পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] সে সে বঞ্চিত থাকিবে এই ভয়ে নরহরি দিবানিশি মুখবাঁদান করিয়া জীবনযাপন করে । জিহব! তাহার ঐ স্বধানিঝরিণীর মধুম্রোতে সৰ্ব্বদ সরস হইয় থাকে— কিন্তু অজ্ঞ নর অঙ্গে অর্থহীন মৰ্ম্মঘাতী ডাক্তারী যন্ত্রপাতি বহন করিয়। নিজেকে জ্ঞানী ও গুণীজন ভ্ৰমে অহংকারমত্ত হইয়া বলে “নরঙ্গরির য়্যাডেনষ্টভূস্ হইয়াছে !" বিজ্ঞান বলে কোনো অঙ্গ ব্যবহার না করিলে তাত শুকাইয়ু নষ্ট হইয়া যায়। এই বাস্তবের পঙ্কিলতাময় সংসারে, যাঙ্গার আত্মার ব্যাপার লইয়। সদ-সৰ্ব্বদা তন্ময় - স্ট্রয় থাকে, তাহাদের পক্ষে বাস্তবের সহিত যথাযথ সম্বন্ধ বৃক্ষ ক্রমশঃ অসম্ভব হইয় উঠে। নিগুঢ় আধাত্মিক প্রেমের পুজারী নরহরি ক্রমশঃই বাস্তবের কদর্ঘ্য অসামঞ্জস্তে অতিষ্ঠ হইয়া উঠিতেছে। সে হ্যামবাজারের ট্রামে উঠিয় এসপ্লানেডের টিকিট চাহিয়াছিল । বস্তুতন্ত্রবিষময় সংসারে পুষ্পসৌরভবিমূৰ্ছিত মনোবৃত্তিগুলিকে কোনো প্রকারে জীবিত রাপির যে বাচিয়া আছে তাঙ্গর পক্ষে গুরূপ একটু ভ্রমপ্রমাদ কি অস্বাভাবিক ? তাহাতে রূঢ় টিকিট-বিক্রেত তাহার আচাৰ্য্য- ও পানীয়-বিচার সম্বন্ধে তীব্রভাষা ব্যবহার করায় ক্ষুব্ধ নরহরি ট্রাম হইতে সত্বর নামিয়া পড়িল । ব্যথিত হৃদয় তাহাকে ক্ষণিকের জন্য দিক্‌বিদিকুজ্ঞানশূন্য করিয়া দিল । যেদিকে মুখ করিয়া চলন্ত ট্রাম হইতে নাম উচিত তাঙ্গর বিপরীত দিকে মুখ করিয়া শিথিল চরণে ট্রাম হইতে অবতরণ-চেষ্টায় সে সফল হইল বটে, কিন্তু চরণ-যুগল তাঁহার মাটিতে না পড়ি৷ উৰ্দ্ধমুখ হইয়। ছিন্ন মোজরে আবরণ পাদুকাদুটিকে রূঢ় কগুষ্টরের সহিত অসহযোগের ও প্যাসিভ রেজিষ্ট্যান্সের পতাকা-রূপে জগতের “জীবন-মরুভূমি” s. নব্যজ্ঞানলব্ধ মূখতায় অভিভূত হইয়া বলিল—নরহরির শরীরে অসংখ্য হুক্-ওয়াবৃক্ষ বাসা দ্বাধিয়। কাঁলযাপন করিতেছে ; কেস্তব তৰ্কশাস্ত্র সম্বন্ধীয় কেতাব ক্রয় করিলেই সুতর্ক আপন হইতে আসে, এই ভ্ৰমে পড়িয়া তর্ক করিল— যদি নরহরি অতিরিক্ত চা পান করিয়া ও রাত্রি জাগিয়া ভর্জিত কুকুট-ডিস্ক ভক্ষণ করিয়া তাহার ব্লাড-প্রেসার্বুটির সৰ্ব্বনাশসাধনষ্ট না করিয়াছে, তাহা হইলে তাহার মাথ৷ ঘুরিয়া ট্রাম হইতে পতন কি বিন কারণে হইল ? নরহরিই শুধু বুঝিল যে প্রেমবিহ্বলতার মূল্য তাহাকে শারীরিক কষ্ট স্বীকার করিয়াই দিতে হইবে এবং তাহাতে তাহার কোনে অসোয়াস্তি হইল না । (৩) পোষাক বাহ্য জগতের সহিত যে প্রেমিকজনের কোনো সম্বন্ধ . থাকিতে পারে, ইহা সহজে প্রত্যয় হয় না ; কিন্তু তাহাদের সাজসজ্জা দেখিয়া মনে হয় এই মাটির পৃথিবীর সহিত ভেজাল-বিহীন ভাবরাজ্যের বুঝি বা একটি স্বল্প সংযোগতন্ত্রী হতাশের শেষ আশার মতই জোর করিয়৷ নিজ অস্তিত্ব রক্ষা করিতেছে। এই জোর করার ভাবটাই খুব চোখে পড়ে। নরহরি এই নিয়মের কোনো ব্যতিক্রম করে নাই । প্রেমিকজনের সম্মানরক্ষার্থ লগ-শিপ বর্ণনায় চিরাগত প্রথা অনুসারে আমরা তাহার পদযুগল হইতে ' ক্রমশঃ উদ্ধারোহণ করিয়া তাহার টেড়ী পর্য্যন্ত আসিয়া আমাদের জ্ঞানপিপাসার নিবৃত্তি করিব। তাঙ্গর পাদুকা দুটিকে দেখিলে মনে হয়, যেন ঐ পদপল্লবে ভাগ বসাইবার জন্য জগতের সকল জত সতত উদ্‌গ্ৰীব ( অথবা উদচ্ছিল । ইষ্টয় নরহরিপদযুগলের দিকে BBB BBBB BBBB BBBBB BBtS BB BBBS BB BBBB BBBB BBBBBS BB BB BBBBBB কিছু গোময় ও কর্দম লাগিয়া রহিল বটে, কিন্তু মূপে তাহার ছিল সফলতার জ্যোতি এবং বুকে তাহার ছিল বাস্তবের কড়ী-বহুল হস্ত দ্বারা অস্পর্শিত নিছক প্রেমের কয়েকটি পবিত্র অশ্রুকশা। লাগিলই বা পিঠে ধূলা, বাজিলই বা শরীরে ব্যথা–হৃদয় তাহার ভালবাসার , পূর্ণতায় বেলুনের মত সকল কিছু তুচ্ছ করিয়া উৰ্দ্ধে উৰ্দ্ধে ভাসিতেছিল। এই ঘটনাটি লষ্টয়া অনেকে অনেক-কিছু বলিল। কেহ মালিক লপেটাদ্ধয় স্বার্থরক্ষার্থ ফণা ধরিয়| পাদুকাজগৎকে “যুদ্ধ দেহি, যুদ্ধং দেহি, বিনা যুদ্ধে স্বচ্যগ্র-প্রমাণ পায়ের চামড়া নখ ফোস্ক বা কড়া ছাড়িব না” বলিয়া সম্মুখ-সমরে আহবান করিতেছে। তাহাদৈর বীরদৰ্পে আজ দুই বৎসর •যাবং নরহরির শ্ৰীচরণ অপর পাদুকাস্পশে কলুষিত হয় নাই । 鬱 মোজা জোড়াটা তাহার শতযুদ্ধের জয় পতাকার মতই झिझ १ মালিন্ত-গৌৰবে গর্কিত। তাহাদের দয়াতেই