পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిలిషి প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড একমাত্র উপায়। এ সমাধান জোড়া-তালিতে সম্ভবপর তার প্রয়োজনীয়তা কোন দিনই কমবে না। কৰ্ম্মক্ষেত্রে হবে না—আমূল পরিবর্তনেই তা সার্থক হতে পারে, কারণ প্রচলিত শিক্ষা-প্রণালীতে শিক্ষার অভাব যথেষ্ট, নবশিক্ষার উদ্যোগীগণের ইহাই মত। নবশিক্ষার নানা প্রণালীর মধ্যে এই যোগস্থত্রটি আবিষ্কারের চেষ্টা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। শিক্ষা যে কেবলমাত্র একটা বাইরের জিনিষ নয়, স্কুলের চার দেওয়ালের মধ্যেই যে তার অস্তিত্বের সীমানা নয়, বাস্তব জীবনের সঙ্গে শিক্ষণীয় বিষয়ের সাদৃত ও সাযুজ্য দেখিয়ে, বাইরের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারের সঙ্গে স্কুলের জীবনের সঙ্গতি রেথে শিক্ষার অন্তরঙ্গতা প্রমাণের চেষ্টা চলছে। একদিকে যেমন বৰ্ত্তমান শিক্ষার খণ্ডতার উপরে অসন্তোষ জমা হয়ে উঠছে অন্যদিকে তেমূনি বহুতর নতুন প্রণালীর সাহায্যে উন্নতির আশ। দেশবিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে । প্রচলিত শিক্ষ-পদ্ধতিতে উন্নতির অন্তরায় প্রচুর। বাইরের পরীক্ষা আজও সঙ্কটের রুদ্র-মূৰ্ত্তিতে স্কুল-জগতের ভীতি উৎপাদন করছে। পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেক এবং এটা যে নিছক মন্দ তা কেউই বলেন না ; কিন্তু তার নিজের স্থানে তাকে রাখা দরকার—শিক্ষার পরীক্ষণ একদিনে কিছু করা যায় না, ছাত্রের ভবিষ্যৎ জীবনেই তার ফলাফল লক্ষিত হয়, এবং সে বিচারও যে খুব পক্ষপাত-শূন্তভাবে করা চলে এমন কোন কথা নেই—কাজেই পরীক্ষাকে দাবিয়ে শিক্ষণীয় বিষয়ের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়াই বুদ্ধিমানের কার্য্য। পরীক্ষাকে সঙ্কটের বদলে সহায় করে তোলবার জন্যে অনেকে পরিদর্শনের যুক্তিযুক্ত তার আলোচনা করেছেন । শিক্ষিত ছাত্রকে বর্তমানে প্রচলিত প্রণালী অনুসারে না ক’রে শিক্ষণীয় বিষয় ও শিক্ষাদান-প্রণালীর ভিতরকার বস্তুটি নিভুল কি না তারই পরীক্ষা প্রয়োজন । ছাত্রের উপরে সমাজের যে দাবী শিক্ষা-প্রণালীর মধ্যে তা মেটাবার কোন যোগ্য আয়োজন আছে কি না এবং তা উপযুক্তভাবে প্রযুক্ত হচ্ছে কি না, এবিষয়ে অপক্ষপাত পরিদর্শনই স্বফল প্রসব করবে। পরীক্ষা যে একেবারে লোপ পাবে এ কথা সত্য নয়, কারণ নিৰ্ব্বাচন-ক্ষেত্রে বিভিন্ন বৃত্তি বা পেশার উপযোগী পরীক্ষা থাকৃবে এবং অর্জন-প্রয়াসীকে তা থেকে উত্তীর্ণ হ’তে হবে—স্কুলে। সাধারণ শিক্ষা শেষ ক'রে কার্য্যক্ষেত্রে এরকম পরীক্ষার জন্তে সাহায্য করবার মতন বিদ্যালয়ও গড়ে তোলা বিশেষ কষ্টকর হবে না। প্রচলিত সংস্কারের উপরে শিক্ষকের টান নবশিক্ষার আর-এক অন্তরায় । নব-নব প্রণালীর আবির্ভাবের মধ্যে পুরাতনপন্থী শিক্ষকের ছাত্রের স্বাধীনতায় উচ্ছ স্থলতার বীজ দেখতে পেয়েছেন, বিষয়ের চেয়ে শিক্ষকের চেয়ে ছাত্রের প্রাধান্ত যে বিদ্রোহ-স্বচক একথা বলতে র্তার দ্বিধা বোধ করেননি, অর্থাৎ জীবনের প্রতিক্ষেত্রে উন্নতিশীল দলের প্রতিসংপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে পুরাতনপন্থীদের সাধারণ ও সনাতন বিরোধের কোন অভাব হয়নি । তবে এবিরোধের মধ্যে উগ্রত নেই—এতদিনের অচলয়ুতনের দেওয়াল একে একে যতই স্বাধীনতার মন্ত্র-সাধনের ফলে ভেঙে ভেঙে পড়ছে ততই শিক্ষকের দল চকিত ও ভীত হয়ে উঠলেন। সবচেয়ে বড় আশার কথা এই যে, নব্যপন্থীরা প্রায় সবাই শিক্ষক, কাজেই প্রাচীন দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-ঘোষণা না করে তারা সমব্যবসায়ীদের ভ্রম অপনোদনের ও নব্য প্রতিষ্ঠানে আস্থা উৎপাদনের চেষ্টা করেছেন । র্তারা যে সফলকাম হয়েছেন ও নব্য প্রণালীকে বিশ্বাস স্থাপনের যোগ্য করে তুলেছেন, তৎসম্বন্ধীয় তত্ত্ব ও তথ্য আলোচনায় তা স্পষ্টই প্রতীয়মান হবে । পুরাতন পদ্ধতির উচ্ছেদসাধন ক’রে নতুন প্রণালী কি গড়ে তুলতে চায় কোন নব্য স্কুলের বিজ্ঞাপনীতে তার যথেষ্ট আভাস আছে—“যেহেতু সাধারণ স্কুলে আমাদের ছেলেমেয়ের স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা যথেষ্ট, আমাদের চেষ্টা হবে তাদের দেহকে স্বস্থ-সবল ক’রে গড়ে তুলতে, যেহেতু বর্তমান শিক্ষাযন্ত্র ছাত্রছাত্রীর দেহমন এমন কি আত্মাকে পৰ্য্যস্ত খর্ব ও পঙ্গু ক’রে তুলে সৰ্ব্ব-বিষয়ে তার প্রসার-বৃদ্ধিই হবে আমাদের সাধনা ; যেহেতু পুরাতন পদ্ধতি অনুসারে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও বিদ্বেষ-বুদ্ধিতে সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রত্যেককে সকলের জন্তে পরিশ্রম করতে ও সহযোগিতার কার্য্য