ইচ্ছা আমার বুক ঠেলিয়া উঠিতে চেষ্টা করিয়াছে, প্রাণপণ শক্তিতে আমি তাহ দমন করিয়াছি । - আমাদের জীবনে যেদিন নুতন অধ্যায় আরম্ভ হইল সেদিন একাদশী । বেণুদের বাড়ীর সম্মুখে একটা বড় পুকুর ছিল। বেণু তাছার ঘাটে বসিয়৷ একাকী গাহিতে ছিল— “আজ শুক্লা একাদশী * হের নিদ্রাহার শশী স্বপ্ন-পারাবাবের খেয়া একলা চালায় বসি’ ” সেই সময়"আমি সেখানে উপস্থিত হইলাম। সেদিন বেণুকে বড়ই মুন্দরী দেখাইতেছিল । জ্যোৎস্বার আলিঙ্গনে তাহার সমস্ত দেহ ভরিয়া একটা অপূৰ্ব্ব মাধুরী ফুটিয়া উঠিয়াছিল। আমি আর নিজেকে সাম্‌লাইতে পারিলাম না, ধীরে ধীরে তাহার দিকে দুই পা অগ্রসর * হইলাম। বেণু দাড়াইয়া উঠিল, সে আমার উন্মত্ত দৃষ্টি লক্ষ্য করিয়াছিল। আমি চাহিয়া দেখিলাম তাহার দৃষ্টি আধসঙ্কোচ আধ-ভীতি আধ-আনন্দভরা। আরও দুই প৷ \ অগ্রসর হইলাম, বেণুও অগ্রসর इंद्देश আসিল, উভয়ে

  • রিক্ত’

۹ سرالا কিছুক্ষণ স্তব্ধ হইয় দাড়াইয় থাকিয়া বাক্য-ব্যয়ের পূর্বেই আমি ফিরিলাম, সেও চলিয়া গেল। আকাশের চাদ একটু আগেই একখণ্ড মেঘের নীচে লুকাইয়াছিল, হঠাৎ সেখান হইতে লাফাইয়। বাহির হইয়া এক ঝলক হাসিয়া সমস্ত পৃথিবীকে হাসাইয়া তুলিল। তুষ্ট তার পর হইতে আমল! তেমনই মিলিতাম, মাঝে মাঝে নির্জনে উভয়ে উভwয়র হাত ধরিয়া পায়ুচারি করিতাম। একদিন তাহাদের বাউীর পিছনে তাহাকে কোলে তুলিয়। কতকট। ইাটিয়াও ছিলাম । আমাদের ভিতর প্রেমালাপ বড় একট। ইষ্টত না । তখন পর্য্যস্ত আমরা ভাল করিয়া শিখি ও নাই । কিছুকাল পরে আমরা উভয়ে ম্যাটিক দিলাম। আমি প্রথম বিভাগে পাস করিলাম, কিন্তু বেণু মেয়েদের মধ্যে প্রথম হইল, অন্যান্য পুরস্কারের উপর সে মাসিক কুড়ি টাকার বৃত্তি পাইল। আমাদের কাহারও অবস্থা ভাল ছিল না। বেণুর এই বৃত্তি পাওয়াতে তাহার বিশেষ সুবিধা হইল ; সেস্থানে মেয়েদের স্কুল ছিল না, বৃত্তি ন পাইলে হয়ত তাহার কলিকাতায় যাইয় পড়িবার স্ববিধা হইত না । বৃত্তির উপর সামান্ত সাহায্য করিলেই যখন তাহার চলিয়৷ যাইবে তখন আর তাহার কিছুই আমবিধ রহিল না, বেণু পড়িতে কলিকাতায় চলিয়া গেল । আমাদের ওখানে ছেলেদের কলেজ ছিল, যদিও সেটা তেমন ভাল নয়। বৃত্তি পাইলে তবুও কলিকাতার কথা তোল! যাইত, কিন্তু তাহ যখন পাই নাই তখন সেখানে পড়া ছাড়া আমার গত্যন্তর ছিল না। আমি সেখানেই পড়িয়া রহিলাম। বেণুর সহিত আমার ছাড়াছাড়ি হইল। বেণুর সহিত আমার যে-সব চিঠিপত্র চলিত, তাহাতে প্রেমের নাম-গন্ধও ছিল না । পূজার ছুটিতে বেণু বাড়ী আসিল । বেণু আসিবার কিছু দিন পূৰ্ব্ব হইতেই আমার মন থাকিয়া থাকিয়া পুলকে নাচিয়া উঠিঠেছিল। এতদিন পরে তাহাকে দেখিব, তাহার না জমি কত পরিবর্তন হইয়া গিয়াছে, "তাহাকে দেখিলে কথা কি কি বলিতে হইবে, কি কি প্রেমালাপ