পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م3b (یا ময়ূরভঞ্জ ময়ূরভঞ্জ উড়িষ্যার করদরাজ্যের মধ্যে একটা প্রধান রাজ্য। এটি উড়িষ্যার মধ্যে হ’লেও এখানে বাঙালীর প্রভাব কম নয়। কিছুদিন আগে এখানকার দেওয়ান ছিলেন স্ত্রী মোহিনীমোহন ধর, এবং এখানকার বার্ষিক রিপোর্টও বাংলায় লেখা হত। এখনও বাঙালী-কৰ্ম্মচারীর সংখ্যা কম নয়। বর্তমান রাজধানী বারিপাদাতে বড় জগন্নাথের মন্দির একটি দর্শনীয় জিনিষ। এটির বিশেষত্ব এই যে এটি পুরীর জগন্নাথের মন্দিরের ওমুকরণে নিৰ্ম্মিত ও এখানে বৈষ্ণব-মূৰ্ত্তি ছাড়া জৈন ও বৌদ্ধমূৰ্ত্তিও আছে । এখানকার নাট-মন্দিরের প্রাচীরের গায়ে উড়িয়া চিত্রকররা নানা-রকম ছবি এ কে? রেখেছে। তার মধ্যে একটি ছবির বিধয়—দশ অবতার,—আর-সব অবতারের ছবি ঠিক আছে, কেবল নবম অবতার বুদ্ধদেবের স্থানে জগন্নাথ, বলরাম আর স্বভদ্র অণকা রয়েছে । আমি এটা দেখে একটু বিস্মিত হয়েছিলুম, জিজ্ঞাসা করলুম, এর মানে কি ? সেখানকার পুজারী বললে—জগন্নাথই বুদ্ধদেব কিনা, তাই ওখানে জগন্নাথ গীকা রয়েছে। পথে করলুজিয়া বলে একটি সহরে (রাজধানী থেকে ৭২ মাইল দূরে) আমরা একটি বৌদ্ধ-তারা মূৰ্ত্তি দেখেছিলাম। লোকে , সেটাকে “বাশুলী” বলে পূজা করে। এখান থেকে আর-একটি মঞ্জুশ্ৰী মুষ্টি রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেটি এখন বারিপাদ লাইব্রেরীতে অtাছে । সেখান থেকে আমরা খিচিং বলে এক গ্রামে আসি। এটিই হ’ল আমাদের কার্য্যক্ষেত্র। রাজধানী থেকে এটি ১•• মাইল দূরে, এর খুব কাছের রেলওয়ে ষ্টেশন ৫• দুরে, পোষ্ট আফিসও ১• মাইল দূরে। এমন জায়গায় আমাদের ভাঙ্গু ময়ূরভঞ্জের মহারাজা শ্ৰীযুক্ত চন্দ মহাশয়কে নিমন্ত্রণ করে’ এনেছেন এখানকার প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ খনন কায্যের জন্ত । এ-গ্রামের চারিদিক্‌ ঘুরে আমরা বুঝলাম যে এককালে এটি একটি সমৃদ্ধ সহর ছিল। এইটিই ময়ূরভঞ্জের প্রাচীন ভঞ্জরাজগণের রাজধানী ছিল। তাম্রশাসনে এর নাম—খিজ্জিংঙ্গপট্ট। এর উত্তরে ভও৭ নদী, দক্ষিণে কণ্টাখয়ের নদী, আর পশ্চিমে বৈতরণী । এর নানাদিকে নানামন্দির ও গড়ের ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান। আমরা সেখানে পৌঁছে চারিদিক প্রদক্ষিণ করতে বেরলাম। এখানকার প্রধান মন্দির হচ্ছে-ঠাকুরাণীর মন্দির, যার ধ্বংসাবশেষ আমাদের খনন করতে হবে। এরই কিছু দক্ষিণে “চাউল কুঞ্জি” ; সেটিকে লোকে ভীমের বাড়ী