পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*මාළුSෂ ۔ -ہی۔ ہیم--ع ۔۔ ۔ ۔۔۔۔۔عا م س -۔ - -------عحا۔عمر কালে পর্দাটা যদি এক মিনিটের জন্ত, শুধু এক সেকেণ্ডের জন্তও খসে' পড়ে, যদি বিদ্যুতের মতও তার মুখ একবার আমি দেখতে পাই, তাহলে আমি কত স্বর্থী হই —জীবনের অবশিষ্ট দিনের জন্ত আমি তাহ’লে গৰ্ব্ব অনুভব করতে পারি। এবার এডমণ্ড, আমার দর্পণ হতে পারবেন না। তিনি যতই বলুন না কেন, আমার বাছটির চুল বেশ কোকৃড়া-কেঁকুড়া, চোখ, দুটি বেশ জ্বল-জ্বলে, তার হাসিটি বড় মিষ্টি—তাতে আমার কি হবে ? যথন রাছাটি আমার দিকে হাত বাড়ায় তখন ত আমি তাকে দেখতে পাইনে ? ৭ পত্র আমার স্বামী দেবতা । জানে, তিনি কি করেছেন ? গত বৎসর আমার জন্ত যে কত কি করেছেন তা আমি জানতেও পারিনি। তিনি আমার চোখ ভাল করতে চান--আর তাঁর ডাক্তার তিনি নিজেই! তার ডাক্তারি কাজটা ভাল লাগে না, তবু শুধু আমার জন্যই ডাক্তারের ব্যবসাটা শিখেছেন। কাল আমাকে তিনি বললেন —“প্ৰাণেশ্বরী ! জন আমি কি আশা করছি ?” "এ-কি সম্ভব ?” “ই, গাত্ৰচৰ্ম্ম সুন্দব করবার জন্য যে ঔষধের জল তোমার ব্যবহারের জঙ্ক দিয়েছিলেম, সে একটা অছিলে মাত্র—আসলে, এটা হচ্ছে আর একটা গুরুতর ব্যাপারের পূর্বায়োজন ” “সে ব্যাপারটা কি ?” “সেটা হচ্ছে চোথের ছানি সরিানে৷ ” “তোমার হাত কি কাপ বে না ?” “ন ; যখন আমার হৃদয় ঠিক্‌ আছে, তখন আমার হাতও ঠিক্‌ থাকবে ।” আমি উাকে চুম্বন করে বল্‌লেম –তুমি মামুখ নও, তুমি দয়াময় দেবতা ।” তিনি বললেন –“আঃ! আর একবার আমাকে চুম্বন করে। প্রিয়তমে। আমাকে এই ক্ষণিকের বিভ্রম উপভোগ করতে দাও।” “একথার অর্থ কি, এড মও ?” “অর্থাৎ ঈশ্বরের আশীৰ্ব্বাদে শীঘ্রই তোমার চোখ ভাল হবে” । “তার পরে—?” : "তার পর, আমি যেমনটি ঠিক্ আমাকে সেইরকম দেখতে পালে —বেঁটে, নগণ্য, ও কুৎসিত ।" এই কথাগুলিতে, আমার অন্ধকারের ভিতর দিয়ে যেন একট। আলোর ছটা বের হল । আমার কল্পনা মশালের মতো জ্বলতে লাগল। আমি দাড়িয়ে উঠ" বললেম ;– “এডমণ্ড, প্রিয়তম, আমার প্রেমের উপর যদি তোমার বিশ্বাস ন৷ থাকে, ধদি তুমি মনে কয়, তোমকে যেরকমই দেখতে হোক না কেন আমি তোমার স্বেচ্ছা-দাসী নই,তাহলে আমার গন্ধকারের মধ্যে, আমার চিররাত্রির মধ্যেই আমাকে রেখে দাও।” তিনি কোন উত্তর দিলেন না, কেবল আমার হাতটা একটু টিপে ধরলেন । আমার মা বলেছিলেন ছানি-কাটার কাজটা একমাসের মধ্যে আরম্ভ হতে পারে । অমর স্বামীর যে বর্ণনা শুনেছিলেম, সে-সব কথা আমার পাবার মনে পড়ল। মা বলেছিলেন, তার মুখে বসন্তের দাগ আছে ; বাবা বলেছিলেন, উীর চুল খুব পাতলা । আমাদের বী বলেছিলেন, বড়ো । r R বসস্কের দাগ হওয়া সে যে একটা দুর্ঘটনার কথা। লাভাটরের মতে টাক্ থাকা ত একটা বুদ্ধির লক্ষণ। তবে বুড়ে হওয়া একটা প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ * [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড