পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ं:नश्n ] । জঙ্ক দেহের বল ও মনের বল দুইই চাই—বিশেষ করিয়া মনের বল। সাহস না থাকিলে গায়ের জোর এবং অস্ত্রশস্থ কিছুই কাজে লাগে না। জাবার গায়ের জোর এবং অরচালনার অভ্যাস ও দক্ষতা না থাকিলে, শেষ পৰ্যন্ত শুধু সাহসেই কাৰ্য্য উদ্ধার হয় না। অন্য অস্ত্র প্রকাশ্যভাবে ংগ্ৰহ করিবার ও রাখিবার স্বযোগ র্যাহাদের নাই, র্তাহারা লাঠি ব্যবহার কুরিতে শিখুন। এ-বিষয়ে সাহায্য করিবার নিমিত্ত আমরা অনেক মাস ধরিয়া লাঠি-খেলায় দক্ষ শ্ৰীযুক্ত পুলিনবিহারী দাস মহাশয়ের লেখা লাঠিখেলাবিষয়ক সচিত্র প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়া আসিতেছি । শুধু পুরুষদের গায়ের জোর ও মনের জোরে কাজ হইবে না ; মহিলাদেরও দৈহিক বল ও সাহসের বিশেষ প্রয়োজন আছে । তাহারা অস্ত্র-ব্যবহার দ্বারা কখন কখন দুরাত্মাদের দুরভিসন্ধি বিফল করিয়াছেন, এরূপ সংবাদ মধ্যে মধ্যে খবরের কাগজে বাহির হইয়া থাকে। এইরূপ সমুদয় সংবাদ কেহ সংগ্ৰহ করিয়া দিলে আমরা কৃতজ্ঞতার সহিত তাহ প্রকাশ করিব । যখন বঙ্কিমচন্দ্র ৰ্তাহার আনন্দমঠে শাস্তিকে ঘোড়ায় চড়াইয়াছিলেন, যখন তিনি তাহার দেবী চৌধুরানীকে পুরুষের মত ব্যায়াম ও অস্ত্রচালন শিখাইয়াছিলেন, তখন বাঙ্গালীর তাহ নূতন লাগিয়াছিল। কিন্তু বাস্তবিক মহিলাদের অশ্বারোহণ বা অস্ত্রচালনা নুতন নহে এবং অস্বাভাবিক ও নহে ; প্রত্যুত ইহা একান্ত আবশ্বক । আমরা জানি, কোনও অতি সম্লান্ড পরিবারের দুটি বালিকা উপযুক্ত শিক্ষকের নিকট লাঠিলেখা শিখিতেছেন, এবং র্তাহাদের “দম” ও দক্ষতার প্রশংসাও শুনিয়াছি। আমরা আগে বালবিধবার বিবাহ প্রসঙ্গে বলিয়াছি, যে, যে-কোন দিক্ দিয়াই বিচার করা যাকৃ, বালবিধবাদের বিৰাহ দেওয়া উচিত । হইলেও, বিধবাবিবাহের প্রচলন একান্ত আবখ্যক । কেহ যদি নারীনিৰ্য্যাতনের সমুদয় ঘটনার বিবরণ পড়িয়া অত্যাচরিতাদিগের মধ্যে বিধবা কয় জন, তাহা গণন করেন, তাহা হইলে সম্ভবতঃ দেখা যাইবে, যে, বিধবার সংখ্যাই বেশী । অনেক স্থলে বালবিধবারা প্রাপ্তবয়স্ক হইবার পর, রক্ষক স্বামীর অভাবে, স্বরক্ষিত হন না, বিবিধ প্রসঙ্গ –নারীরক্ষা-সমিতি নারীনিৰ্য্যাতন বন্ধ করিতে

ره سه

অথচ নানা প্রয়োজনে তাহাদিগকে বাড়ীর বাহিরেও আসিতে হয়। তখন তাহারা দুৰ্বত্ত লোকদের লোভের বস্তু হইয় পড়েন। অনেক স্থলে অত্যাচারীরা মুসলমাল বটে ; কিন্তু হিন্দুসমাজেও দুৰ্ব্বত্তের অভাব নাই। বস্তুতঃ দুৰ্ব্বত্তের নামে হিন্দু বা নামে মুসলমান হইলেও, তাহার কোন ধৰ্ম্মাবলম্বীই নহে, এবং তাহারা সুযোগ পাইলেই সম্প্রদায়ের বিচার না করিয়া নারীর সর্বনাশ চেষ্টা করে। এই জন্ত দেখা যায়, যে, মুসলমান বদমায়েস মুসলমান নারীরও, হিন্দু বদমায়েস হিন্দু নারীরও সৰ্ব্বনাশ করিতেছে। যেখানে যেখানে সম্ভব হইবে, স্থানীয় নারীরক্ষণসমিতিতে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়েরই সভ্য থাকিলে ভাল হয় । মুসলমান সমাজে বিধবার বিবাহ প্রচলিত আছে। তথায় ধর্মিত নারীরও বিবাহ হয় এবং সমাজে স্থান হয়। ইহা ন্যায্য ব্যবস্থ। । হিন্দু সমাজেও ইহার প্রচলন সৰ্ব্বতেভাবে বৈধ এবং বাঞ্ছনীয়। ইহা সম্পূর্ণ শাস্ত্রসন্মতও বটে। ধর্ষিতা হিন্দু নারীর ভদ্র হিন্দু সমাজে স্থান না হইলে তাহার অকুম্ভাবী ফল দ্বিবিধ হয়। নিগৃহীত নারী হয় অনিচ্ছাসত্বে ৪ পতিতাদের শ্রেণীভুক্ত হন, কিম্বা কোন মুসলমানের পত্নী হন । অনেক সময়, যদি তিনি কোন মুসলমান কর্তৃক অত্যাচরিত হইয় থাকেন, তাহা হইলে তাহাকেই বিবাহ করিতে বাধ্য হন । এই দ্বিবিধ ফলের মধ্যে যাহাষ্ট ঘটুক, তাহা দ্বারা সমাজের অকল্যাণ হয়। হিন্দু সমাজের অকল্যাণ ত হয়ই ; মুসলমান সমাজেরও হয়। কারণ, এরূপ ঘটনায় কাৰ্য্যতঃ অসত্য দেশের ও অসভ্য যুগের বলপূর্বক ধরিয়া আনিয়া বিবাহ করিবার 21qi (marriage by capture) o Kol I Coসমাজে ঐ প্রথা অকুস্থত হয়, তাহ সভ্যতার ও স্থনীতির নিম্নস্তরেই আবদ্ধ থাকে । আপেক্ষিকভাবে ইহাতে হিন্দু সমাজের আর একপ্রকার ক্ষতি হয় । যেসকল হিন্দু বিধবা এইপ্রকারে মুসলমানের পত্নী হন, তাহার দৈহিক পূর্ণত প্রাপ্তির পরই বিবাহিত হন ও সন্তানের জননী হন । স্বঙ্গীতের মদত ষোল বৎসরের কম বয়সের নারীর মাতা হওয়া বাঞ্ছনীয় নহে। তদুৰ্দ্ধ বয়সের মাতার সস্তান অপেক্ষাকৃত বলিষ্ঠ ও আয়ুষ্মান হয়। ইহাই সাধারণ