বলে। সেখানে খুব:স্বন্দর কারুকার্য্য-করা স্তম্ভ এখনও পড়ে' রয়েছে। সেখানে সম্ভবতঃ একটি মন্দির ছিল। তার কিছু পশ্চিমে কীচকরাজার গড় আছে। এখন সেটি জঙ্গলে পুর্ণ, তবে সেখানে যে ২৩টি মন্দির ছিল তার প্রমাণ পাওয়া বায়। সেখান থেকে প্রায় এক মাইল দূরে কন্টাখয়ের নদীর তীরে “শখুর রাজার মন্দির" ছিল। যখন ইনগেন্দ্রনাথ বন্ধ মহাশয় ময়ূরভঞ্জে প্রত্নতত্ত্বের অন্বেষণে যান, তখন ময়ূরভঞ্জের রাজকৰ্ম্মচারী শ্ৰী কামাখ্যাপ্রসাদ বম্ব এই স্থানটি খুঁড়েছিলেন। এখানে একটি পাথরের দুই পাশে দুইটি শখ খোদাই করা আছে। সেইজগুই লোকেরা এটিকে “শপুর রাজার মন্দির” বলে। কামাখ্যা-বাৰু আর-একটি ষে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ নিতান্ত অবৈজ্ঞানিকভাবে খোড়েন, সেখান থেকে একটি বড় ও একটি ছোট হরগৌরীর মূৰ্ত্তি পান। এখানে যে বৌদ্ধ মন্দিরটি ছিল তার নাম হচ্ছে “ইটামুণ্ডি” কারণ এটি ইট দিয়ে তৈরী। সেখান থেকে একটি বড় বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়েছিল। সে মূৰ্ত্তিটি ৬৬ ইঞ্চি উচু। কামাখ্যা-বাবুর খননের দোষে এই বৌদ্ধ মন্দিরের যে ভিত্তিটুকুও অবশিষ্ট ছিল, তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আরএকটি উল্লেখযোগ্য ধ্বংসাবশেষ হচ্ছে—“করমরাজার দেউল,” সেখান থেকেই নাকি অবলোকিতেশ্বরের একটি ভগ্নমূৰ্ত্তি পাওয়া যায়। এই cथएक cदोष रुञ्च cष ७ ब्रोब्रखa ब्रॉछ। প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ ২৪শ ఇe দ্বারা স্থাপিত হয়েছিল। এ ছাড়া ছোট ছোট মন্দির অনেক আছে } এ থেকে মনে হয় এককালে এটি একটি খুব সমৃদ্ধিশালী সহর ছিল। এখানকার প্রধান মন্দির হচ্ছে কৗচকেশ্বরীর বা কীৰ্থকেশ্বরীর মন্দির। সেই মন্দিরটি কালক্রমে ভেঙে গিয়ে একটি প্রকাও আপ হয়ে পড়ে ছিল। সেখানে আরও যে ছু তিনটি মন্দির ছিল সে-গুলাও ক্রমশঃ ভগ্ন হয়ে পড়ে যায়। আমাদের কাজ ছিল সেই যে প্রকাও ভ্যন্ত গ রয়েছে সেইটি খনন করে দেখা কোন মুৰ্বি বা স্থাপত্যের নিদর্শন সেখানে মাটির নীচে রয়েছে কি না। প্রথমে গিয়ে দেখি যে সেখানে যে-জঙ্গল হয়েছে তা পরিষ্কার করা দরকার। আমরা প্রথমে জঙ্গল পরিষ্কার করে কাজ স্বরু করলাম। এবিষয়ে ময়ূরভঞ্জের মহারাজা লোকজনের সব আয়োজন করে দিলেন । তবে এখানে বাধা-বিপত্তি অনেক ছিল, সেসব আমাদের অতিক্রম করতে হয়েছে ; যে-সব লোক কাজের জঙ্ক এসেছিল তাদের চালান বড় শক্ত কথা । তারা সব কাছেরই গ্রামের