দুঃখের বিষয় বটে। তার পর বদি দুর্ভাগ্যক্রমে আমার আগে তার মৃত্যু হয়—ত হ’লে আমার ভালবাসার দিন সংক্ষেপ হবে । ভাই জানাই, পরীকেতাবের গল্পটি তোমার মনে আছে ? আমার সেই গল্পের “সুন্দরী ও পশু"র অবস্থা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন বাছুমন্ত্রের স্বারা রূপাস্তুর হবারও উপায় নেই। আপাতত:, ভাই আনাই, আমার জস্ত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে । কে জানে, ঈশ্বরের আশীৰ্ব্বাদে হয়ত আমি একদিন তোমার চিঠিগুলি পড়তে পাব ! শেষপত্র দেখ ভাই আনাই,আমার চিঠির গোড়ার দিক্‌টা না দেখে শেষ দিকূট দেখে না । যেমন যেমন পরে পরে হয়েছে সেই স্বাভাবিক ক্রম অনুসারে তুমি আমার দুঃখের আমার ঘটনা-বিপৰ্য্যয়ের, আমার আনন্দের ভাগ লও । দু হস্ত হ’ল, আমার ছানি কাটা হয়ে গেছে । আমি দু বার খুব চীৎকার করে’ উঠেছিলুম। তার পর আমার মনে হ’ল যেন আমি দিন, আলো, রং, স্বৰ্য্য দেখতে পাচ্ছি। তখনই আবার একটা পটি আমার চোখের উপর বসিয়ে দেওয়া হ’ল। আমি সেরে উঠলেম । কেবল একটু সহ করে থাকা, আর একটু সাহসের দরকার। এডমও আমার জীবনকে আবার মধুময় করে তুলেছেন । কিন্তু একটা কথা কবুল করব কি ? আমি একটা নিবুদ্ধিতার কাজ করেছিলেম । আমি আমার ডাক্তারের কথার অবাধ্য হয়েছিলেম । তিনি তা জানতে পারবেন না। তা ছাড়া, আমার এই গোয়ার্টুমি থেকে এখন আর কোন বিপদের আশঙ্কা নেই। চুমে থাবার জন্ত খুকীকে বী আমার কাছে এনেছিল। খুকী বীর কোলে ছিল। পুটুমণি খুব নরমগলায় বললে—“মা” ; তখন আমি আর থাকৃতে পাৰ্বলেম না, পটিটা ছিড়ে ফেললেন । আর বলে উঠলেম — “আমার পুটুমণি ! আহ! কি স্বন্দর । এই যে, আমার পুটুকে দেপতে পাচ্ছি—দেখতে পাচ্ছি।” বী আবার আমীর পটিটা চোখে বেঁধে দিলে। কিন্তু এই অন্ধকারের মধে আমি এখন আর একলা নই। পুটুর মুখখনি মনে পড়তে লগ ল আজ সব যেন তালে৷ হ’য়ে উঠল । কাল ম আমাকে কাপড় পরিয়ে দিতে এসেছিলেন। অনেকক্ষণ ধ’রে আমার সাজ-সজ্জা চলছিল। আমি একখানা রেশমী কাপড় পরেছিলেম একটা চিকনের কাজ-করী “কলার” পরেছিলেম, আর হল ফ্যাশানের ধরণে চুল বেঁধেছিলাম। আমার সমস্ত সাজ গেজ যখন শেষ হ’ল তখন না আমাকে বললেন -- “পটট খুলে ফ্যালু।” আমি বাধা খুলে ফেললেম। যদিও সেই সময় ঘরের ভিতর একটু গোধূলি আলে জার্সছিল, তবু আমার মনে হ’ল এমন স্বন্দর আর কিছুই দেখিনি। আমার মাকে আমার বাবাকে, আমার পুটুকে বুকে চেপে ধরূলেম । বাবা বললেন – “নিজেকে ছাড়া তুই আর সকলকেই দেখতে পেয়েছিস।” আমি বলে উঠলেম — “আর আমার স্বামী ? কোথায় আমার স্বামী ?” আমার মা বললেন, “তিনি লুকিয়ে আছেন।” তখন আমার মনে পড়ল; উীর কুৎসিত চেহারার কথা, তার পরিচ্ছদের কথা, তার টাকের কথা, তার বসন্তের দাগে-ভরা মুখের কথা । আমি বললেম — “বেচারী এডমণ্ড, তিনি আইন না আমার কাছে, আমার চোখে তিনি কন্দপের চেয়েও স্বন্দর।” মা উত্তর করলেন –