পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যn ] AASAASAASAASAASAASAASAASAAAS যাহারা চাষ-আবাদে জীবন ধারণ করে, তাহাদের “স্বধৰ্ম্ম” অর্থাৎ রীতিনীতি লেনদেন শাসন-শোষণ–একপ্রকার। আবার যাহারা জানোয়ার চরাইয়া সভ্যতা গড়িয়া তুলে তাহাদের ধরণ-ধারণ “আত্মিক” জীবনও আর একপ্রকার ! সেইরূপ যাহারা রোজ আনে রোজ খায় তাহারা বিশ্বশক্তিকে এক চোখে দেখে। আবার যাহারা যে জিনিষ তৈয়ারী করে সেই জিনিষ খায় না, সেইগুলার বদলে বাজার হইতে আর-একপ্রকার জিনিষ “কিনিয়া” আনিয়া খায়, আবার কিছু-কিছু জমাইয়াও রাখে তাহাদের নিত্যকৰ্ম্ম-পদ্ধতি, তাহদের দর্শন, তাহাদের জীবন-সমালোচনা, তাহাদের বিশ্বদৃষ্টি ( হোণ্টানশাউঙ ) অন্তবিধ । আবার চাষ-আবাদের ফলে বা আওতায় যে বিবাহপদ্ধতি, যে শিল্পকলা, যে ভগবস্তুক্তি দেখা দেয় অন্য কোনোপ্রকার ধনস্থষ্টির ফলে বা আওতায় ঠিক সেইরূপভাবে এইসব না গজাইতেও পারে। শিল্পকৰ্ম্ম হাতের জোরে চলিলে একধরণের পারিবারিক ও সামাজিক নীতিশাস্ত্র গড়িয়া উঠে। কিন্তু সেই শিল্পই যন্ত্রের দ্বারা চালিত হইলে দর্শন, সাহিত্য, স্বকুমার শিল্প, ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের সম্বন্ধ, রাজার সঙ্গে প্রজার সম্বন্ধ, সবই নবরূপে দেখা দেয়। পল্লীস্বরাজ নামক সমাজ-শাসন ব। রাষ্ট্রশাসন ধে-ধরণের কৃষিশিল্প বাণিজ্যের প্রতিমূৰ্ত্তি নগরকেন্দ্র ঠিক সেইরূপ আর্থিক ব্যবস্থার সস্তান নয় ; ত্যাদি ইত্যাদি । ( ১৬ ) এইসকল বিভিন্নত ও পার্থক্যের ভিতর জগতে উত্তর-দক্ষিণ পূৰ্ব্ব-পশ্চিম কোন ভেদ নাই। সাদা চামড়া, লাল চামড়া, কাল চামড়া, হলদে চামড়ার প্রভেদও নাই। ধনোৎপাদনের প্রণালী দুনিয়ার যত জায়গায় এবং যত যুগে একপ্রকার, ধৰ্ম্ম, সমাজ, রাষ্ট্র ইত্যাদি মানব-সভ্যতার অভিব্যক্তিগুলা তত জায়গায় এবং তত যুগে একজাতীয় সমশ্রেণীভুক্ত প্রতিষ্ঠান । বাষ্প-চালিত শিল্প-বাণিজ্যের যুগারম্ভ পৰ্য্যন্ত কি এশিয়া, কি ইয়োরামেরিকা সকল ভূখণ্ডের মানবজাতিই এক “আদর্শে” চলিয়াছে। ইয়োরামেরিক বর্তমান কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিশ এঙ্গেলস, S86. জগৎ স্বষ্টি করিয়াছে হাতের জোরে এবং মাথার জোরে । এই স্বষ্টিকাৰ্য্যে এশিয়া এক কাচ্চাও সাহায্য করিতে পারে নাই। এই যুগে এশিয়াবাসীর মগজ পচিয়া গিয়াছিল। কিন্তু বৰ্ত্তমান জগৎ সৃষ্ট হইবামাত্র ইয়োরামেরিকা প্রায় ষোল আনাই বদলাইয়া গিয়াছে। এই জন্যই এশিয়ার নরনারী ইয়োরামেরিকানদিগকে কোনো মতেই চিনিয়া উঠিতে পারিতেছে না। তবে ইয়োরামেরিকার আবিষ্কৃত বর্তমান জগৎটা এশিয়ায়ও আসিয়া হাজির হইয়াছে। চীন, জাপান, ভারত, পারস্য, মিশর, তুরস্ক ইত্যাদি দেশের যেখানে যতথানি এই বৰ্ত্তমান জগতের প্রভাব দেখা যায় সেইখানে ততখানি এশিয়ান নরনারী ইয়োরামেরিকানদের “মাসতুত ভাইয়ের মতনই চলা-ফেরা করিয়া থাকে। ষ্টীম এঞ্জিন হইতে বোলশেভিজম পৰ্য্যন্ত বর্তমান জগতের সকল “সমস্যাই” আজ খাটি প্রাচ্য স্বদেশী মাল । ( * ) মার্কস এঙ্গেলস প্রচারিত স্বতঃসিদ্ধগুলা অন্যান্য বিজ্ঞানের স্বতঃসিদ্ধসমূহেরই অনুরূপ। প্রত্যেক স্বতঃসিদ্ধেরই সীমানা আছে । আজকালকার বিজ্ঞানজগতে আইন্‌ষ্টাইনের "রেলেটিহিটি” বা আপেক্ষিকতা দিগ বিজয় লাভ করিয়াছে, আইনষ্টাইনের তত্ত্বটা যদিও বুঝি না তাহাব বোলট ব্যবহার করিতে ভয় পাইতেছি ন। এই পারিভাষিক হিসাবে বলিতে চাই যে, আর্থিক ব্যাখ্যা-প্রণালীর স্বতঃসিদ্ধগুলা”রেলেটিহ্ন অর্থাৎ আপেক্ষিক । o মার্কস-এঙ্গেলসের কট্রর সেবকের অবগু এইসকল স্বত্রের আপেক্ষিকতা স্বীকার করিতে প্রস্তুত নন। ইহারা একবগ্গা লোক, অদ্বৈতবাদী মোনিষ্টিক। কিন্তু বৰ্ত্তমান লেখক মানবজীবনকে কোনো এক খুটার খাড়াভাবে দেখিতে বুঝিতে বা ব্যাখ্যা করিতে অপারগ। এক সঙ্গে বহু শক্তি জীবনকে পুষ্ট করিতেছে। এই বহুত্বের ভিতর আর্থিক মেরুদণ্ড, শারীরিক কাঠাম, শরীরের শক্তিযোগ, রক্তমাংসের স্বধৰ্ম্ম, সংগ্রামধৰ্ম্মের স্বাস্থ্যভিত্তি, “দেহাত্মকবুদ্ধির” বস্তুতন্ত্র ইত্যাদি সম্পর্কিত শক্তিগুলার ইজ খুব বড়। জগতের পণ্ডিতেরা ভৌতিক ধূর্শ্বের ইজদ AASAASAA AAAASAAAA