পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇe:R মানুষ প্রাণপাত করছে, সীমা লঙ্ঘন কবৃছে, কিন্তু কেবল নিজের ব্যবস্থ করার জন্ত লয়। কখনই স্বার্থ এত বড় সত্য নয় যা তাকে এত বড় করতে পারে । আমাদের মধ্যে ভূমী আছেন। তিনি কেবল আমাদের গণ্ডীর মধ্যে লিপ্ত রাখতে চান না, ক্রমাগতই আমাদের সীম৷ অতিক্রম করিয়ে মহতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। শুধু আমি টিকে থাকৃলেই হ’ল না, আমার সমাজ টিকে থাক। চাই। আমার টিকে থাকা যখন সকল্পের টিকে থাকার সঙ্গে যুক্ত করি, তখনই সকলের মঙ্গলের সহিত ব্যক্তির মঙ্গলের সম্ভব হয় । একটা বড় সত্যের উপর এর ভিত্তি নির্ভর করছে । যে অসীম সত্যের উপর এর ভিত্তি নির্ভর করছে, সেই অসীম সত্যের উপর ব্যক্তিগত টিকে থাকা নির্ভর করে, সবারই মঙ্গল নির্ভর করে । এই কথা যখন মানুষ বোঝে তখন সে নিজে বেঁচে থাকৃবার জন্ত চেষ্টা করে না, সে অসীমের জন্ত প্রাণপাত করে। তখনই টিকে বড় হ’তে পারি। আমার টিকে থাকা যখন অনেকের সঙ্গে যুক্ত করি, তখন আত্মজ্ঞান থাকে ল । কিন্তু সকলেই যেখানে আছে, সেখানে আমি আছি, সেইখানে মানুষ অসীম সত্য পেয়েছে। যিনি আপনাকে বহুর মধ্যে এবং বহুকে আপনার মধ্যে দেথতে পান তিনি মুক্ত। যে জাতি ত জানতে পেরেচে তারা ধন্ত হয়েছে, তার পরিত্রাণ পেয়েছে । তা হ’লে দেখছি আমাদের মধ্যে যেমন বেঁচে থাকৃবার ইচ্ছ, যেমন জানুৱার কৌতুহল আছে, তেমুনি সীমাকে বড় করবার একটা ইচ্ছ। আছে । তার নাম দেওয়৷ যেতে পারে আনন্দ । এমন একটা কিছু আছে যা জ্ঞানের কৌতুহল থেকে, টিকে থাকা থেকে, আর সব দ্বন্দ্ব থেকে ক্ৰমাগত বড় হ’যে চলেছে। মানুষের যেখানে আলোক, সেখানে তাঁর নিস্তার নেই ; সেটা হচ্ছে তার অসীম, সেটা তাঁকে বের করে দিতেই হবে, সেটাই তাঁর ভূম । যেই বঁশি বাজল সে অমূলি ছুটে চল্ল, পথের ঠিকান নেই, সে ছুটে চলুল ; আমি দেবো, আমি পাবে, এই ভাবনায় সে অস্থির, আপনাকে সে ধারণ করতে পারে না । প্রকাশের মুল হচ্ছে আনন্দ । আমার জিনিষ যখন আমীর কাছে ন্যস্ত তপন তার প্রকাশ নেই । বৃহৎ বৃহৎ সাম্রাজ্য আজ কোথায়, স্পেৰ চুর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল । আওরঙ্গজেৰ কোথায় আছে ? নেই সে. কোথাও নেই। বরং যে দায়াকে সে মেরেছে তার সাধনী এখনো আছে । কিন্তু তাজমহলকে কি বল্ব ? সবাই বলে যে আমরা সবাই যুগে যুগে ওর মধ্যে দেখতে পাচ্ছি আমার রূপ, তার মৃত্যু নেই, কেন না তার সৌন্দয্য বিশ্বের সৌন্দর্য্য । বিশ্বকে কি সমস্ত জিনিষ দিলেই নেয় ? অনেকেই অনেক কিছু দেন, কিন্তু যেখানে বিশ্বের স্বরে আমার স্বর মেলে তাই সে নেয় । প্রকাশের মুলে ঐশ্বৰ্য্য। কৃপণতায় প্রকাশ নেই। তাই সত্যম্ অনঙ্গম । কোন প্রকাশে সবচেয়ে মুগ্ধ হুলাম ?—অনন্থের ঐশ্বয্যের প্রকাশে এবং আমি তাঁর ভাগ পাওয়াতে । (পরিচারিকা, ফাঙ্কন, ১৩৩০ ) শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর #, (কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সেনেই হলে প্রথম বক্তৃতা থেকে অঞ্জলিখিত । ) • সাহিত্যের রসতত্ত্ব शांश्रिडाब्र कर्ष कि ठां ममांप्छब्र अलकांब्र-लादक ब्रटब्राह । छां निग्न জমি জালোচনা করব না। সাহিত্য জামাদের নাম প্রয়োজন সাধন

  • "ঃ"ঞ্জ

[ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড ~~ ー* حس مینید حمته هدية عه করে থাকে, ছেলেদের শিক্ষা হ’তে ম্যালেরিয়া ডিপার্টমেন্ট পৰ্য্যন্ত বাক্যের দ্বারা য। কিছু প্রকাশ করা যায় তাই হ’ল সাহিত্য। জাজ আমার আলোচনার বিসয় রস-সাহিত্য, যাতে কোনো রকম সামাজিকতার সম্বন্ধ নেই । 戏 প্ৰাণ ধারণের জন্য আমাদের বিশেষ কতকগুলি চিত্ত-বৃত্তি রয়েছে। এই বৃত্তির প্রয়োজনের উদ্ধৃত্ত অংশ খরচ করার নাম হচ্ছে পেল । পেলা নিছক বাঙ্গে নয়, অপ্রয়োজনীয় নয়। যে প্রকাশটা আনন্দরূপে আত্মপ্রকাশ করে, তাকে আমি খেল৷ বলি। খেলার ভেতর অাছে একটা নকল করা । কুকুর পেল করে, শিকারের নকল করে ; বিড়ালছান। যথন কোনো জিনিস নিয়ে থেলা করে তখন ইদুর-ধর নকল করে । কিন্তু সাহিত্য কি তাই ? শিল্পকলাও কি তাই ? আমাদের বেঁচে থাকৃবর বৃত্তির যা উদ্ধৃত্ত রয়েচে তা খরচ করবার আনন্দই কি এই কলা-সাহিত্যেৰ আনন্দ ? আমার মন ত কিছুতেই তাতে সাড় দেয় না। কবি বস্লে--"শরৎচন্দ্র পবন মন্দ” । মেটিরিওলজিক্যাল-বিদ্যায় মানুষ হয়ত ঠিক বলে দেবে কবে চাদ উঠেছিল, কতটা বাতাস বয়েছিল। এ বলার দ্বারা কিন্তু তৃপ্তি হয় না। কীট্‌সের সেই পাত্রের কবিতার বর্ণনায় বাহিরের কথার বর্ণন। তিনি দেননি, দিয়েছেন তিনি অবর্ণনীয়ের ইঙ্গিত। কেবল মাত্র প্রয়োজনের অনুসরণ করে” সেই পাত্রের বর্ণনা হয়নি— নিজের ভিতর স্বপরিস্ফুট সুষমাযুক্ত পরিপূর্ণত কবি প্রকাশ কতে চেষ্টা করেছেন ; হয়ত কখনো কখনো তার সঙ্গে প্রতিদিনের ব্যাপার থাকূলেও ধাকৃতে পারে। সমস্ত সাহিত্য ও; কলার ভিতবের কথা এই ষে আমাদের ভিতরে একটা ঐক্যের আদর্শ রয়েছে । এই ঐক্য কি ? ধরে আমি গোলাপের আনন্দ পেয়েছি। তা হ’ল বাহিরের দৃষ্টির আনন্দ নয়, তা তার ভিতরের রঙের ও রূপের যে সুষমা রয়েছে তা, যে পরিপূর্ণ একটা ঐক্য আপনার ভিতর আপনি লাভ করেচে তাতে কোথাও আতিশয্য নেই এর ভিতর আরেকটা কথাও আছে । এই যে ঐক্য এটার বেশী ভাব রয়েছে সমস্তর সঙ্গে, সৰ্ব্বত্রর সঙ্গে । আমরা যখন কোনো উদ্দেষ্ঠা মনে নিয়ে কোনো কাজ করি, তখন অশ্বির কৰ্ম্মের মধ্যে উদ্দেষ্ঠের ঐক্য গঠন করি । কিন্তু এই চেষ্টার দ্বারা আমরা জগৎকে খণ্ডিত করি, নিখিল বিশ্বের সঙ্গে চেষ্টার সামঞ্জস্ত থাকে না । বিপুল বিশ্বের সৌন্দর্য্যকে দূরে ফেলে দিয়ে আমাদের সমস্ত চিন্তু ঐ এক ঐক্যকে ভাবতেই ব্যস্ত থাকে । সে ঐক্য পূর্ণ অনন্দের ঐক্য নর, সমস্ত জগতের সঙ্গে তার সামঞ্জস্ত নেই। এ-সবের স্থান রস-সাহিত্যে নেই। কিন্তু একটা গোলাপ, যে তার আপনার ভিতর নিখিল বিশ্বের প্রাণের কথা প্রকাশ করেছে, ঐ ঐক্য সমস্ত বিশ্বকে আহবান করেছে, এই ঐক্যই যথার্থ ঐক্য ; সেইটাকে প্রকাশ কমাই পরম কথা । অসীমের আকুতিকে নিজের কৰ্ম্মে ব্যক্ত করবার জন্ত প্রাচীন কবিদের সাহিত্য-কথা স্বষ্টি হয়েছিল । “আকাশ ক্রন্দসী !” অসীমের বেদনাতে অস্তুহীনক্লপে আপনাকে - নিরস্তর ছড়িয়ে ফেলে দিয়ে-আকাশে আকাশে সমস্ত আকাশের সেই বেদন নিয়ে কলা-শিল্পী যে একখানা ভাস তৈরী করেছে তা জল তুলবার জন্ত নয়, তা শরীরের পিপাসা নিবৃত্তি করবার জন্ত নয়। এই রঙীন পাত্র তার সকলের চেয়ে বড় পিপাস কতকটা নিবৃত্তি করবার জন্ত। তার ভিতরের একট পরিপূর্ণতার বেদন রয়েছে যা বলছে—আমাকে তোমার মানস-অন্তরে , প্রকাশ করে ছে.প্রকাশ করে । যা বলছে--নিত্য জামাকে প্রকাশ করে, প্রকাশ করে। এই ক্ৰন্দন-জাহান ও আকুতিকে মানুষ অবজ্ঞা করতে পারেনি। সমস্তকে অবজ্ঞা করে ঠেলে ফেলে দিয়ে ঘরে জাগুন লাগিয়ে দিয়ে সব ছেড়ে যে সেই ক্ৰশ্বন প্রকাশ করতে টেছিল। . .3 : * - ..ئs-ه ـي.