পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ) । ~5কাজ করিতে হইলে বিশেষ কষ্টসহিষ্ণু, সবল ও সাইলী হওয়া দরকার। কেননা, দিনের পর দিন বনে জঙ্গলে ও স্বৰ্গম পথহীন দেশে হাটিয়া বেড়ান দুৰ্ব্বল, ভীরু বা জারামপ্রিয় লোকের পক্ষে অসম্ভব । , অবগু কোনও ভূতত্ত্ববিদ, দি একাজ করেন, তাহ হইলে খনিজের আবিষ্কার ভালরকমে হয়। কিন্তু এ-প্রকার কাজে তাহার-মজুরি পোষাইবে কি না সন্দেহ। নিয়ম এই যে, ভূতত্ত্ববিদ, যে অঞ্চলে খনিজ থাকা সম্ভব, তাহ মোটামুটি নির্দেশ করিয়া দেন। তার পর খনিজ-সন্ধাতা তাঃ তয় করিয়া সেই স্থল খুজিয়া দেখেন। অনেক স্থলে সন্ধাতা স্বাধীনভাবেও খনিজ পদার্থ খুজিয়া দেখেন। অীকরের অবস্থিতির প্রধান নিদর্শন খনিজ পদার্থের টুকরা । জলের তোড়ে ও অন্যান্ত স্বাভাবিক কারণে অীকরের কাছাকাছি জায়গায় ভাঙ্গ টুকৃরা প্লাওয়া যায়। নিপুণ ও অভিজ্ঞ সন্ধাতা পাহাড়ের ফাটালে, পাহাড়ের গায়ের জলের পথে ও নিকটবৰ্ত্তী নদীর চড়ায় এই-সব খুজিয়া বাহির করেন। স্বভাবতঃই আকরের যত কাছে যাওয়া যায়, ততই এই প্রকার খনিজথও বেশী পাওয়া যায়ু। এইপ্রকারে ধীরে ধীরে চিহ্ন অনুসরণ করিয়া আকরে পৌছান যায়। অনেক স্থলে আকরের কিছু অংশ মাটি ভেদ করিয়া স্থপাকৃতি হইয়া থাকে। সেই জন্ত মাটির উপর স্বাভাবিক স্তুপ অতি সাবধানে পরীক্ষা করা দরকার হয় । খনিজ পদার্থ চারিদিকের ভূমিস্তর অপেক্ষা কঠিন হইলেই এইপ্রকার স্তুপ হইয়া উঠে। কোথাও বা ক্ষেতের আলের মত সঙ্গীর্ণ ও দৃঢ় স্তর হয়। আবার খনিজ পদার্থ অপেক্ষাকৃত নরম হইলে চারিদিকে উচু জমির মাঝখানে খালের মত হইয়া আকর থাকে। আকর ধাতব জিনিষের হইলে অনেক স্থলে রঙের দ্বারা নিৰ্ধারিত হয়। যেমন, লৌহের আঞ্চরের পাশের জমি লাল ও হলদে রঙের হয়। আকরিক তাম্রের নদর্শন গাঢ় সবুজ রং । এইসব বিভিন্ন রং শিক্ষিত ও ৪ অভিজ্ঞ সন্ধাত সহজেই চিনিতে পারেন। এইরূপ আরও অনেক উপায়ে আকরের প্রথম আবিষ্কার হয় । এখন প্রশ্ন হইতে পারে, যে, সাধারণ প্রস্তরখণ্ডে ও নিজপদার্থখণ্ডে প্রভেদ ৰিপ্রকারে বুঝা যাইতে পারে। ভারতের রত্নআদি খনিজ । করিতে বা ইজারা লইতে হয়। રહ૭ এষ্ট্র প্রশ্নের উত্তর সহজ নহে। প্রভেদ বুঝিতে হইলেই খনিজ-বিজ্ঞান কিছু জানা থাকা দরকার। উৰে ; মোটামুটি কয়েকটি পরীক্ষা করিলেই প্রভেদ অধিকাংশ : স্থলেই ধরা পড়ে। বর্ণের বিশেষত্ব, আপেক্ষিক গুৰুত্ব, ' আপেক্ষিক কাঠিন্য, ও কষের রং, এই কয়টি পরীক্ষা জানা থাকিলেই কাজ চলে। পরে কিছু অভিজ্ঞতা হইলেই চাক্ষুষ দর্শনই অধিকাংশ স্থলে যথেষ্ট হয়। আকরের আবিষ্কার হইলে তৎপরে খনিজু বস্তুটির যাচাই করা প্রয়োজন হয় । কয়েক খণ্ড খনিজ পদার্থ খনিজতত্ত্ববিদের কাছে পাঠান হয় । তিনি রাসায়নিক এবং অন্যান্য পরীক্ষা করিয়া বলেন, যে, তাহা কিপরিমাণে । বিশুদ্ধ ও তাহা হইতে কি কি পদাৰ্থ পাওয়া যাইতে পারে। পরীক্ষার ফল আশানুরূপ হইলে একজন বিশেষজ্ঞ ভূতত্ত্ববিদকে পাঠান হয় । তিমি আকর যথাযথভাবে পরীক্ষণ করিয়া বলেন, যে, তাহাতে কিপরিমাণ খনিজ পাওয়া যাইতে পারে এবং তাহার উত্তোলন বা আহরণ কিরূপ ব্যয়সাধ্য হওয়া সম্ভব। ইহার পর বাজারে পাঠাইবার খরচ, কুলিমজুর সংগ্রহের উপায়, ও বাজার দর, ইত্যাদি বিষয় বিচার করা হয়। সকল বিষয়ে বিশেষজ্ঞদিগের মত অনুকূল হইলে, খনিবিদ নিয়োগ করিয়া, অন্ততঃ খনিবিদের উপদেশ গ্রহণ করিয়া, কাৰ্য্যারম্ভ করা হয়। অবশু আকরের উৰ্দ্ধতম অধিকারীর নিকট হইতে খনিজস্বত্ব ক্রয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই . বিশেষ অনুসন্ধানের পূৰ্ব্বেই এই কাজ সারিয়া লওয়াই যুক্তিযুক্ত। কেননা, পরে, অন্ত অনেকে স্বার্থের জন্ত বাধা দিতে পারে । r উপরে যাক! লিখিত হইল, তাহা হইতে খনির কারবার যে নেহাৎ সহজ নহে, আশা করি ইহা স্পষ্টই বোঝা যায় । দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে দেশীয় লোকেরা এই বিশেষ লাভবান ষ্যবসায়ে অধিকাংশ .

  • ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েন। অথচ বিদেশী ব্যবসায়ীগণ এই

একই কাজে কোটশ্বর হইতেছেন। কারণ, দেশী ব্যবসায়ী প্রায় সৰ্ব্বদাই বিশেষঞ্জের অভিমতের জন্ত টাকা খরচ করিতে নারাজ। ফলে, প্রথমে কিছু টাকা কম লাগে, किंक পরে শত শত ভুল হওয়া লাভের স্বলে লোক্সাৰ