পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] এসে দুরারে হাজির হ’ত । এ উারা কিছুতেই এড়াতে পারতেন না । এ বাধা নিয়ম সোজা বিদ্রোহ ছাড়া ভাঙবার উপায় ছিল না ! শেষে বাবা বেঁকে দাড়ালেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন, শ্ৰীমতীর এক নেমভন্নও তিনি আর রাখবেন না । কিন্তু নেমস্তন্ন করবার অজুহাত বের করবার ভার মার উপর ফেলে তিনি নিশ্চিন্ত হলেন ; অথচ ম৷ কিন্তু একাজের মোটেই উপযুক্ত ছিলেন না। কোনরকম ভাণ করা তার পক্ষে একরকম অসম্ভবই ছিল। জোএ, তোমার বোধ হয় মনে আছে একদিন থেতে বন্ধুে’ মা বললেন ভাগ্যিসূ জোএর ঘুসফুসে কাশি হয়েছে, কিছু দিনের জন্ত ত আর মপ্লেসিতে যেতে হবে না। কিন্তু কিছুদিন পরেই তুমি সেরে উঠলে । তার পর একদিন শ্ৰীমতী এসে মাকে বললেন 'বাছ, আসছে রবিবার দিন মপ্লোসিতে তোমাদের নেমস্তন্ন রইল।” বাবা কিন্তু মাকে বলে' দিয়েছিলেন, যেমন করেই হোক একটা বেশ শক্ত অজুহাত বের করে নেমস্তন্ন এড়াতেই হবে । মা তখন ফাপরে পড়ে অসম্ভবরকমের এক ছুতে বের করে বললেন—বড় ঃখের সহিত জানাতে হচ্ছে, এ রবিবtল্প বাড়ী ছাড়া অসম্ভব । সেদিন মালী অস্বার কথা । ‘মার কথা শুনে শ্ৰীমতী বৈঠকথানার কাচের জানাল দিয়ে বাগানের দিকে চোখ ফেরালেন। বাগানের গাছগুলোর উপর বহুকাল কঁচি না লাগায় ছোট থাটো একটা জঙ্গল তৈরী হ'য়ে গিয়েছিল। হঠাৎ মায়ের চোখও বাগানের উপর পড়ল। উচু উচু যাস আর বুনো চার গাছে ভর এতটুকু জায়গা—যকে তিনি ‘বাগান’ নাম দিয়েছেন তার দিকে চেয়েই তার অজুহাতটা যে নিতান্ত অসার বলে মনে হবে একথা ভেবেই তার মুখ শুকিয়ে গেল।–“মালিট৷ সোম কি মঙ্গলবার আসতে পারে না ? রবিবার দিন কাজ করা ত ভারি অন্যায় । সপ্তাহে আর কোন দিন কি তার অবসর নেই ? আমি চিরকাল দেখে অস্ছি—সবচেয়ে অসম্ভব যা তা অনেক সময়ই কোন বাধ পায় না। অপরপক্ষে মুহূৰ্বে তার কাছে হরি মানে । যতটা আশা করা গিয়েছিল, ঐ মত তেমন জেদ কিছুই করলেন না । চেয়ার ছেড়ে উঠে তিনি বললেন তোমার মালীর নাম কি বাছ ?, মা তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন—পুতোয় । পুতোয়ার নাম করণ হ’ল,— কাজেই তার অস্তিত্বও হ’ল। শ্ৰীমতী গঙ্গজ করে বলুতে বলতে চল লেন—”পুতোয় নামটা যেন কোথায় শুনেছি।—পুতেীয়,পুষ্ঠোয়। —বঃ আমি ত তাকে খুবই জtiণ -কিন্তু তবু যেন সব -জ্ঞ্যুছে না। সে থাকে কোথায় ? দিনের বেল বুঝি কাজ করতে স্ট্রোয়? দৰকাৰ হ'লে পুতোয় যে বাড়ীতে কাজ কaে' সেখানে তক্ষু খবর করতে হয়।--আঃ-যা ভেবেছি তাই ! সে ত লক্ষ্মীছাড়া, ঙ মুর, নিষ্কর্য। শ্ৰীমতী তখন মুখ গম্ভীর করে বললেন—"বাছা শুকে নিয়ে খুব সাবধানে থেকে । “তার পর থেকে পুতোয়ার এক। চরিত্রও স্বষ্টি হ'ল।" 教 এমন সময় মসিয়ে গুর্ব্য ও উIা মার্ভে এসে উপস্থিত হলেন । মসিয়ে বেরজেরে আলোচনার বিষয়টা তাদের বললেন— 'একদিন মা যাকে তৈরী করে স্যাৎ ওমেরএর মালীর কাজে নিযুক্ত করেছিলেন আমরা তার কথাই বলছি। মা তার একটা নাম দিলেন, আর সঙ্গে সঙ্গে তার কাজও স্বল্প হ’ল । চশমার কাচ মুছতে মুছতে মসিয়ে গুব্য বললেন “মাপ করুন মশায় ! আপনি ফের ও-কথা বলতে চান ?” - মসিয়ে বেরূজেরে বলে উঠলেন—“নিশ্চয়, এই নামে কোন মালাই झिल नां । পুতোয় JD) )