লোক । তাদের মধ্যে কোল, সাওতাল, ভুইয়া, বাখুড়ী, গও, সাউতি, পুরাণ, পান, মহাস্ত আর গৌর বেশী। এর একদিকে খুব সরল আর আমুদে আবার অন্তদিকে বড়ই স্বাধীনতা-প্রিয়। তাদের সঙ্গে সেইজন্তে খুব সাবধানে কাজ করতে হত। আরও সেই প্রকাও ভগ্নস্তপের মধ্যে অনেক বড় বড় পাথর ছিল, সেইসব পাথরে কোনটায় নানারকম নক্স, কোনটায় মুক্তি খোদা ছিল। যে-সব কুলি এল তারা আবার এসব কাজে দক্ষ নয়। তারা খুব সহজে বড় বড় শাল গাছ, আমগাছ কাটতে পারে, কিন্তু মাটির ভেতর থেকে পাথর খুঁড়ে ঠিকভাবে বের করান তাদের দ্বারা হয় না। সেইজন্তে প্রথমে তাদের শেখাতে হ’ল কিভাবে তার কাজ করবে। তার পর, সেই প্রকাও প্রকাও পাথর সরানও এক দায়। রত্ববেদীর প্রকাও পাথর বা মন্দিরের দেওয়ালের পাথর খুব সাবধানে টুলি করে’ সরাতে হল। কয়দিন খোড়াবার পরই আমরা বুঝতে পার্লাম যে প্রাচীন মূল মন্দিরের কারুকার্য্য কিরকম উচ্চধরণের ছিল। এই খনন-কাজে আমরা অনেক মূৰ্ত্তি, কোনটি ভাঙা অবস্থায়, কোনটি বা ঠিক অবস্থায় পেলাম। সেইসব মুৰ্ত্তির বিস্তৃত বিবরণ এখানে দেওয়া সম্ভব নয় । সেই বিস্তৃত বিবরণ দেবেন শ্ৰীযুক্ত চন্দ-মহাশয় ওঁর সরকারী রিপোর্টে। aréatta fsfā Monuments of Mayurbhanja °C" একখানি বই রচনায় ব্যস্ত আছেন। সেই বইখানি প্রকাশিত হ’লে আমরা তাতে ভারতীয় শিল্পের এক নতুন অধ্যায়ের পরিচয় পাব। বর্তমানে এইটুকু বললেই যথেষ্ট হবে যে এখানকার শিল্পের একটা যে বিশেষত্ব আছে তা ভারতের খুব কম জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায়। এখানকার শিল্পীদের বিশেষত্ব এই যে তারা সমস্ত জিনিষকে স্বাভাবিক করুবার চেষ্টা করেছিল। ভারতের অন্ত স্থানে যে-সব শিল্পের নিদর্শন পাওয়া গেছে তাতে গুপ্তযুগের শিল্প ছাড়া অস্ততে এতটা পরিমাণে স্বভাবকে অনুকরণ করা হয়নি। স্বভাবকে অনুকরণ করতে পেরেছিল বলে এই সব শিল্পীদের কার্য্য এত সুশোভন হয়েছে। আমরা মাটীর মধ্যে থেকে যে-সব মহিষমদিনী-মুপ্তি, গণেশমূৰ্ত্তি, শিবমূৰ্ত্তি, নাগ ও নাগিনী মুপ্তি scroll পেয়েছিলাম, তাতে ময়ূরভঞ্জের শিল্পের প্রকৃষ্ট পরিচয় পাওয়া ु | (শাস্তিনিকেতন পত্রিকা, জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১) ঐ ফণীন্দ্রনাথ বস্তু সাহিত্য জাজকার এই সভায় আসবার কিছু পূৰ্ব্বে-জাজ অপরাহ্লে আমাদে পাড়ার গলিতে একটা বোধ হয় কোন বিবাহ কিংবা কোন উৎস উপলক্ষে বাণী বাজ ছিল, সানাই বাজ ছিল, আমি যখন শুনছিলা