পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] "এপর্য্যস্ত আমাদের রাষ্ট্ৰীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসকলে যে বিপ্লব ঘটান হইয়াছিল, তাহ কেবল বাহ রূপের পরিবর্তন মাত্র । কিন্তু এখন কেবল তাহদের নামের বা রূপের পরিবর্তন নহে, আমাদের আদর্শ, আমাদের চিন্তার ধরণ, আমাদের কৰ্ম্মনীতি, সবই পরিবৰ্ত্তিত হইতেছে । খিলাফতের উচ্ছেদসাধনের মানে তুরস্কের সম্পূর্ণ তাধুনিকতপাদন ও zooloo (the complete modernization and Westernization of Turkey) i cria fost tw niq ai fini stąfar রাষ্ট্রের সব নীতি আমাদের রাষ্ট্রীয় পদ্ধতি ও প্রণালীর মধ্যে প্রবত্তিত হইয়াছে। এখন আর ইউরোপীয় যে-কোন রাষ্ট্র ও তুরস্কে কোন প্রভেদ নাই। ইহা সত্য, যে সভ্যতার দিক্ দিয়৷ বিবেচনা করিলে আমরা একটি পশ্চাৎপদ বা অনুন্নত জাতি, কিন্তু আমরা ইউরোপায় জাতিসঞ্চলের সহিত একই লক্ষ্যের অমুসরণ একই রীতি অনুসারে করিতেছি, এবং আমাদের প্রগতির রেথ বা পথ তাহীদের সঙ্গে এক । আমরা শীঘ্রই প্রাচ্যের সম্পূর্ণ প্রাচ্যীকরণ দেখিল ।” “বতন” ( Watan ) নামক কনস্তান্তিনোপলের আর একটি উদারনৈতিক দৈনিক বলেন, "এমন এক সময় ছিল যখন প্লিফংকে শক্তির উৎস বলিয়। বিশ্বাস করা হইত, কিন্তু এপন বুঝিতে পার। গিয়াছে, যে, উহ BBBBB BBBS BB BBB BBB BBBBBB BBBSBBS BB মুসলমানদিগকে বৈদেশিক উৎপীড়ন অত্যাচার গুইণ্ডে রক্ষা করিপার অক্ষমতা প্রযুক্ত মোসলেম জগতে পিলাফতের প্রতিপত্তি লোপ পাইয়াছিল। আমাদের খুবই অভাবের সময়ও আমরা মুসলমানদের উপর খলিফার বধ ক্ষমত হইতে কোন লাভ পাই নাই ! এমন কি, জগৎজোড়। গত যুদ্ধের সময় খলিফা কর্তৃক জেহাদ অর্থাৎ ধৰ্ম্মযুদ্ধ পোষণও ভারতীয় মুসলমানদিগকে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হইতে নিবৃত্ত করিতে পারে মাই । তা ছাড়া, আমরা ধৰ্ম্মশাস্ত্রাদিপ্রস্থ৩ সবরকম প্রভাল বাদ দিয়া একটি আধুনিক রাষ্ট্র স্থাপন করিতে চাই। খিলাফত থাকার জন্ত আমাদের তুকজাতীয় ব্যাপারে অন্য মেসূলে জাতির হস্তক্ষেপ করিবার কারণ পাইয়াছিল। যথা—ভারতীয় মুসলমানরা মনে করিয়াছিল, যে, তুরঞ্চের শাসনপ্রণালীর সমালোচনা করিবার অধিকার তাহদের আছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী শক্তিপুঞ্জ এই অবস্থার সুযোগে মোস্লেম্‌ জাতি- . সকলকে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় ব্যাপারসমুহে হস্তক্ষেপ করিতে উত্তেজিত করিয়াছিল ১ আমরা এইসব সস্তালন এবং আমাদের সংসারিক বা পার্থিল প্রতিষ্ঠানসকলৈ ধৰ্ম্মবিশ্বাসপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ কাটিয় ছটীয় ফেলিঙে চাই । অতএব, প্রতীচার গণতন্ত্র রাষ্ট্র সকলের মার্গ অবলম্বী একটি আধুনিক রাষ্ট্র স্থাপনার্থ গিলাফতেল উচ্ছেদ সাধন ঠিকৃ সমীচীন ও দরকারী জিনিষ ।” কনস্তাত্তিনোপলের নূতন সান্ধা কাগজ “মুস্তকিল” (Mustekil) উপেক্ষা ও ঔদাসীদ্যের মুরে বলিতেছেন, "হেজাজের রাজা হুসেনের মত মুসলমান রাজার ও অষ্ঠের খলিফা উপাধি দ্বারা আপনাদিগকে ভূষিত করিতে চাহিবে। সেটা তাদের ভাবিবার বিষয় তাঁর সঙ্গে