পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুলালী ছলের মেয়ে স্থলালী সাত বছর বয়স পৰ্য্যন্ত একরকম খেলে-ধুলেই মাস্থ্য হয়েছিল। হঠাৎ একদিন তাকে খেলাঘরের পালা সাঙ্গ করে', মূল-কাদা ঝেড়ে ঘোমটা টেনে দাড়াতেই হ’ল, কেননা ছ ক্রোশ দূর হতে চারের পিঠে ছুই বিয়াল্লিশ বছরের নন্দ ঘেসেড়া দু-দশ গও টাকা দর দিয়ে তার সঙ্গে দস্তুরমত দাম্প ক্য-প্রণয় উপভোগ করার আশায় তাদেরই দাওয়ার নীচে এসে হাজির । ছৱালীর বাপ বড় দুঃখী, তাই ভাবলে এ একটা দাও । স্বতরাং আর দেরী না করে একটা শুভদিন দেখে নন্দর হাতেই দুলালীকে দান করে ফেললে । জুলালী দু-দশজনের কাছ থেকে 'পাকা মাথায় সিদ্ধর পরবার আশীৰ্ব্বাদের দাবী পেয়ে দিব্য দোলায় চড়ে নম্বর সঙ্গে দুনিয়ার দোকান-দারি দেখতে দেখতে রওনা হ’ল । সে হ’ল আজ দশ বছরের কথা । বিয়ের পর বছরে বছরে দলে দলে ফুটে উঠতে উঠতে হঠাৎ যেদিন দুলালী পূর্ণ শতদলের মতন পরিস্কট হয়ে উঠল, সে দিন কিন্তু সে দেখলে সঙ্গীটি তাৰ পথচলার অনেকখানিই শেষ করে ফেলেছে।—আর তার ত সবে চলার স্বরু। কেমন ক'রে সে তার নাগাল ধরে তার সঙ্গে সঙ্গে ঠিক ঠিক পা ফেলে চলতে পাৰ্বৰে এভাবনাটা তার খুবই হয়েছিল। তাই বলে দুলালী যে তার সাজান-অৰ্ঘ্য দেবতার পায়ে তুলে দিতে কিছুমাত্র ইতস্তত করেছিল তা নয়। অনুষ্ঠানের তার ক্রটি ছিল না—উপহারেরও তার কিছু কম ছিল না, কিন্তু তার সে পুজা গ্রহণ করবার ক্ষমতা দেবতার ছিল কি না সে-কথা সে একবার মনেও আনত না। আপনার কাছে সে আপনি পূর্ণ। নিজের দেওয়াটুকু পুরামাত্রাতেই নিঃশেষিত করে আজ সে দেওয়ান । श्रीब्र नमा ? क°ांलग्न डांद्र cमश उहे भम, ऊाहे স্থলের ঘরে ছলালীর মত অনিৰ্যন্বন্দরী স্ত্রী-রত্ন পেয়েও श्रांछ cन त्रांनएन निब्रांनन्ध । ‘फूःथ-षांब्ध' क८ब्र' फूüी শাকায়ের জোগাড় করতে কবৃতেই জীবনে তার সন্ধ্য। এসে উপস্থিত। দুলালীর রূপের আলোর জলুষ যতই ফুটে উঠে, তার চোখের উপব একটা ঝাপসা পর্দা ততই যেন জেকে বসে। ভাঙা কুঁড়েখান যতই উজল হয়ে উঠে, দুলালীর রূপের মাধুরীতে আঁধার যেন ততই ঘনিয়ে উঠে তার বুকের কুঠরিতে। সে একদিন জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি। ছ'তিন মাস বৃষ্টি নেই, সকাল থেকে সাব পৰ্য্যন্ত ধরার বুকের উপর দিয়ে যেন আগুনের হলকা বয়ে যাচ্ছে। মাঠে ঘাস নেই, জমিতে চাষ নেই, বিলে জল নেই, গাছে ফল নেই— পাতাগুলোও আম্রে উঠেছে। নন্দ ঘেসেড়া জমিদার বাড়ীর ছটো জোড়ার ঘাস যোগায়, আর তাদের ঘসামাজাই তার কাজ। একটি জলের ধার ছাড়া ২৩ ক্রোশের মধ্যে আর ত কোথাও ঘাস খড় পাবার যো নেই। জলের ধারে জোলো ঘাস অল্প-স্বল্প কিছু যোগাড় হয় ; তাই দুলালীকে ছেড়ে এই দূরের পথে নন্দকে আসতেই হ’ত—দিনের আলো দুনিয়ার বুকের উপর আসবার একটু আগেই । সেই যে কাক-কোকিল ডাকৃবার আগেই একথান খুপি আর খান দুই ছাল হাতে করে তার বুকের লিঙ্গে_ জোর করে কুঁড়েয় খসিয়ে রেখে নন্দ ঘর ८च्छ्रंीझ श्’एव এসেছে—নাওয়া-খাওয়ার সময় গেল, ছপু কাটুল, বেলা পড়ে পড়ে ; তবুও তার দেখা নেই। দুলালীর দুপুর-বেলার রান্না ভাত হাড়িতে ঠাণ্ড জল হ’য়ে উঠেছে। সেই ষে লোকটা ভোরে উঠে বাসিমুখে বার হয়েছে এখনও তার নাওয়া-খাওয়া হ’ল না এই কথাটাই কেবল দুলালীর মনের মধ্যে কাটার মত বিধ ছিল। উন্মনাভাবে গালে হাত দিয়ে সে নিজের দাওয়ার উপরেই চুপটি করে বসে’ ছিল । সে যে স্ত্রী। সাজের বাতি ঘরে ঘরে জলে' উঠেছে। এতক্ষণে vరి)8