মা বললেন “মালী আস্বার কথা” অমূনি মালীর জন্ম হ’ল আর তার কাজও সুরু হ’ল” । মসিয়ে গুর্ব্য জিজ্ঞেস করলেন “র্তার যদি অস্তিত্বই ছিল না, তবে সে কাজ করত কেমন করে’ ?” “একরকম ধরলে, তার অস্তিত্ব ছিল।” বিক্রপের স্বরে মসিয়ে গুর্ব্য বলে উঠলেন—সে কি আপনার কল্পনায় ?” বেরুঞ্জেরে উত্তরে বললেন—“কাল্পনিক অস্তিত্বের কি কোন মূল্য নেই? পুরাণ-স্বই চরিত্রগুলো কি মানুষের উপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেনি ? ভেবে দেখুন তা হ’লেই বুঝতে পারবেন প্রকৃত নয়—কাল্পনিক চরিত্রই আমাদের মনের উপর স্থায়ী এবং সবচেয়ে বেশী প্রভাব বিস্তার করে। সব সময় সব দেশেই পুতোয়ার স্থায় কাল্পনিক চরিত্রই জাতিকে স্নেহ ও ঘূণা, আশা ও বিভীষিকার অনুপ্রাণিত করেছে। এরাই পূজা পেয়েছে—আইন ও আচার গড়ে তুলেছে। মসিয়ে গুবা একবার ভিন্ন ভিন্ন পুরাণের কথা ভাবুন । পুতোরাও পৌরাণিক চরিত্র। যদিও খুব অস্পষ্ট এবং খুবই সাধারণরকমের। হতভাগ্য পুতোয়াকে শিল্পী ও কবি ঘৃণা করতে পারেন, কারণ তাতে চোখ কলসে বাবার মত জাকজমকের সভাব। খুবই সাধারণ লোকের খেয়ালে তার জন্ম। সামান্ত লেখাপড়া-জান মামুষের মতে গড়া জী । যে রঙীন কল্পনায় উপন্যাস তৈরী হয় পুতোয়ার স্বষ্টি-কৰ্ত্তার সে কল্পনা-শক্তি ছিল না।---আপনাথের নিকট এখন বোধ করি পুঠোয়ীর চরিত্র অনেকটা স্পষ্ট হ’য়ে উঠেছে ?” জ্যামার্ভে বলে উঠলেন—"নিশ্চয়।” মসিয়ে বেগেরে বলতে লাগলেন—“উনিশ শতাব্দীর শেষভাগে স্যাৎওমেতে পুঠোয় জন্মেছিল। কয়েক শতাব্দী আগে আর্ডেনের জঙ্গলে জন্মালে রূপকথায় তার স্থান হ’ত ।” আশ্চৰ্য্য হ’য়ে জ্যামাৰ্ত্তে বললেন—“পুতেয়ো কি তবে একটা ভূত ?” মসিয়ে বেরজেরে বললেন—“কোন কোন বিষয়ে তার একটু শয়তানি ছিল –কিন্তু সব কাজে নয়। আমার মনে হয় পুতোয় সম্বন্ধে বড় অবিচার করা হয়েছে। শ্ৰীমতী কনুইয়ের মনে পুতেীয় সম্বন্ধে খারাপ ধারণাই বদ্ধমুল হয়েছিল। শ্ৰীমতী ভাবলেন বে আমার ম! ত মোটেই ধনী নন, কাজেই পুতোয়াকে বেশী মজুর দিতে পারেন না। নিজের মালীর বদলে শ্ৰীমতী যদি পুতোয়াকে কাজে লাগান তা হ’লে বেশ হয়। টাকার ত তার অভাব নেই ; কিন্তু অভাব না থাকৃলেই বা কি ?-খরচও ত কম নয় । এদিকে চারাগুলো টাটাবারও সময় এল বলে । শ্ৰীমতী ভাবতে লাগলেন বেরজেরে গিল্পী গরীব, কাজেই সে কম মজুরী দেয়, আমি ধনী, আমি আরও কম মজুরী দেব। কারণ এত নিয়মই য়ুয়েছে যে গল্পীবের চাইতে ধনীরাই মজুরী কম দেয়।--তার পর শ্ৰীমতী মানুনেত্রে দেখলেন তার চারাগাছগুলো ছ টা হ’য়ে মান আকার ধরেছে অথচ খুবই সন্তয়। মনে মনে তিনি বল্‌লেণ—‘পুতেয়াকে আমার জোগাড় করতেই হবে । ভবরের মতো চুরি করে কবে বেড়াতে আমি তাকে কিছুতেই দেব না । তাকে কাজে রাখলে আমার ক্ষতি ত নেই-ই বরং লাঙই বেশী । সময় সময় ওস্তাদূদের চাইতে দিন মজুররাই ভাল কাজ করে। একদিন তিনি মাকে বললেন —“দেখ বাছা, পুতোরাকে আমার ওখানে পাঠিয়ে দিও ত ; মপ্লোসিতে আমি তাকে কাজ দেব।" মাও রাজি হলেন । পারলে তিনি খুবই আগ্রন্থে পুতোয়াকে পাঠাতেন । কিন্তু সে যে অসম্ভব। জুমতী কনুইয়ে পুতোয়ার আশপথ চেয়ে রইলেন–কিন্তু সবই বৃথা। মুমতীর গে ছিল বড় ভয়ানক একবার ৰে গো ধৰ্বতেন তার শেষ না দেখে ছাড়তেন না। মার সঙ্গে আবার যখন