পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"שכמא প্রবাসী—জাষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১মখণ্ড নিদ্রা ভুলে গেছে সে—বিরাম নেই—বিশ্রাম নেই— শুধু অতীতের স্মৃতিটুকু বুকে নিয়ে আজ সে ঘুরে বেড়ায় প্রামের ঘাটে মাঠে—পথে-পথে । আকাশে ওখনও দু-একটা তারা মিটমিট করছে, দিকে দিকে অন্ধকার তখনও স্তরে স্তরে সাজান । রাত্রিশেষের স্নিগ্ধ হাওয়ায় নন্দর একটু তন্ত্রা এল । ঘন্টা-থানেক পরে পূজাবাড়ীর শানাইয়ের প্রভাতী রাগিণীতে তার তজ্ঞা ভেঙে গেল। চোখ চাইতেই ক্ষীণ দৃষ্টিতে দেশতে পেলে পায়ের উপর তার যেন একরাশ শিউলী ফুল। ভাল চাইতেই সে বুঝলে এত শেফালী নয় এ যে দুলালী !—তার খালি ঘরের রাণী ! আনন্দে-বিস্ময়ে সে চীৎকার করে উঠল—“দুলালী— দুলালী—সত্যিই তুই এলি ? আর পাগল করিসনে রে দুলু, সত্যিই বল দেখি তুই-ই কি আমার দুলাল ?" অশ্রীনিবন্ধস্বরে সে উত্তর দিলে—“ওগো আমিই সেই—আমিই ।” “কিন্তু গেলিই বা কেমন করে আর এলিই বা কেমন করে দুলু ?” “কেমন করে গেলাম ?—সে একটা দুঃস্বপ্ন, সব মনে নেই শুধু জানি কে এসে আমার গল টিপে নিয়ে গেল । আর এলাম যে কি করে তাও বুঝতে পাবৃছিনে। তবে তোমার পায়ের তলায়ই যখন এসে পড়েছি তখন জানছি সত্যিই এসেছি। কিন্তু আর নয় ওগো আর নয়। এ-কুটীরে থাকা আর আমাদের চলবে না। নরকের হাওয়া একবার বয়ে গেছে এর উপর দিয়ে—এখন যেন चान-कक হয়ে আসছে। চল, আজ তোমার হাত ধরে’ বার হয়ে পড়ি ।” “কিন্তু কোথায় যাবি লাল ?” দুলালী আবেগভরেই বলে উঠল, “যাব ?—কেন দেবতার রাজ্যের পবিত্রতার মাঝখানে, যেখানে পুণ্যের হাওয়া বয় ।” “তবে চল দুলালী আমাদের সময় এসেছে।” o wo Q Qo গ্রামের পথ বেয়ে চলেছে আজ এক বৃদ্ধ আর তার যষ্টিধারিণী। বিস্ময়ে অবাক হয়ে লোকে চেয়ে; দেখলে নন্দ আর দুলালী। জমিদারের নূতন পাইক এসে জিজ্ঞাসা কবুলে—“কে গে। তোমরা” ? নন্দ হেসে উত্তর দিলে, “গ্রামের ভিখারী” । কথাটা জমিদারের কানে পৌছল “গ্রামের স্ত্রী” । বাইরে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “কোথায় যাবে তোমরা” ? তেমনি হেসেই নন্দ উত্তর দিলে, “পুজো দিতে” । উদ্বিগ্নভাবে জমিদাব বললেন, “কেন—এখানে”। ঘোমটা খুলেই দুলালী উত্তর দিলে, “কাকে পূজো দেব ? মাটির পুতুলের ত এ পূজে নেবার ক্ষমতা নেই”। জমিদার চেয়ে দেখলেন প্রতিমা আজ তার সত্যিই মাটির পুতুল। উচ্চকণ্ঠে ভাক দিয়ে বললেন, “ফিরে আয় ফিরে আয় মা” । দেবীর মতনই দীপ্তি ছড়িয়ে দুলালী হেসে বললে, “বাইরে থেকে যে আজ ডাক এসেছে, বাবা”। ঐ দুর্গাপদ চট্টোপাধ্যায় جseon-جیحی-تحتی ع চোখের দেখা চোখের চাওয়া ধন্ত হ’ল তোমায় দেখে, মনটি আমার পথেব ধারে এলেম রেখে ; ধূলির পরে যেথায় তোমার চরণ-রেখা, লুব্ধ মানস ব্যাকুল হ’য়ে ঘুরছে একা ; স্মরণ-পটে আভাসখানি বাখছে একে, চোখের চাওয়া ধন্ত হ’ল তোমায় দেখে । হয়ত দেখা হবে না আর তোমার সনে, চলতে পথে হঠাৎ তবু পড়বে মনে ; একটু ব্যথা একটু প্রতি নিরাশ-ভরা জাগবে মনে একটি নিমেষ র্কাপন-ধরা ; বয়ে যাবে তোমার স্মৃতির আবেশ মেখে, চোখের চাওয়া ধন্থ হ’ল তোমায় দেখে’ । ঐ পরেশনাথ চৌধুরী