পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ-Ե কিল্লা ফতে করিবেন। আমাদের সর্ববিধ রাজনৈতিক প্রচেষ্টা যে একপ্রকার যুদ্ধ, তাহা স্বীকার্য্য। সেইজন্তই ত বলি, যে, যেমন যুদ্ধে উভয় পক্ষই পরস্পরের বন্দোবস্ত ও আয়োজন দখল করিয়া নিজের কাজে লাগাইবার চেষ্টা করে, আমাদিগেরও সেই নীতির অনুসরণ করা কর্তব্য। অসহযোগীরা মিউনিসিপ্যালিটি ডিষ্ট্রক্ট বার্ডগুলি ক্রমে ক্রমে দখল করিবার চেষ্টায় আছেন। যুদ্ধের কৌশল এক নয়, নানা । যদি অসহযোগ-নেতারা দেশের সেবার জন্য বেসরকারী সব-রকম প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তুলিতে, সৰ্ব্ববিধ আয়োজন করিতে পারেন, তাহা হইলে সৰ্বকারী সব-কিছু ৰঙ্গন করুন ; নতুব। প্রয়োজন-মত সরকারী কোন কোন প্রতিষ্ঠান দখল করুন বা দেশের কাজের জন্য কাজে লাগান। কোন পন্থাই নিন্দনীয় নহে । আচাৰ্য্য বস্থ মহাশয়ের প্রত্যাবর্তন আচার্ধ্য জগদীশচন্দ্র বন্ধ এবং তাহার সহধৰ্ম্মিণী দীর্ঘকাল ইউরোপের নানা-দেশ ভ্রমণ করিয়া সম্প্রতি ভারতবর্ষে প্রত্যাগমন করিয়াছেন । আচাৰ্য্য মহাশয়কে সৰ্ব্বত্রই তাহার নূতন আবিক্রিয়াগুলি সম্বন্ধে বক্তৃত৷ করিতে হইয়াছিল। - তাহা বুঝাইবার জন্ত র্তাহার উদ্ভাবিত ও র্তাহার তত্ত্বাবধানে দেশী কারিগর দ্বারা নিৰ্ম্মিত যন্ত্র-সকল ব্যবহৃত হইয়াছিল। এই যন্ত্রগুলির স্বক্ষ, নিভুল ও অদ্ভুত কাৰ্য্যকারিতা দেখিয়া সৰ্ব্বত্র বৈজ্ঞানিকগণ বিস্মিত হইয়াছেন । তাহাকে অনেক পরিশ্রম করিতে হইয়াছে। এই পরিশ্রম সার্থক হইয়াছে। ইহার দ্বারা নূতন বৈজ্ঞানিক তত্বের প্রচার হইয়াছে, এবং বিদেশে ভারতীয় প্রতিভার গৌরব বদ্ধিত হইয়াছে। অন্ত অনেক অসাধারণ লোকের সহধৰ্ম্মিণীর সম্বন্ধে যেমন বলা যায়, আচাৰ্য্য বস্থ মহাশয়ের পত্নীর সম্বন্ধেও সেইরূপ বলা যায়, যে, তিনি সাংসারিক সমুদয় ঝঙ্কাট ও খুটি-নাটির সম্পূর্ণ ভার নিজে বৃহুন না করিলে, বস্থ মহাশয়ের জ্ঞানতপস্তায় বহু বিম,ঘটিত। কিন্তু আচাৰ্য্যপত্নী মহোদয়াৱ নিজের লোকহিতকর কাজও আছে। প্ৰতিনি ভ্রান্ধ বালিকা শিক্ষালয়ের সম্পাদকের কাজ দীর্ঘকাল প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড চালাইয়া আসিতেছেন। নারী-শিক্ষা-সমিতির দ্বারাও নানা উপায়ে স্ত্রীশিক্ষার বিস্তার হইতেছে। বস্থ মহাশয় ও র্তাহার পত্নী স্বদেশে আপনাদের কার্ষ্যক্ষেত্রে ফিরিয়া আসাম আমরা আনন্দিত হইয়াছি। র্তাহাদের সহকৰ্ম্মীদের প্রাণে নূতন বলের সঞ্চার হউক, এবং নৃতন প্রেরণা আস্বক, এই প্রার্থনা করি । নাভার হত্যাকাণ্ড অকালীরা কাপুরুষ নহে, যে, অহিংসার ভাণ করিয়া তাহারা কোথাও হিংসা করিতে বা দৈহিক বা আস্ত্র বল প্রয়োগ করিতে যাইবে । হিংসা করিবার ইচ্ছা করিলে বীয়ের যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া বা অন্তপ্রকারে প্রকাশ্ব যুদ্ধই করে। সেইজন্য যখন সৰ্বকারী বা আধাসরকারী সংবাদে বলা হইয়াছিল, যে, নাল-রাজ্যে তাহার প্রথমে যে জখা বাধিয়া যাইতেছিল, সেই জখার লোকদের আগ্নেয় অস্ত্র ছিল, তাহীদের সঙ্গের জনতার লোকদেরও অনেকের অস্ত্র-সজ্জা ছিল, এবং প্রথমে বে-সরকারী তরফ হইতে বন্দুক আওয়াজ হওয়ার পর ব্রিটিশ গবৰ্ণমেণ্টের নিযুক্ত ইংরেজ অফিসার তাঁহাদের উপর গুলিবর্ষণ করিতে হুকুম দেন,—তখন এই-সব কথা বিশ্বাস করিবার কারণ হয় নাই। পরে শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির পক্ষ হইতে এসব কথা মিথ্যা বলা হয়। তাহার পর আমেরিকার জর্ণ্যালিষ্ট অর্থাং-সাংবাদিক মিষ্টার জিম্যাগু, মহাত্মা গান্ধীকে প্রকাগু চিঠি লিথিয় জানান, যে অকালী জখা কিম্বা তাহাদের অম্লচর পার্শ্বচর জনতা সশস্ত্র ছিল না, তাহদের কাহারও আগ্নেয় অস্ত্র ছিল না, স্বতরাং তাহাদের তরফ হইতে প্রথমে বন্দুক আওয়াজ হয় নাই, এবং সরকারী তরফ হইতে দুইবার দস্তুরমত গুলি বর্ষণ হয়। কংগ্রেস কমিটির পক্ষ হইতে যে রিপোর্ট, প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতেও জখা ও জনতার নিরস্ত্র ও নিরুপদ্রব শাস্তভাব এবং সৰ্বকার পক্ষ হইতেই গুলি-বর্ষণের সংবাদ সমর্থিত হইতেছে। অতএব নাভার এই হত্যাকাণ্ডটিও অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালা বাগের একটি মত ব্যাপার। এইরূপ নিষ্ঠুর কাপুরুষতার