পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] নবশিক্ষা vరిరి চেষ্টাই চলেছে। রুশোর এমিল গ্রন্থে আমরা এলক্ষণ পেয়েছি, তাতে শিক্ষণীয় বিষয়ের চেয়ে ছাত্র বেশী যত্ব পেয়েছে। ১৭৬২ খৃষ্টাব্দ থেকে আজ পর্য্যস্ত এই চিন্তাধারাই শিক্ষা-জগতের অস্তরে যে-স্বর জাগিয়ে রেখেছে বৰ্ত্তমান শিক্ষার ঝোক তারই সঙ্গে তাল রেখে চলেছে, অথচ এতদিন পৰ্য্যন্ত শিক্ষ-ব্যবসায়ীর জাগ্রত দৃষ্টি এদিকে আকৃষ্ট হয়নি। সম্প্রতি এই কোকের একটা নামকরণ প্রয়োজন হয়েছে। মিঃ জি, ট্যানলি হল এই পরিবর্তিত প্রণালীর নাম frr:FR paidocentric অর্থাৎ ছাত্র-কেন্দ্রিক । ছাত্রকে কেন্দ্র করে বর্তমানে যে-সব প্রণালীর উদ্ভব হয়েছে ইতালীর মস্তেসরী প্রণালীই তন্মধ্যে সৰ্ব্বজনবিদিত। ছাত্রকে ভাল ক’রে দেখা যাবে বলে এই প্রণালী শিক্ষার সহায়ক যন্ত্রপাতি (apparatus) RTEi “T: সব কিছুকে জঞ্জাল ব’লে বাদ দিলে। - সে আশ্রমে সব কিছুর অস্তিত্ব ছাত্রের মুখাপেক্ষী—শিক্ষকও বাদ যাননি —পাছে শিক্ষক দৃষ্টির অন্তর্গত হয়ে মুখ্য হয়ে পড়েন ও ছাত্রকে আড়াল করেন তাই সযত্বে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুল-রঙ্গমঞ্চে ছাত্রই প্রধান অভিনেতা। তার প্রয়োজনের তাবেদারী করবার জন্তে সৰ্ব্বদা শিক্ষককে নেপথ্যে থাকৃতে হবে । ড্যান্টন প্রণালী শিক্ষককে এক পাশে ক’রে দাড়াতে অনুরোধ করেছে, যাতে ছেলে-মেয়ে নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নিজেদের মনের TER zets x Rt: Ffé it ! Intelligence Tests (বুদ্ধি-পরীক্ষা) প্রভৃতিতে কেন্দ্র হচ্ছে ছাত্র। পরিদর্শনাত্মক শিক্ষাবিধির লক্ষ্য ও প্রণালী তাই, ছাত্রের প্রয়োজন-অনুযায়ী যন্ত্রকে গ’ড়ে তোলাই গ্যারীর প্রণালীর উদ্দেশু—ছাত্রের প্রয়োজন-সিদ্ধিই একমাত্র লক্ষ্য। The play way (খেলাচ্ছলে শিক্ষণ) ছাত্রের স্বাভাবিক বিকাশ সাধনের জন্যই অস্তিত্ব লাভ করেছে ; এবং project methodএ শিক্ষক ও বিষয় ছাত্রের খেয়ালখুনীর কাছে আত্ম-নিবেদন ক’রে পরস্পরের উদ্বেগুকে সার্থক করবার চেষ্টা করছে। উপরি-উক্ত পদ্ধতিগুলির বিশিষ্ট আলোচনায় vi# paidocentricisma# scsề *RId মিলবে এবং এপথ যে ভুল পথ নয় তা স্পষ্টই প্রতিভাত হবে। যুরোপ ও মার্কিনে শিশুর প্রতি এই কৰ্ত্তব্য-বুদ্ধির আবির্ভাব আকস্মিক না হ’লেও বৰ্ত্তমান শতাবীকে বিশেষ ক'রে “শিশুর শতাব্দী” বলা একটা কেত হ’য়ে উঠেছে । কিন্তু শুধু শিশু নয়, নারী ও আৰ্ত্তও এই কৰ্ত্তব্য-বুদ্ধির ভাগ পেয়েছে, এবং সেই-সমস্ত লোক যার সমাজের উপর কোন দাবী খাটাতে পারে না—যত অযোগ্য অশক্ত নীচ ও স্বণ্য সবাই—আজ সাম্নে এসে গেছে, বৰ্ত্তমানের চিন্তাধারা ও নানা প্রতিষ্ঠানই তার প্রমাণ ; মানুষের চিরন্তন একরোখা ঝোক অমুসারে চলার ফলে যোগ্যের দাবী যে বহু ক্ষেত্রে খৰ্ব্ব হয়েছে একথা বললেও অত্যুক্তি হবে না । স্বস্থ সবল শিশুর চেয়ে দেহমনে অস্বস্থ শিশুর জন্তে যে-সব স্বচারু বন্দোবস্তের কথা আমরা শুনতে পাই, উন্মাদ ও অপরাধীর জন্তে পণ্ডিতজনের যে ব্যস্ততা লক্ষ্য করি তার মধ্যে মাত্রাধিক্য থাকৃলেও আমাদের এই কৰ্ত্তবাবুদ্ধি যে স্বফল প্রসব করেছে একথা অস্বীকার করা যায় না। মনস্তত্ত্ব ও শিশুতত্ত্ব প্রভৃতির অনুশীলনে, শিশুরক্ষা ও শিশুশিক্ষার নানাবিধ চেষ্টায় একখা সম্প্রমাণ হয় যে, এতদিনের অবজ্ঞাত শিশু আজ তার স্তায্য অধিকার লাভ করেছে এবং তার ফলে দেশ ও সমাজ লাভবান হয়েছে। সমালোচক মাত্রেই লক্ষ্য করেছেন যে, প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতি একটা জোড়াতালির কারবার । ছাত্রেরা এমন অনেক বিষয় শেখে যার মধ্যে পরস্পর সম্বন্ধের যোগ-স্বত্রের পরিচয় তারা কোনদিনই পায় না। সারাদিন স্থলের কারখানায় যে-সব বিষয়ের তার চর্চা করে তাদের পরস্পরের মধ্যে কোন যোগ থাকৃতে পারে, শিক্ষক বা ছাত্র কারো মাথায় এ সম্ভাবনার কথা আজ পর্য্যস্ত প্রবেশ করেনি। অনেকে এই উদ্দেশ্যে শিক্ষণীয় বিষয়ের ভিতরকার ঐক্য পরিস্ফুট ক’রে curriculum ( পাঠ্য-তালিকা ) তৈরী করা প্রয়োজন বিবেচনা করেন, কিন্তু কেবলমাত্র পাঠ্য পরিবর্তনে স্বফলের আশা করা বিড়ম্বনা। প্রকৃত সমস্ত তা নয়— পরিবর্তন প্রয়োজন সমস্ত শিক্ষাপদ্ধতিতেই—শিক্ষক ও বিষয়ের সঙ্গে ছাত্রের মানসিক গতি ও বুদ্ধিবৃত্তির সম্যক যোগসাধনের ঐক্যসূত্র আবিষ্কারই এ সমস্ত সমাধানের