পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ss হইতে আগত দিয়াশলাইয়ের উপর শুদ্ধ থাকায় বিদেশী দিয়াশলাই নিৰ্ম্মাতাদের অন্ধবিধা হইতেছে, এবং দেশী দিয়াশলাই অল্প-স্বল্প প্রস্তুত ও বিক্ৰী হইতেছে। এই জন্য বিদেশী দিয়াশলাই নিৰ্ম্মাতারা ভারতেই কারখানা স্থাপন করিয়া নিজেদের মাল চালাইবে, এবং আমাদের বৰ্ত্তমান কারখানাগুলি নষ্ট করিবে ও ভবিষ্কাতে আমাদের কারখানা স্থাপন অসম্ভব করিবার চেষ্টা করিবে। এই অনিষ্ট নিবারণের উপায় আছে, এবং তাছা স্বাধীন দেশে প্রয়োজনমত অবলম্বিতও হইয়া থাকে। তদন্তসারে আমাদের দেশেও এইরূপ আইন হওয়া উচিত, যে, ভারতীয় ভিন্ন অপর কোন জাতির মূলধনী বা অন্য লোক যদি এদেশে কোন কারবার কারখানাআদি স্থাপন করিতে চায়, তাহা হইলে দেখাইতে হইবে, যে, ঐ কারবার বা কারখানার মূলধনের তিন-চতুর্থ অংশ ভারতীয় লোকদের এবং উহার ডিরেক্টর অর্থাৎ পরিচালকদেরও তিন-চতুর্থ অংশ ভারতীয় লোক। এইরূপ আইন ন৷ করিলে আমাদের দেশী লোকদের নূতন পণ্যশিল্পের কারখানা ত স্থাপিত হইবেই না, পুরাতনগুলিও লোপ পাইবে । কারণ, ইউরোপ, আমেরিকা ও জাপানের লোকদের যত মূলধন আছে, আমাদের তত মূলধন নাই । - ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচিত সভ্যেরা সত্ত্বর এ বিষয়ে মনোযোগী হউন । লাহোরে প্লেগ প্রায় ত্রিশ বংসর হইতে চলিল, ভারতবর্ষে প্লেগের আবির্ভাব হইয়াছে ; এখনও তিরোভাব হইল না। হইবেই বা কেমন করিরা ? প্লেগ দারিদ্র্য-ক্লিষ্ট দেশেরই অতিথি হয়। দেশের দারিদ্র্য না গেলে প্লেগ নিমূল হইবে না । - - পঞ্চাবে, বিশেষতঃ লাহোরে, খুব প্লেগ হইতেছে। আমরা দেখিয়া স্বর্থী হইলাম, যে, কলিকাতার রামকৃষ্ণ

মিশনের লোকেরা গিয়া লাহোরে প্লেগ রোগীর সেবা

করিতেছেন, এবং লাহোর ডিভিজনের কমিশনার ল্যাংলা সাহেব বিশেষ করিয়া তাহাদের কার্য্যের প্রশংসা প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১ . সন্তুষ্ট হইয়া এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন নাই। [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড জাতিভেদবিশ্বাসী ঋষ্টিয়ানদের মধ্যে দাঙ্গা দক্ষিণ ভারতে খৃষ্টিয়ান সমাজে, বিশেষতঃ রোম্যান কাথলিক খৃষ্টয়ান সমাজে, হিন্দুদের মত জাতিভেদ আছে। যাহারা বামুন বা অন্য “উচু” জা’ত থেকে খৃষ্টিয়ান হইয়াছেন, তাহার “অন্পুশু” সমাজ হইতে আগত খৃষ্টিয়ানদিগকে নিজেদের সমান সামাজিক ও অন্যান্য অধিকার দেন না। ইঙ্গ লইয়া ত্ৰিচিনপলীতে ঝগড় ও পরে দাঙ্গা মারামরি হইয়। গিয়াছে । কয়েকজন আহত ও দুই-একজন মারাত্মকরকম জখম হইয়াছে। আলিপুরে ষড়যন্ত্রের মামূল৷ আলিপুরের ষড়যন্ত্রের মোকদম দীর্ঘকাল ধনিয়া চলার পর সকল আসামীরই বেকসুর খালাস প্রাপ্তিতে পরিসমাপ্ত হইয়াছে। জজ র্তাহার রায়ে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাৰ্য্যপ্রণালীর নিন্দ করিয়াছেন—তিনি নিজের বাংলায় বসিয়াই, অভিযুক্তদিগকে না দেখিয়াই, হুকুম দিতেন। পুলিশ যেভাবে আসামীদের স্বীকারোক্তি আদায় ও লিপিবদ্ধ করিয়াছিল, তাহার সমালোচনাও জজ করেন । ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ত ফাসিয়া গেল, কিন্তু বিচার শেষ হইবার আগেই ষড়যন্ত্রের অস্তিত্ব মানিয়া লইয়া বিলাতে ভারতবর্গের রাজনৈতিক প্রগতিতে বাধা দিবার অনেক সফল চেষ্টা হইয়। গিয়াছে। আসামীর খালাস পাইবা মাত্র পুলিশ চারিজনকে গ্রেপ্তার করে। ওয়ারেন্ট দেখাইতে বলায় পুলিশ ওয়ারেন্ট দেখাইতে পারে নাই। এবিষয়ে ধুতব্যক্তিদের পক্ষ হইতে হাইকোর্টে দরখাস্ত হওয়ায় সৰ্বকার পক্ষ হইতে বলা হয়, যে, তাহাদিগকে ১৮১৮ সালের তিন নম্বর রেগুলেগুন অনুসারে ধরা হইয়াছে, এবং জেলস্বপারিন্টেণ্ডেণ্ট কে তাহাদিগকে জেলে আবদ্ধ রাখিবার জন্য ওয়ারেন্ট দেওয়া হইয়াছিল। জজরাও তাহাতেই .জেলস্বপারিন্টেগুেন্টের কাছে ষে ওয়ারেন্ট ছিল, তাহা পুলিশ কর্তৃক আনীত চারিজন ব্যক্তিকে র্তাহার. হেফাজতে রাখিবার জন্ত ; কিন্তু পুলিশ তাহাদিগকে ধরিল কোন ওয়ারেন্টের জোরে ? পুলিশের কাজটা ঠিৰু আইনসঙ্গত