তুর্কিদের কোন সম্পর্ক নাই। তুর্কর চিরকালের জন্ত এই সমস্তার সমাধান করিয়াছে ; তাহীর রাষ্ট্রকে ধৰ্ম্মমণ্ডলী হইsে সপুর্ণ পৃথক্ করিয়া দিয়াছে।” কমৃস্তষ্কস্তিনোপলের “ইকৃদম্‌” (Ikdan) বলেন, “সিকি শতাব্দী পূৰ্ব্বে মোসলেম জগতের সমক্ষে তুরস্ককে সেই জগতে স্বাধীনতার একমাত্র দৃষ্টপ্ত ধলিয়া ধরা হইয়াছিল। যেসব কোটি কোটি বিবিধ প্রসঙ্গ—মুসলমান দেশসকলে স্বজাতিকতার উদয় ఇస్సిక్షీ, মুসলমান • ক্রর উৎপীড়নে অর্তিনাদ করিতেছিল, তাহার, মতই অত্যাচার বাড়িতেছিল, ততই কনস্তাপ্তিনোপলের দিকে চোখ, ফিরাইতেছিল ! এইপ্রকারে তাহার সাম্বন লাভ করিতেছিল এবং তাহদের বিশ্বাস দৃঢ় হইতেছিল। এই অনুভূতির মধ্যেই তুরষ্কের প্রতি সমুদয় মুসলমানদের বন্ধুভাব নিবদ্ধ আছে। খিলtঞ্চৎ এই বন্ধুত্বের উৎস ব। উপাদাম নহে। এই বন্ধুঙাব পুর্বললশিত ভাবসকলের উপর প্রতিষ্ঠিত। “তুরঞ্চে ১৯৭৮ সালের ১৭ই জুলাইয়ের রাষ্ট্রবিপ্লবের পর, মুসলমানুদের আমাদের প্রতি যে-সব ভাব ছিল, তাহার উপর একটি পুতন ভাল সংযোজিত হইল। তুরষ্কের স্বাধীনতা অর্জন মুসলমানদের হৃদয়ে বৈদুতিক শক্তি সঞ্চার করিয়াছিল—তাহারও জামাদের মত স্বাধীনতা ও প্রগতি চাহিত, কিন্তু তাহার পথে আমাদের যে বাধী ছিল তাহদেরও হtহ ছিল । তাহার। তাহদের সন্মুখে এমন একটি জাতি দেপিল, যাহার স্বাধীনতা অর্জনে সফলপ্রযুত্ব হইয়াছে, স্বতরাং ৩tহাদের আনন্দ দ্বিগুণিত হইল । "আনাতোলিয়ার স্বাধীনতা-সংগ্রাম অগুস্ত হওয়া অবধি মোসলেম জগতে এক নব উত্তেজনার তরঙ্গ উখিত হয়। তুরস্কের জয়লাভ মুসলমানদের চক্ষেই স্লামেরই জয়লাভ বলিয়া প্রতীত হইয়াছে। সমগ্র মোসলেম জগৎ আনন্তোলীয় সৈন্তকে ইসলামের সৈন্ত বলিয়, এবং তুরস্ক পাল মেন্ট ও উহার মন্তং নেতাকে ধর্মের পক্ষে অবলম্বনপূর্বক জয়া ও লোকসকলের পথপ্রদশক বলিয়া পরিগণনা করিয়াছে । স্বাধীনতা-সমরের সমুদয় কাল ব্যাপিয়া এবং আজ পর্য্যস্ত সমুদয় সময়, খিলাফত মোসলেমদের স্থায় বিস্মৃতিগহ্বরে মগ্ন ছিল । মোসলেম জগৎ ইতিহাসপৃষ্ঠায় খিলাফতের চিরবিশ্রাম-লাভ বিনালাক্যব্যয়ে গ্রহণ করিবে । ” মুসলমান দেশসকলে স্বাজাতিকতার উদয় ইউরোপ ও আমেরিকার রাষ্ট্রগুলি, সমস্তই, কাজে যাহাই হউক, নামে খৃষ্টিয়ান লোকদের রাষ্ট্র। তাহারা সকলেই খৃষ্টিয়ান বলিয়। পরিচিত হইলেও, প্রত্যেকের স্বতন্ত্র জাতীয়ত ও স্বতন্ত্র আইনাদি আছে। মুসলমান দেশসকলের অবস্থা ঠিকু এইরূপ ছিল না ; কিন্তু ক্রমশঃ তাহা হইতেছে । Tইস্লামের রাষ্ট্র ধৰ্ম্মশাস্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত । ইহার সমুদয় আইনকাগুন কোরান শরিফের উপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু কোন কোন মুসলমান দেশে এইসব বিষয়ে পরিবৰ্ত্তন দৃষ্ট হইতেছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, ইন্টারন্যাশন্তাল রিভিউ অব মিশন্স নামক ত্রৈমাসিক কাগজে ডাক্তার সী আবু ওয়াটুসন বলিতেছেন, এখন অধিকাংশ মোসলেম দেশে অপরাধের দণ্ড ঠিক ইস্লামের বিপি মহসারে হয় না । চোরদের হাত কাটিয় ফেলা হয় না। ব্যভিচারে ধূত নারীকে পাথর ছুড়িয়া মারা হয় না । সরকারী